আদালত স্থিতাবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ দেওয়ার পরও সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইলে ঘটতে পারে রক্ষক্ষীয় সংঘর্ষ

0

প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি : আদালাত শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখার নির্দেশ দেওয়ার পরও সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল শীতলক্ষ্যা নদীর পশ্চিম তীরে ১ নং আরসিসি জেটি ঘাটে চলছে লোড-আনলোড কার্যক্রম। মালামালের শুল্ক ও লেবার হ্যান্ডলিং চার্জ কেন্দ্রটি এক মাসের জন্য মো: মোশারফ হোসেন নামে একজনকে দায়িত্ব প্রদান করেন নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দর।

গত ৬ জুন মোশারফ হোসেনের মেয়াদ শেষ হলেও কর্তৃপক্ষকে ম্যানেজ করে তিনি কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন বলে বাদীর অভিযোগ।  জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দর কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ তুলে শিমরাইল ১ নং জেটির সাবেক ইজারাদার মেসার্স মাহমুদা ট্রেডার্স এর মালিক মো: ইউসুফ আলী বাদী হয়ে নারায়ণগঞ্জ বিজ্ঞ সহকারি দ্বিতীয় জজ আদালতে মামলা করেন। আমলাটি আমলে নিয়ে শুনানি শেষে আদালতের বিচারপতি তাসমিনা খান দেওয়ানী কার্য বিধির ১৫১ ধারায় আন্তবর্তীকালীন অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। বিবাদী পক্ষ আপত্তি দাখিল না করা পর্যন্ত উভয় পক্ষকে স্থিতাবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ দেন।

কিন্তু বিবাদী পক্ষ আদালতের আদেশ আমলে না নিয়ে ঘাটে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। বিবাদী পক্ষ আদালতের আদেশ আমলে না নেয়ায় বাদী পক্ষ ঘাট নিয়ন্ত্রনের চেষ্টা করছে। এতে যে কোন সময় রক্ষক্ষীয় সংঘর্ষ হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। মামলার এজাহার সূত্রে জানা গছে, বাংলাদেশ অভ্যন্তরিণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষের নিয়ম মেনে বিগত ২০১৫ সালে শিমরাইল ১ নং জেটি এক বছরের জন্য ইজারা নেয় মেসার্স মাহমুদা ট্রেডার্সের মালিক মো: ইউসুফ আলী।

জেটি ব্যবহারের জন্য এগ্রিমেন্ট ও সাময়িক এসসমেন্ট অনুয়ায়ী লাইসেন্স ফি বাবদ ৬ লাখ ৬ হাজার টাকা, স্থান ও স্থাপনার উপর ৯ পার্সেন্ট ভ্যাট বাবদ ৫৪০ টাকা, পরিবাহিত মালামালের উপর ১৫ পার্সেন্ট ভ্যাট বাবদ ৯০ হাজার টাকা ও ৫ পার্সেন্ট আয়কর বাবদ ৩০ হাজার টাকা নদী বন্দর বরাবর পে-অর্ডারের মাধ্যমে পরিশোধ করে বরাদ্দ পত্রের শর্ত অনুসারে কর্তপক্ষের সাতে ৩০০ টাকার নন জুডিশিয়্যাল ষ্ট্যাম্পে চুক্তিনামা সম্পাদন করে শিমরাইল ১ নং জেটি ব্যবহারের অনুমতি পায়। নদীর তীরে দুই শতাংশ জমি ব্যবহার বাবদ আরো ১ লাখ ২০ হাজার ৮৪০ টাকা ২০১৫ সালের ৮ মার্চ বিবাদী পক্ষকে দেয় বাদী।

কিন্তু চুক্তিপত্রের মেয়াদ শেষ হওয়ার অনেক আগেই কোন নোটিশ না দিয়ে একই সালের ২৯ মার্চ নদী বন্দর কর্তৃপক্ষ ইজারা বাতিল করে। এতে বাদী অর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়। বিবাদী পক্ষের কাছে বাদীর জমাকৃত অর্থের কোন সুরাহা করা হয়নি। যার ফলে বাদী আদালতে মামলা করতে বাধ্য হয়।অভিযোগ জানা গেছে, আদালত বিবাদী পক্ষকে কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করলে নোটিশ প্রাপ্ত হওয়া সত্ত্বেও বিবাদী পক্ষ আদালতে জবাব দেয়নাই। বাদীর সাথে সমঝোতা না করে একই জেটি বিবাদী পক্ষ নিজেরা খাশ কালেকশন করার উদ্যোগ নিয়ে গত বছরের ৮ আগষ্ট থেকে বাকের নামে একজনকে লেবার সর্দার নিয়োগ দিয়ে লোড-আনলোড শুরু করে।

এ বিষয়ে হাইকোর্টে রিট করলে বিবাদী পক্ষকে কারণ দর্শানোর আদেশ দেন হাইকোর্ট। কিন্তু আদালতকে পাত্তা না দিয়ে বিবাদীগং তাদের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। পরে বাকেরকে দায়িত্ব থেকে বাদ দিয়ে তারই সহাযোগী বি-বাড়িয়া জেলা সদরের পশ্চিম বাড্ডা এলাকার জহিরুল হকের ছেলে মো: মোশারফ হোসেনকে ৩০ দিন অন্তর অন্তর স্পট কোটেশনে পারিচালনার কার্যাদেশ প্রদান করেন। সর্বশেষ কার্যাদেশের মেয়াদ গত ৬ জুন শেষ হয়েছে। তার পরও কাজ চালিয়ে যাচ্ছে মোশারফ।

ইউসুফ বলেন, ঘাটটি ইজারা দিলে সরকার মোটা অংকের রাজস্ব পেত। কিন্তু কর্তৃপক্ষ তা না করে খাশ কালেশনের নামে সরকারী তহবিলে নামে মাত্র রাজস্ব জমা দিয়ে নিজেদের পকেট ভারি করার কৌশল গ্রহন করেছে।এবিষয়ে জানতে নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দরের যুগ্ন পরিচালক শেখ মাসুদ কামালের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here