প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ পুলিশের অপরাধীর তালিকায় দীর্ঘদিন ধরেই ফারুকের নাম ছিল। তার ছোট ভাই শীর্ষ সন্ত্রাসী আমিনুল ২০০৮ সালে বন্দুক যুদ্ধে নিহত হওয়ার পর বেশ কয়েক বছর আড়ালে চলে গিয়েছিল ফারুক। বছরখানেক ধরে আবারো সক্রিয় হয়ে উঠেছে সে। ১৯৯৬ সালে দেশব্যাপি আলোচিত ৪ বোন ধর্ষণ মামলাসহ অস্ত্র, মাদক, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, খুনসহ বহু অপরাধে ডজন দেড় মামলার আসামী হয়েছিল ফারুক। ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটেছিল সানারপাড় এলাকাতেই।
ফারুক বর্তমানে সানারপাড় এলাকার মাদক সা¤্রাজ্যের অধিপতি হয়ে উঠার অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। সে নিজেও সার্বক্ষনিক মাদকে আসক্ত থাকে। পয়তাল্লিশোর্ধ ফারুকের বাহিণীতে বর্তমানে ১৫/২০ জনের একটি অপরাধী চক্র সক্রিয় রয়েছে। ছিনতাই, মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজিতে তাঁরা যুক্ত বলে এলাকাবাসি জানিয়েছে। তবে তার বিরুদ্ধে কেউ নিজের নাম প্রকাশ করে কথা বলতে রাজি নয়।
সানারপাড় রওশনারা কলেজের প্রতিষ্ঠাতা রওশন আরা বেগম জানান, গত ১৭ জুলাই উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ফল ঘোষনার দিন তিনি তার মেয়েকে নিয়ে কলেজে যান। সেখানে যাওয়ার পর ফারুক তার মেয়েকে অশালীন ভাষায় গালাগালি করে লাঞ্ছিত করে। আমার প্রতিষ্ঠিত কলেজে আমরা যেন আর না যাই সেজন্য ভয়-ভীতি দেখায়। তখন কলেজের গভর্ণিং বডির সদস্য, কলেজের অধ্যক্ষ ও শিক্ষকারও উপস্থিত ছিল সেখানে। ভয়ে ফারুককে কেউ কিছু বলার সাহস পায়নি তখন।
তৎক্ষনাত ঘটনাটি আমি থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি মজিবুর রহমান, সাধারন সম্পাদক হাজী ইয়াছিন মিয়াসহ গণ্যমান্য লোকদের জানিয়েছি। ওই দিনই আমি রাতে থানায় গিয়ে মামলা করার জন্য অভিযোগ লিখে দিয়ে আসি। কিন্তু আজও পুলিশ কোন ব্যবস্থা নেয়নি। আমি এর বিচার চাই। তিনি আরো বলেন, আমি কলেজটি প্রতিষ্ঠা করেছি । আমার স্বামী শেখ মোর্তজা আলী উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছেন। আমার মেয়ে যদি সেখানে সন্ত্রাসী দ্বারা অপমানিত হয় তা মেনে নেওয়া যায় না।
সানারপাড় শেখ মোর্তজা আলী উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির একাধিক সদস্য জানিয়েছেন, ফারুক এখন নিরাপদ আস্তানা গেড়েছে সানারপাড় শেখ মোর্তজা আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের একটি কক্ষে। ভবনের দ্বিতীয় তলায় অভিভাবক প্রতিনিধিদের জন্য ব্যবহৃত হওয়া ওই কক্ষে রাতে ফারুক তার বন্ধু ফেন্সি মাহাবুবসহ বেশ কয়েকজন সন্ত্রাসী নিয়ে মাদকের আসর বসায় প্রায়ই। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের সাথে তার সখ্যতার কারনে এ সুযোগ পাচ্ছে ফারুক।
ফারুকের কোন সন্তান ওই বিদ্যালয়টিতে পড়াশুনা না করলেও বিদ্যালয় পরিচালনার বিগত কমিটিতে অভিভাবক প্রতিনিধি সদস্য করা হয়েছিল তাঁকে। ভয়ে কেউ তাঁকে বাধা দিতে পারেনি তখন। একজন তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী ও মাদকাসক্ত ব্যাক্তি বিদ্যালয়টিতে সার্বক্ষনিক যাতায়াত করায় অভিভাবকেরাও উৎকন্ঠিত। কিন্তু তার বিরুদ্ধে মুখ খোলার সাহস কারো নেই। তার সাথে সখ্যতা রয়েছে সিদ্ধিরগঞ্জ, রুপগঞ্জ, ডেমরা ও সায়দাবাদ এলঅকার বহু পেশাদার অপরাধীর। সে সায়েদাবাদের ত্রাস ক্রসফায়ারে নিহত মুন্নার ঘনিষ্ঠ সহযোগি ছিল।
অবিলম্বে সন্ত্রাসী ফারুকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলঅকাবাসী।