প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ বিএনপি থেকে সদ্য বহিষ্কৃত তৈমূর আলম খন্দকার বলেছেন, আমি জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী। দল আমাকে বহিষ্কার করলেও আমি একজন সমর্থক ও কর্মী হিসেবে রাজনীতি করে যাব। বুধবার (১৯ জানুয়ারি) নারায়ণগঞ্জ নগরীর মাসদাইর এলাকায় নিজ বাড়িতে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। এর আগে মঙ্গলবার তাকে বিএনপি থেকে বহিষ্কার করা হয়।
তিনি বলেন, দলের নীতিনির্ধারকরা যেটা ভালো মনে করেছেন, তারা সেটা করেছেন। আমি আমার কাজ করে যাব। যাকে মায়ের মতো মনে করি, বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য কাজ করে যাব; ইভিএমের বিরুদ্ধে কাজ করে যাব।
তৈমূর বলেন, এখন আমার দায়িত্ব হলো দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে জনমত গড়ে তোলা এবং ডাকাতির বাক্স ইভিএম এর বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তোলা। আমি সকল রাজনৈতিক দলকে অনুরোধ করব, এই ইভিএমের মাধ্যমে কোনো নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করতে।
বহিষ্কৃত হওয়ার পর নতুন কোনো দলে নাম লেখাবেন কি না, এমন প্রশ্নে তৈমূর বলেন, আমি তো দল পরিবর্তন করব না। তবে আমি মানুষের জন্য কাজ করব। বিএনপি যেটা ভালো মনে করেছে সেটা করেছে। দল যেহেতু আমাকে আন্দোলন সংগ্রাম থেকে মুক্তি দিছে, তাই আমার হাতের সামনে যে দুইটা কাজ সে দুইটা করব।
তিনি বলেন, আমি বিএনপির সমৃদ্ধি কামনা করি। তারেক জিয়ার বাংলাদেশে আগমন কামনা করি; তার সুস্বাস্থ্য কামরা করি এবং দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনা করি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে অনুরোধ করব, আপনি দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে বিদেশে যাওয়ার অনুমুতি দেন, ইতিহাসে আপনার নামটা লেখান।
দলের বিরুদ্ধে গিয়ে নির্বাচন করা প্রসঙ্গে তৈমূর বলেন, দল না চাইলেও নারায়ণগঞ্জের খেটে খাওয়ার মানুষের চাপে আমি নির্বাচন করেছি। সিটি করপোরেশনের অব্যবস্থাপনা এবং খেটে খাওয়া মানুষের পুনর্বাসন না করে উচ্ছেদসহ নানা কারণে আমি প্রার্থী হয়ে ছিলাম। আমি আমার স্ত্রী ও মেয়েকে প্রস্তাবকারী হিসেবে মনোনয়ন জমা দেই। দলের অনেকে আমাকে নির্বাচনে থাকতে ফোন করেছে, এসএসএস করে উৎসাহ দিয়েছে। দল থেকে কোনো বাধা আসেনি।
তিন আরও বলেন, দল থেকে আমাকে কখনও বলা হয় নাই, নির্বাচনে যাবা না। দলের পল্টন অফিস থেকে কোনো কোনো নেতা বলেছেন নেতা-কর্মীদের আমার পক্ষে না যেতে। আমার পক্ষে না গেলে কার পক্ষে যাবে বিএনপির লোকজন। সেক্ষেত্রে ভোটটা তো নৌকার পক্ষেই যায়।