প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৯২ জনে দাঁড়িয়েছে। যার মধ্যে চীনেই ৪৯০ জন। এছাড়া চীনের বাইরে ১ জন করে মারা গেছে হংকং ও ফিলিপাইনে। প্রতিদিনই এতে আক্রান্ত হয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা সাথে আতঙ্ক, ভয় ও শঙ্কা। গত ২৪ ঘণ্টায় শুধু চীনে মারা গেছে ৬৫ জন। এখন পর্যন্ত এই ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ২৪ হাজার ৫৩৪ জন বলে জানিয়েছে দেশটির স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ। খবর এএফপি।
বুধবার সকালে চায়নার জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন’র তথ্য মতে, গত এক দিনেই আক্রান্তের সংখ্যা ৩ হাজার ৯৭১ জন বেড়ে ২৪ হাজার ৫৩৪ জনে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে হুবেই প্রদেশেই আক্রান্তের সংখ্যা ১৬ হাজার ৬৭৮ জন।হুবেইয়ের প্রাদেশিক সরকার জানিয়েছে, করোনা ভাইরাসের উৎপত্তিস্থল উহানে নতুন করে ২ হাজর জন আক্রান্তের খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে। উহান, যেখানাকার একটি সামুদ্রিক খাদ্য ও মাংসের বাজার থেকে এই ভাইরাসটির উৎপত্তি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এদিকে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রতিদিন যে পরিমাণ আক্রান্তের খবর আসছে, তাতে আক্রান্তের আসল খবর জানা যাচ্ছে না। কারণ, ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে যারা হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে, শুধু তাদের হিসেব পরিসংখ্যানে ধরা হচ্ছে। তাই এর প্রকৃত হিসেব বের করা বা জানা খুবই কঠিন ব্যাপার, যা আরেকটি আশঙ্কার কারণ।
চীনের সবগুলো প্রদেশসহ বিশ্বের ২০টি দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) স্বাস্থ্যগত জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে। ভাইরাস সংক্রমণের কারণে চীন ভ্রমণের ওপর কড়াকড়ি আরোপ করেছে অনেক দেশ, ভারত, শ্রীলঙ্কাসহ অনেক দেশ চীন থেকে আগত যাত্রীদের ভিসা বাতিল করেছে। এছাড়া চীনে অধিকাংশ বিমান সংস্থার ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে।
গুয়াংডং-সহ দেশটির যেসব প্রদেশের বাসিন্দা ৩০ কোটির বেশি সেসব শহরে ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। কিন্তু দেশটির কারখানাগুলোতে দিনে মাত্র ২ কোটি মাস্ক তৈরির সক্ষমতা রয়েছে বলে জানিয়েছেন চীনের শিল্প-প্রতিষ্ঠানবিষয়ক বিভাগের মুখপাত্র তিয়ান ইউলং।
তিনি বলেন, কর্তৃপক্ষ ইউরোপ, জাপান এবং যুক্তরাষ্ট্র থেকে মাস্ক আনার পদক্ষেপ নিয়েছে। তবে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান, কাজাখস্তান, হাঙ্গেরিসহ বিশ্বের আরও বেশ কয়েকটি দেশ মেডিকেল সহায়তায় হাত বাড়িয়েছে। গত ৩১ ডিসেম্বর চীনের মধ্যাঞ্চলীয় হুবেই প্রদেশের উহান শহরে প্রথম করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি নিশ্চিত হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত ২০টির মতো দেশে ছড়িয়ে পড়েছে।
চীন, থাইল্যান্ড, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, ভিয়েতনাম, হংকং, সিঙ্গাপুর, ভারত, মালয়েশিয়া, নেপাল, ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, জার্মানি, কম্বোডিয়া, শ্রীলঙ্কা, সংযুক্ত আরব আমিরাত, তাইওয়ান ও ইসরায়েলে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। প্রতিদিনই নতুন নতুন রোগীকে শনাক্ত করা হচ্ছে।