সিদ্ধিরগঞ্জে অক্সফোর্ড হাইস্কুলের দুই শিক্ষক এর বিরুদ্ধে,২০ এর অধিক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ।

0

প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ সিদ্ধিরগঞ্জে আপত্তিকর ছবি তুলে অসংখ্য ছাত্রীকে ব্লাক মেইল করে পালাক্রমে ধর্ষণ করার অভিযোগ রয়েছে দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় বিক্ষুদ্ধ এলাাকাবাসী ও অভিভাবকরা এক স্কুলের দুই শিক্ষককে গণধোলাই দেয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে র‌্যাব ও পুলিশ তাদেরকে গ্রেফতার করে। পরে শিক্ষকের সাথে ছাত্রীদের আপত্তিকর একাধিক ছবি উদ্ধার করে।

বিক্ষুব্ধ অভিভাবক ও এলাকাবসী লম্পট ঐ দুই শিক্ষকের ফাসি দাবি করে র‌্যাব ও পুলিশের সমনে স্লোগান দিতে থাকে। এ ঘটনায় এলাকায় চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি কান্দাপাড়ার বেসরকারী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অক্সফোর্ড হাইস্কুলে এ ঘটাটি ঘটে। এলাকাবসী বলছেন, এ শিক্ষকসহ এর পাশের আরেকটি স্কুলের এক লম্পট শিক্ষকসহ অন্যন্যা লম্পট শিক্ষকের দৃষ্টান্তমূলক বিচার করলে কোন লম্পট শিক্ষক এমন কাজ করার সাহস পাবে না।

এলাকাবাসী জানায়, সিদ্ধিরগঞ্জের অক্সফোর্ড হাইস্কুলের সহকারী শিক্ষক আরিফুল ইসলাম গত ৮ বছর ধরে স্কুলটিতে অংক ও ইংরেজী বিষয়ে শিক্ষকতা করে আসছে। তার চাকুরীজীবনে আরিফুল ইসলাম অসংখ্য ছাত্রীকে ব্লাকমেইল করে আপত্তিকর ছবি তুলে ধর্ষণ করতে বাধ্য করে। ছাত্রীদের কোচিং পড়নোর জন্য তার বাসা ছাড়াও স্কুলের পাশে বুকস গার্ডেন এলাকায় একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নেয়। তার স্ত্রী, সন্তান না থাকলেও ঐ ফ্ল্যাটে তিনটি খাটছিল বলে জানায় ঐ ফ্ল্যাটের দারোয়ান। গত তিনদিন যাবত তার অনৈতিক কর্মখান্ডগুলো এলাকায় প্রচার হতে থাকে। পরবর্তীতে বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টায় বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ঐ স্কুলে গেলে আরিফু ইসলাম তার মোবাইলে থাকা আপত্তিকর ছবিড়গগুলো মুছে ফেলে।

পরবর্তীতে এলাকাবাসী ঐ মোবাইল উদ্ধার করে এলাকার একটি মোবাইল দোকানে একটি সফটওয়ারের মাধ্যমে ছবিগুলো উদ্ধার করে। এসময় বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ক্ষোভে ফেটে পড়ে। পরে তারা ঐক্যবদ্ধ হয়ে ঐ স্কুলে হামলা চালায়। এসময় স্কুলের লম্পট শিক্ষক আরিফুল ইসলাম ও স্কুলের প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম জুলফিকারকে গণধোলাই দেয়। স্কুলের প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম জুলফিকার লম্পট শিক্ষক আরিফুল ইসলামকে সহযোগীতা করে আসছিল। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক অভিভাবক জানায়, তার মেয়ে ৫ম শ্রেণীতে পড়ার সময় ঐ শিক্ষকের কর্তক যৌন লালসার শিকার হয়।

ঐ মেয়ে এখন ৯ম শ্রেণীতে পড়ছে। এখনও লম্পট ঐ শিক্ষক থেকে রক্ষা পায়নি আমার সন্তান। কিন্তু ঘটনার এত বছর পেরিয়ে গেলেও আমার সন্তান আমাকে না বলায় আমি এ ব্যাপারে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারিনি। গত ২-৩ দিন পূর্বে এ ব্যাপারটি জানতে পেরে এলাকার যুব সমাজকে বলেছি। এলাকাবাসী জানায়, ২০০৩ সালে একই এলাকার বাড়ি ভাড়া করে ছোট্ট একটি কেজি স্কুল প্রতিষ্ঠা করে এ প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম জুলুফিকার।

পরবর্তীতে ঐ স্কুলের লাভের টাকা দিয়ে বর্তমান স্কুলের জমিসহ ৪ তলা ভবনটি কিনে নেয় স্কুলের প্রধান শিক্ষক। ৮ বছর পূর্বে এ স্কুলে অংক ও ইংরেজীর শিক্ষক হয়ে আসেন আরিফুল ইসলাম। এলাকাবাসী জানায়, তার অপরাধগুলোকে সহযোগীতা করতো স্কুলের প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম জুলফিকার। গত তিনমাস পূর্বে স্কুলের এক শিক্ষিকার সাথেও ঐ শিক্ষক যৌনহয়রাণি করেছি। ঐ শিক্ষিকা এ ব্যাপারে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় অভিযোগ দিলে প্রধান শিক্ষক তাকে থানা থেকে ছড়িয়ে আনেন বলে জানায় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক অভিভাবক।

র‌্যাব-১১ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ আলেপ উদ্দিন জানায়, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থেেল এসে তার মোবাইল থেকে ছাত্রীদর সাথে অনৈতিক কর্মকান্ডের অনেক ছবি ও ভিডিও উদ্ধার করেছি। তার মোবাইল উদ্ধার করা হয়েছে। ২০ জনের অধিক ছাত্রীর সাথে ঐ শিক্ষক ব্লাকমেইল করে ধর্ষণ করেছে। যা প্রথামকিভাবে ঐ শিক্ষক আমাদের কছে স্বীকার করেছে। সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী ইয়াছিন মিয়া স্কুল বন্ধের দাবি জানিয়ে বলেন, আমি খবর পেয়েছি ঐ শিক্ষক মেয়েকে ব্লাক মেইলিং করে মেয়ের মাকেও ঐ শিক্ষক ধর্ষণ করেছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here