প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলায় প্রতীকী কাবা শরিফ ও মাকামে ইব্রাহিম বানিয়ে পাঁচ শতাধিক হজ যাত্রীকে বিনামূল্যে হজ প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। গত ২২ জুন মারুফ শারমিন স্মৃতি সংস্থার উদ্যোগে উপজেলার যাত্রামুড়া এলাকায় এ প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্ষোভ ও নিন্দার ঝড় বইছে। হজ¦ প্রশিক্ষণের নামে এবারই প্রথম কোনো চিত্র সামনে এল যেখানে পবিত্র কাবা শরিফের প্রতীকী বানিয়ে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, মারুফ শারমিন স্মৃতি সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি লায়ন মোজাম্মেল হক ভুঁইয়ার সার্বিক ব্যবস্থাপনায় প্রশিক্ষণ কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন, রূপগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সভাপতি লায়ন মীর আব্দুল আলীম, মারুফ শারমিন স্মৃতি সংস্থার সহ-সভাপতি হাবিবুর রহমান ভুঁইয়া ও আলহাজ জিয়াউল হক। এ সময় নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী জেলাসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে হজে যেতে ইচ্ছুক পাঁচ শতাধিক মানুষকে হজের সব নিয়ম-কানুন শেখানো হয়।
এ বিষয়ে রাজধানীর বসুন্ধরা ইসলামিক রিসোর্স সেন্টারের মহাপরিচালক আল্লামা মুফতি আরশাদ রহমানী প্রতীকী কাবা তৈরি ও প্রশিক্ষণ প্রদান স্পষ্ট হারাম বলে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, কাবা শরিফ পৃথিবীতে একটি। এমন করে প্রতীকী কাবা তৈরি করে প্রশিক্ষণ দেয়া হারাম। প্রতীকী কাবা শরিফ বানানো নাজায়েজ কেন এমন প্রশ্নে মুফতি মিজানুর রহমান বলেন, কাবা ঘরের একটি সম্মান রয়েছে। আমরা সেই ঘরের প্রতীকী বানালে কাবা শরিফের প্রতি মানুষের সম্মান কমে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
তিনি বলেন, আমাদের দেশে কতিপয় বেদাতি প্রতীকী কাবা বানিয়ে তাওয়াফ করে এবং তারা বলে এভাবে তাদের হজ আদায় হয়ে যাবে। সেদিকে লক্ষ্য করলেও প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্যে প্রতীকী কাবা বানানো ফেতনার সৃষ্টি করতে পারে। এ কারণে তা জায়েজ নেই। এদিকে প্রতীকী কাবা শরিফ বানানোর বিষয়টিকে নিন্দা জানিয়ে ফেসবুকে এইচ এম আবিদ লিখেছেন, ফাজিলগুলারে ধইরা পেটানো দরকার। আজহার হোসেন নামের আরেকজন লিখেছেন, নকল কাবার বিরুদ্ধে সব মুসলমান ভাই-বোন ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন গড়ে তুলুন। এটা একটা ষড়যন্ত্র বৈকি অন্য কিছু নয়।
সৈয়দ আমিনুল ইসলাম লিখেছেন, গত ১৪০০ বছর ধরে সমগ্র প্রথিবী থেকে মানুষ হজে যাচ্ছে। কিন্তু এমন দুঃসাহস কেউ কখনো দেখিয়েছে বলে জানা নেই। মো. বেলাল হোসেন লিখেছেন, নতুন করে ফেতনা আরম্ভ। কিছুদিন পর বলবে তিন লাখ টাকা খরচ করে সৌদি আরব যেতে হবে না, এখানেই হজ করলে চলবে। এখন থেকেই এর প্রতিবাদ করা দরকার। না হয় পরে তার মূল্য দিতে হবে।
আব্দুল্লাহ নামে একজন লিখেছেন, ইসলাম ধ্বংসের পরিকল্পনা। তাড়াতাড়ি বন্ধ করুন। পরে আফসোস করতে হবে। পরে যা হতে পারে : ১. আমাদের এখানে কাবা থাকতে সৌদি যাব কেন? ২. এখানে প্র্যাকটিস করলে আস্তে আস্তে অজ্ঞরা এটাকে বাস্তব মনে করবে। ৩. মূর্তি পূজাও এভাবে চালু হয়েছিল।