জামিনে মুক্তি পেলো পরকীয়ায় আসক্ত ফতুল্লার কায়েমপুরের শফিকুল

0
জামিনে মুক্তি পেলো পরকীয়ায় আসক্ত ফতুল্লার কায়েমপুরের শফিকুল

প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃনিজস্ব সংবাদদাতা: বিয়ের আগে নারীদের সাথে অবৈধ সম্পর্ক এবং বিয়ে করেও নারী পিয়াসু বলে স্বামী শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেছিল স্ত্রী সুলতানা আক্তার ও তার ভাই রিয়াজ উদ্দিন। এমনকি স্বামী শফিকুলের নারী সংক্রান্ত ঘটনার একটি চিঠিও পায় স্ত্রী সুলতানা আক্তার। রয়েছে কথোপকথনের একাধিক অডিও রেকর্ড।

সবকিছুর পরও পারিবারিক সমাধানের চেষ্টা করেও সমাধান না পেয়ে উল্টো মারধর এবং স্বামীর দায়ের করা মামলায় হেনস্তা হয়েছে স্ত্রী সুলতানা আক্তার ও তার পরিবার। ছোট শিশু সন্তানকেও পিতার আদর থেকে বঞ্চিত রাখে পাষন্ড শফিকুল ইসলাম সাগর। যে কারণে আর বেশীদিন টেকশই হয়নি তাদের সংসারটি। অবশেষে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদলতে দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার হওয়ার পর শর্ত নিয়ে জামিনে মুক্ত পেলো সে।

সোমবার (২৯ জানুয়ারী)সকালে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিজ্ঞ বিচারক নাজমুল হক শ্যামল লিগ্যাল অ্যাডে উভয়ের আপোস-মিমাংসায় সমাধানে ইতি টানেন। এরআগে গত রবিবার ২১ জানুয়ারী গুলশান থানা পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। পরে ঢাকা কারাগারে হাজতবাসের পর শফিকুল লিগ্যাল অ্যাডে শর্ত সাপেক্ষে জামিনে মুক্তি লাভ করে। এছাড়াও আদালতের এমন সিদ্ধান্তে উভয়ই পালন করবে বলে প্রতিশ্রুতি বদ্ধ হয়।

জানা গেছে, ফতুল্লা কায়েমপুর বটতলা এলাকার বাসিন্দা সুলতানা আক্তারের লিগ্যাল অ্যাডে আবেদনের প্রেক্ষিতে সিরাজগঞ্জের বড় মহরাজপুর থানার পর্যনা গ্রামের বাসিন্দা, বর্তমান ঠিকানা ০৯, রোড নং-১৬ গুলশান-১৬ গুলশান, ঢাকায় বসবাসরত শফিকুল ইসলামকে নারী শিশু-১০/২৪ অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রতিপক্ষকে সমন ইস্যু করা হয় এবং উভয়পক্ষের সম্মতিতে আপোস-মিমাংসার উদ্দেশ্যে ২৯ জানুয়ারী সোমবার সকালে মিমাংসা অনুষ্ঠিত হয়। মিমাংসা সভায় পক্ষগণ নিম্নবর্ণিত শর্তে বিরোধীয় বিষয়ে মিমাংসা করতে সম্মত হয়েছে।

শর্তসমূহ হলো : ০১। বাদী ও আসামী উভয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আসামী বাদীর দেনমোহর ও ভরণপোষণ, ইদ্দতকালীন খরচ এবং ডেলিভারী খরচ সর্বমোট ৪লক্ষ্য টাকা এককালীন আগামী ২৫/০২/২৪ তারিখে আসামী অত্র অফিসে উপস্থিত হয়ে বাদীকে নগদে পরিশোধ করবে। ০২। আসামী তার বাচ্চার খরচ বাবদ ২,৫০০শত টাকা প্রতি মাসের ১০ তারিখের মধ্যে লিগ্যাল এইড অফিসে উপস্থিত হয়ে বিবাদী নগদে প্রদান করবে।

ইহা বছরান্তে ৫০০/- টাকা হারে বৃদ্ধি পাবে এবং ৬,০০০/- টাকায় গিয়ে ফিক্সড হয়ে যাবে। অর্থাৎ আর বৃদ্ধিপাবে না। ০৩। সমস্ত টাকা বুঝে পাওয়ার পর পক্ষদ্বয় তাদের নিজ নিজ দায়েরকৃত মামলা/মোকদ্দমা প্রত্যাহার করে নেবে। (বাদীপক্ষের দায়েরকৃত সিআর-১১৬০/২৩ এবং নারী শিশু-১০/২৪ এবং আসামীপক্ষের দায়েরকৃত ফতুল্লা-৩৪(১১)২৩ মামলা) ০৪।

ভবিষ্যতে এই বিষয়ে কেউ কোন মামলা/মোকদ্দমা করবে না। বা কাউকে হয়রানি করবে না। ০৫। বাদী এবং আসামীপক্ষ উপরোল্লিখিত শর্ত সমূহ মেনে চলবে। একপক্ষ না মানলে অপরপক্ষ অত্র অফিসকে অবহিত করবে উভয়ই আইনের আশ্রয় নিতে পারবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here