ফতুল্লার ইসদাইর শাহী জামে মসজিদের স্বঘোষিত কমিটি নিয়ে ব্যাপক উত্তেজনা

0

প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ ফতুল্লার ইসদাইর শাহী জামে মসজিদ স্বঘোষিত কমিটি নিয়ে ব্যাপক উত্তেজনা বিরাজ করছে। এ নিয়ে গত তিনটি শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর মসজিদে তুমুল বাকবিতন্ডতা ও হাতাহাতি রূপ নেয়। এমনকি এক পক্ষ অপর পক্ষকে মারতে উদ্যত হয়। পুরো ঘটনায় সামল দিতে ব্যর্থ হলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করে। এ ঘটনায় এলাকার বয়োজেষ্ঠ্যদের সঙ্গে চরম বেয়াদবি করে রুহুল আমীনে দুই ছেলে পিয়াস ও পারভেজ। তাদের উশৃঙ্খলায় স্থানীয় মুসল্লীরা ব্যাপক ক্ষুব্ধ হয়।

কিন্তু পিয়াস নিজেকে তোলারাম কলেজ ছাত্রলীগ নেতা হাবিবুর রহমান রিয়াদের পরিচয় দিয়ে স্থানীয় সাধারণ মুসল্লীদের দেখে নেবে বলে হুমকি ধমকী দিয়ে বেড়াচ্ছে। পিয়াস এরই মধ্যে মসজিদের ভেতর ভরা মজলিসে স্থানীয় ইউপি মেম্বার আলী আকবরের মুখের সামনে আঙ্গুল তুলে মারমুখী আচারণ করে তেড়ে এসে চরম বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। পুরো এলাকার মুসল্লীরা এ নিয়ে ক্ষোভে ফুসছে। জনপ্রিয় মেম্বারকে এভাবে অপমান করার বিষয়টি কেউই মেনে নিতে পারছে না। অভিযোগ রয়েছে পুরো ঘটনার ইন্ধন দিচ্ছে আবুল কাশেম ওরফে সমবায় কাশেম। যে কাশেম এর আগে সিদ্ধিরগঞ্জ গোদনাইল শিল্প সংস্থা পিস্তল উচিয়ে সাংবাদিকদের মারধরে নেতৃত্ব দিয়ে গ্রেফতার হয়েছিলেন এবং দীর্ঘ সময় সিদ্ধিরগঞ্জ থানা হাজতে ছিলো।

জানা গেছে, গত ৩ এপ্রিল শুক্রবার হঠাৎ স্থানীয় রমজান আলী প্রধান মসজিদে এসে ঘোষনা দেয় বর্তমান কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুর রশীদের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে এসেছেন যে মসজিদে নতুন কমিটি করা হবে। সে নিজেকে মোতয়াল্লী ঘোষনা করেন। ওই সময় আলী আকরব মেম্বার জানিয়ে দেন, স্থানীয় এমপি নির্দেশ রয়েছে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে সকল মুসল্লীর মতামত নিয়ে কমিটি গঠন করার নির্দেশনা রয়েছে। এ নিয়ে পরের শুক্রবার ১০ এপ্রিল সিদ্ধান্ত হবে। পরের রমজান আলী প্রধান নিজেই একটি পকেট কমিটি গঠন করে আবুল কাশেম কে সভাপতি ও মাষ্টার আমীর আলী প্রধানকে সেক্রেটারী ঘোষনা করে বলেন, আগের কমিটি ব্যর্থ। ওই সময় মুসল্লীদের পক্ষ থেকে স্থানীয় যুবক সোলেমান প্রধানের ভাগিনা মামুন শিকদার প্রশ্ন করেন, পূর্ববতী কমিটি ব্যর্থ হলো কি করে।

তারাতো মসজিদ ৫ তলা করেছে। এসি করেছে। কিভাবে ব্যর্থ? তাছাড়া ব্যার্থই যদি হবে তাহলে সেই কমিটির সাধারন সম্পাদককে এখন সভাপতি করা হচ্ছে কেনো ? অন্যান্য মুসল্লীরাও প্রতিবাদ করে জানান, পূর্ববর্তী কমিটি যদি ব্যর্থ হয় তাহলে ব্যর্থ কমিটি সেক্রেটারী কাশেম কিভাবে পুনরায় নতুন কমিটির সভাপতি হয়। ওই সময় রমজান আলীর ভাই মন্টু মামুনকে থাপ্পর দিতে উদ্যত হয়ে বলে, “তুই কোন কথা বলবি না। মামুন প্রতিবাদ করে আমি মুসল্লী আমার তো কথা বলার হক আছে । এ কথা বলতেই মন্টু এলাকার সন্ত্রসী যুবকদের এগিয়ে আসতে বলে সংঘর্ষে জন্য।। শুরু হয় চরম হট্টগোল। এর মধ্যে রুহুল আমীন প্রধানে ছেলে পিয়াস ব্যাপক উশৃঙ্খল হয়ে উঠে। সে অত্যন্ত প্রভাবশালী বলে পরিয়চ দিতে থাকে।

সে গলা উচিয়ে উচ্চ কণ্ঠে বলে, কারো সাথে কোন কথা বলার দরকার নাই। মসজিদের বাইরে কমিটি করে তালিকা টানিয়ে দেব।এর মধ্যে আলী আকবর মেম্মার বলেন, এভাবে কমিটি গঠন হয় না। আমার কাছে শান্তিমত সকলকে নিয়ে কমিটি গঠন করার নির্দেশ রয়েছে। কমিটি নিয়ে বিতর্ক রয়েছে । অনেকেই তা মেনে নিতে চাইছে না। পুরো কমিটি ঘোষণার জন্য ফের রমজান প্রধান রুহুল আমীনকে মাইক দেন। ওই সময় শুরু হয় মসজিদে থাকা প্রায় শতাধিক মুসল্লীর মধ্যে ব্যাপক হট্রগোল হৈ চৈ । তর্কাতর্কি একজন আরেকজনকে দিকে তেড়ে যাওয়া, হুমকি ধমকী চলতে থাকে। প্রায় ২২ মিনিট মসজিদের ভেতর হৈ চৈ চিৎকার শুনে স্থানীয় এলাকায় আতংক ছড়িয়ে পড়ে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি ঘটলে পুলিশে খবর দেওয়া হয়।

পুলিশ এসে পুরো ঘটনা নিয়ন্ত্রনে আনলে পুলিশ চলে যাওয়ার পর শুরু হয় হুমকি ধমকী পিয়াসের। সে রিয়াদের লোক। দেখে নেবে সবাইকে । ওই সময় পুরো ঘটনার নাটের গুরু আবুল কাশেম তখন ছিলেন নিশ্চুপ। কারণ তাকে সভাপতি করেই রজমান প্রধান কিছুক্ষণ আগে কমিটি ঘোষণা করে। এর পর কাউকে বুঝতে বাকী থাকে না এ ঘটনার পুরো কলকব্জা নাড়ছেন কাশেম। এক পর্যায়ে কোন কমিটি ঘোষনা না করার কথা বললেও আলী আকবর মেম্বারের অসম্মতিতে রজমান প্রধান জোরপূর্বক ৫ সদস্য এডপ কমিটির ঘোষণা দেয়। এতে মুসল্লীদের সমর্থন চাইলে সবাই নির্বাক হয়ে তাকিয়ে থাকে। কমিটি ঘোষকরা হুংকার দিয়ে যায় এই কমিটিই হবে মসজিদ কমিটি।

এতে মুসল্লীরা বিরক্ত প্রকাশ করে বলেন, মসজিদটি প্রায় সময় এরা বলে এটা তাদের দেয়া মসজিদ। আর এভাবে এই মসজিদে নামাজ আদায় করা যায় না। এর মধ্যে শুরু হয়েছে হুমকি ধমকী।এ ঘটনায় আলী আকবর মেম্বার জানান, এ ঘটনায় সময়ত পুলিশ না আসলে ভয়াবহ ঘটনা ঘটে যেত। স্থানীয় মুসল্লী মামুন শিকদার জানান, আজকে পুলিশ না আসলে আমাকে মসজিদ থেকে রক্তাক্ত হয়ে বের হতে হত। স্থানীয় বাড়িওয়ালা ইকবাল হোসাইন , পাপ্পু মিয়া, জসিম ও ডালিম ও ডাক্তার রানা জানা, এমন একটি কমিটি আমরা মেনে নিতে পারি না। তবে যদি কেউ ক্ষমতা নিয়ে মসজিদ দখল করতে চায় করুক। আমরা এর প্রতিবাদ করব। এর মধ্যে গত শুক্রবার ১৭ এপ্রিল জুম্মার নামাজের আগে স্থানীয় ইব্রাহীম ফকির রমজান আলী প্রধানের ঘোষণার বিপরীতে নিজেকে মোতয়ালী ঘোষনা দেন। ইব্রাহিম রমজানের চাচা।

মসজিদের এ ঘটনায় আলী আকবর মেম্বার উপস্থিত স্থানীয় বাসিন্দা সাংবাদিকদের বিষয়টি দেখার জন্য বলেন। নামাজ শেষে ইব্রাহীম ফকিরকে মেম্বার আলী আকবরকে ডেকে বলেন , তিনি কোন ওয়ারিশের বলে নিজেকে মোতয়াল্লী ঘোষনা দিলেন?। ওই সময় ইব্রাহীম ফকির নিজেকে মোত্তয়াল্লী ঘোষণা করার বৈধ কাগজ জমা দেবেন বলে জানান। সেখানে উপস্থিত হন পূর্বে মোতয়াল্লী ঘোষনা দেয়া রমজান প্রধান। দুইজনের মধ্যে আলাপকালে দুইজনকে বৈধ কাগজ জমা দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। ঠিক সেই সময় হঠাৎ তেড়ে আসে রুহুলে ছেল পিয়াস । সে আলী আকবর মেম্বারের দিকে আঙ্গুল তুলে চেচিয়ে বলে এই , আপনি কিন্তু সব নষ্টের মূল। এটা আমার বাপ দাদার মসজিদ।

আপনি কথা বলবেন না। বললে আপনার অসুবিধা হবে। বয়োজ্যেষ্ঠ এই জনপ্রতিনিধিকে পিয়াসের এ রকম আচারণে পুরো এলাকার মুসল্লীরা ক্ষোভে ফেটে পড়ে। স্থানীয় সাংবাদিকরা পিয়াসকে নিবৃত করতে চাইলে পিয়াসের ভাই পারভেজ সাংবাদিকদের দিকে তেড়ে আসে। শুরু হয় ফের হৈ চৈ। ওই সময় পিয়াস নানা হুমকি ধমকী দিতে থাকে। কাকে দেখে নেবে সেই তালিকা বলতে থাকে। বাইরে লোক কেন আসল এটা আমাদের মসজিদ বলে উষ্মা প্রকাশ করতে থাকে। এতে মুসল্লীর ক্ষুব্ধ হয়ে মসজিদে ছেড়ে চলে যায়। স্থানীয়রা জানায়, পিয়াস নিজেকে অয়ন ওসমান ও রিয়াদের লোক বলে পরিয়চয় দিয়ে বেড়াচ্ছে। পিয়াস কারো ঘনিষ্ঠ লোক হয়ে থাকলেও কারো সাথে এ রকম উশৃঙ্খল আচরণ করার অধিকার রাখে কিনা তা দেখা দরকার। এছাড়া কে তাকে এই উশৃঙ্খলতা করার শেল্টার দিচ্ছে তা নিয়ে তদন্ত হওয়া উচিত বলে মনে করছে।

স্থানীয় মুসল্লীরা অত্যন্ত ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, আমরা তিলে তিলে টাকা দিয়ে এই মসজিদ গড়েছি। এখন নতুন স্বঘোষিত কমিটি মসজিদ দখলের চেষ্টা করেছে। ্এদের প্রতি কয়েকটি পরিবরের সমর্থন ছাড়া এলাকার সর্বসাধারণের সমর্থন নেই বললেই চলে। নতুন কমিটিতে স্বঘোষিত সভাপতি আবুল কাশেম । ওই কমিটি ঘোষণা সময় রমজান আলী প্রধান বলেছেন পূর্ববর্তী কমিটি ব্যর্থ। তাহলে পূর্ববর্তী কমিটি ব্যর্থ হলে নতুন স্বঘোষিত কমিটির সভাপতি তিনি ছিলেন তাদের ঘোষনাকৃত ব্যর্থ কমিটির সেক্রেটারী। এছাড়া নতুন কমিটিতে সেক্রেটারী হয়েছেন মাষ্টার আমীর প্রধান যিনি ২০১৩ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত ১০০ টাকা করে মাসিক চাঁদা বকেয়া রয়েছে। । নতুন স্বঘোষিত মোতওয়ালী রমজান প্রধান ২০১১ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত ২০০ টাকা রয়েছে মাসিক বকেয়া চাঁদা। আনোয়ার প্রধান স্বঘোষিত এডপ কমিটির সদস্য জীবনে মসজিদে কোন চাঁদা দেয়নি। যে রুহুল আমীন প্রধান যিনি এতকিছু করলেন সেই রুহুল আমিন তিনি গত কয়েক সপ্তাহ আগে কমিটিতে জায়গা পেতে ২০১৬ সাল থেকে থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত ৫০ টাকা বকেয়া প্রদান করেও স্বঘোষিত কমিটিতে জায়গা পাননি।

ইতমধ্যে মাসিক স্বঘোষিত কমিটি মাসিক বকেয়ার ৭-৮ বছর যাবত বকেয়া চাঁদা ও সেই তালিকার ছবি স্থানীয় প্রকৌশলী রফিক মিয়া তার ফেসবুক পোস্ট করে আভিনব প্রতিবাদ জানিয়ে ইংরেজীতে লিখেছেন যার অর্থ- “দেখুন এই মানুষগুলোকে। কি তাদের অবদান এই মসজিদে। দীর্ঘদিন ধরে তারা ব্যর্থ পর্যবসিত”।
ইতমধ্যে সেই তালিকা নিয়ে এলাকায় ব্যাপক হাস্যরসের সৃষ্টি হয়েছে। তবে এ ঘটনার নাটের গুরু আবুল কাশেম। তিনি এর আগে মসজিদে ২০০৩ সালে সাইদুল ইসলাম নামে এক মুসল্লীকে মসজিদ কমিটি নিয়ে মারধর করিয়ে ছিলেন। এ নিয়ে তখন প্রতিবাদি সাইদুল কাশেমকে দৌড়ানি দিলে কাশেম বাসা থেকে পিস্তল নিয়ে বের হয়ে আসে। স্থানীয় মুসল্লীরা জানিয়েছেন, উশৃঙ্খল যুবক পিয়াস এলাকায় ব্যাপক শোডাউন করছে। ইতমধ্যে সে তালিকা করেছে কাকে কাকে সে দেখে নেবে।

এ বিষয়ে বর্তমান মসজিদ কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুর রশীদ ফোনে জানান, আমার কাছে রজমান আলী প্রধান নতুন কমিটি করার অনুমতি চেয়েছিল। আমি বলেছি নুতন কমিটি সবাইকে নিয়ে করতে। কিন্তু কাউকে সভাপতি করে কমিটি ঘোষনা করতে আমি বলিনি। এ নিয়ে ঝামেলা চলছে আমিও শুনেছি।
এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি মেম্মার জানান, আমি বলেছিলাম রমজান মাসে কোন কমিটি না করতে। ঈদের পর করতে। আমার সাথে কে চরম খারাপ ব্যবহার করেছে তা সবাই দেখেছে। আমি ব্যথিত। রমজান মাস এ নিয়ে কথা বলতে চাই না। এদিকে খবর নিয়ে জানা যায়, পুরো ঘটনার নাটের গুরু সমবায় সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কাশেম। এই সেই কাশেম যে পিস্তল উঁচিয়ে সাংবাদিকদের হুমকি ও পেটানোর অভিযোগে আটক হয়েছিল। ২০১৩ সালের ২৭ জানুয়ারী সাংবাদিকদের পেটানো ও অস্ত্র উঁচিয়ে হুমকি দেওয়ার অভিযোগে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ বহুল আলোচিত বিতর্কিত দূর্নীতিবাজ কাশেম ওরফে সমবায় কাশেমকে আটক করে।

পরে সন্ধ্যায় কাশেমের স্ত্রী মাসুদা বেগম ও দুই মেয়ে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবে গিয়ে সাংবাদিকদের কাছে গিয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করায় তাকে শেষ পর্যন্ত মাফ করে দেওয়া হয়। ক্ষমার সমঝোতার পর রাতে পুলিশ তাকে ছেড়ে দেয়। সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি আবদুল মতিন ওই সময় জানিয়েছিলেন ঘটনার দিন সদর উপজেলার সিদ্ধিরগঞ্জের গোদনাইল এলাকায় বাংলাদেশ সমবায় শিল্প সংস্থার আওতাধীন একটি পাটের গুদামে অগ্নিকান্ডের ছবি ধারণ ও সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে কাশেম পিস্তর উচিয়ে সাংবাদিকদেও হুমকি দেয় এবং ওই সংস্থার পক্ষের লোকজন হামলা চালিয়ে পাঁচ সাংবাদিককে মারধর করেন। এ ঘটনায় সাংবাদিকরা লিখিত অভিযোগ দিলে কাশেমকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়। পরে রাতে সাংবাদিকদের সঙ্গে বিষয়টি আপোস-মীমাংসার পর তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

প্রসঙ্গত, ২০০১ সালে এই কাশেম সকালে নারায়ণগঞ্জে আওয়ামীলীগের নির্বাচন করলেও বিকালে চলে যায় নরসিংদীতে বিএনপির নির্বাচন করতে। কাশেম এক সময় বিএনপি দলীয় সাবেক এমপি গিয়াসউদ্দিনের আস্থাভাজন ছিলেন। পরে তিনি সরকার দলীয় এমপি সারাহ বেগম কবরীর গ্রুপে চলে যান।
ওই সময় আহত সাংবাদিকরা হলেন বেসরকারি স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেল মাছরাঙা টেলিভিশনের নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি আনিসুর রহমান জুয়েল ও ক্যামেরাম্যান রুবেল, একুশে টেলিভিশনের ক্যামেরাম্যান রবিউল ইসলাম, দৈনিক স্বাধীন সংবাদের সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি শাহাদাত হোসেন এবং স্থানীয় একটি পত্রিকার সাংবাদিক মনজুর আহম্মেদ অনিক।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here