ফতুল্লার সন্ত্রাসী ছারোয়ার ও গাউসের বিরুদ্ধে জামাল ড্রাইভারকে হত্যার অভিযোগ

0

প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ ফতুল্লা থানার উত্তর মাসদাইর গাবতলী এলাকার মৃত আবুল খায়েরের সন্ত্রাসী পুত্র গোলাম সারোয়ার এবং গোলাম গাউসের বিরুদ্ধে এবার ওই এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা জামাল ড্রাইভারকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ করা হয়েছে। সাংবাদিকদের কাছে এই অভিযোগ করেছেন হত্যাকান্ডের শিকার জামাল ড্রাইভারের স্ত্রী নূরজাহান(৬০)।

গতকাল তিনি জানান সারোয়ারের ভাতিজা এবং গাউসের ছেলে উৎস কয়েক দিন আগে তাদের বাড়িতে গিয়ে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালালে তারা তাকে বাধা দেন। এই ঘটনায় সংঘর্ষ হলে উভয় পক্ষের কয়েকজন আহত হন। এতে উৎসও আহত হন। কিন্তু এই ঘটনার জেরে সন্ত্রাসী উৎস’র চাচা গোলাম সারোয়ার এবং পিতা গোলাম গাউস সহ তাদের সাঙ্গপাঙ্গরা বৃদ্ধ জামাল ড্রাইভার (৭০) কে বেদম মারধর করে। তখন জামাল ড্রাইভার অসুস্থ হয়ে পরেন এবং পরে হার্ট এ্যটাক করেন।

তবে তার বিরুদ্ধে গাউস মামলা করায় পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে প্রেরন করে। কিন্তু মারধর করার পর অসুস্থ হয়ে পরার কারনে জেলখানায়ই বৃদ্ধ জামাল ড্রাইভারের মৃত্যু হয়। গতকাল জামাল ড্রাইভারের স্ত্রী নূরজাহান, পুত্র নিজামুদ্দিন এবং নিজামুদ্দিনের স্ত্রী ঝর্না বেগম নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবে এসে সাংবাদিকদের সামেন কান্নায় ভেঙ্গে পরেন।

এর আগে গত ১০ ফেব্রুয়ারী ঝর্না বেগম বাদী হয়ে সারোয়ার, গাউস এবং উৎস’র বিরুদ্ধে ফতুল্লা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন। কিন্তু তার এই অভিযোগের পরেও পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। অভিযোগটি ফতুল্লা থানার এসআই মামুন মিয়াকে তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছিলো। এদিকে গত ১৬ মে গাবতলীর স্থানীয় মুরুব্বী বেলায়েত হোসেন (৬৭) সন্ত্রাসী গোলাম সারোয়ারের বিরুদ্ধে ফতুল্লা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে তিনি লিখেছেন মৃত খায়েরের ছেলে সন্ত্রাসী ছারোয়ার বেলায়েত হোসেনের ছেলে ফজলে রাব্বীকে মারধর করে এবং বেলায়েত হোসেনকে হত্যার হুমকি দেয়।

এই ঘটনাটি ফতুল্লা থানার এসআই আমজাদ হোসেনকে তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়। নীরিহ বেলায়েত হোসেন জানান এসআই আমজাদ হোসেন কোনো ব্যবস্থাই নেননি। তিনি বার বার আমজাদের মোবাইল নাম্বারে ফোন করলেও তিনি ফোনই রিসিভ করেননি। অপরদিকে এর আগে গাবতলী এলাকার বাসিন্দা বাউল শিল্পী শিউলি দেওয়ানের স্বামীর কাছে চাঁদা দাবী করে এই গোলাম ছারোয়ার। ফলে শিউলি দেওয়ান ফতুল্লা থানায় একটি চাঁদাবাজীর অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু তারপরো পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নেয় নাই।

ফলে পুলিশের এমন নিস্ক্রিয়তার কারনে এই সন্ত্রাসী দুই ভাই এবং গাউসের ছেলে উৎস ওই এলাকায় বেপরোয়া সন্ত্রাস চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে গাবতরী এলাকাবাসী। এরই মাঝে বহু লোককে মারধর করার কারনে তাদের বিরুদ্ধে ফতুল্লা থানায় বহু জিডি ও মামলা হয়েছে। কিন্তু থানা পুলিশ এই ভয়ংকর সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নেয়ায় শেষ পর্যন্ত তারা পিটিয়ে হত্যা করলো এলাকার একজন বৃদ্ধ মানুষকে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here