মুন্সীগঞ্জে পৈত্রিক ভিটা ও ক্রয়কৃত বাড়ি ঘর ভাংচুর লুটপাট দখলের চেষ্টা

0
মুন্সীগঞ্জে পৈত্রিক ভিটা ও ক্রয়কৃত বাড়ি ঘর ভাংচুর লুটপাট দখলের চেষ্টা

প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি: মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের উত্তর কেওয়ার খলিল পীর সাহেবের বাড়ীর সামনেই নুর হোসেন (৬২) এর ক্রয়কৃত পৈত্রিক ভিটার নির্মিত পাকা দোকান, বাড়িঘর ভাংচুর করে লুটপাট করেছে সন্ত্রাসীরা। এ সময় ভাংচুর করা টিন ও মালামালও লুট করে নেয়। বাধা দিতে আসলে নুর হোসেনর স্ত্রী জহুরা খাতুন (৫৩) কেও মারধর করে গুরতর আহত করে।

নুর হোসেনের স্ত্রী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসাধীন ছিলেন।এ বিষয়ে মুন্সীগঞ্জ সদর থানায় সর্বশেষ( ৩ নভেম্বর) একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। একটি রাজনৈতিক দলের ছত্রছায়ায় এই কিশোর গ্যাং গ্রুপটি এলাকায় ত্রাশের রাজত্ব কায়েম করেছে। এর পূর্বে বাদীর বড় ছেলে আল আমিনকে কাটাখালি বাজারে কুপিয়ে গুরুতর জখম করেছিল।বাদী মোঃ নুর হোসেন (৬২) অভিযোগ করে বলেন, এলাকায় শিপলু সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে আমার বাড়িঘর তছনছ করে জবর দখল করার চেষ্টা করছে। কয়েক দফা হামলা করেছে ভাংচুর করেছে।

গত (২৯ অক্টোবর) আমার দাঁত ফেলে দিয়েছে মেরে। আবার গত (২ নভেম্বর) আমার স্ত্রী জহুরা খাতুনকে গুরুত্ব আহত করেছে।নুর হোসেন আরো বলেন, অপূর্বের নেতৃত্বে একটি সন্ত্রাসী কিশোর গ্যাং গ্রুপ তৈরী করা হয়েছে। শিপলু (৪০), পিতা-মৃত আবুল হোসেন, অরুপ (২৭), অপূর্ব (২২), উভয় পিতা-আনিছ, শুভ (১৯), পিতা- মঞ্জিল মল্লিক, হিমেল – (২৩), পিতা-হিরু ভূঁইয়া, লিপি আক্তার (৪২), স্বামী-আনিছ, রিতা আক্তার (৩০), স্বামী-হিৰু ভূঁইয়া, বন্যা আক্তার (২৮), পিতা-আবুল হোসেন খা, জান্নাতুল আইকা (৩২), স্বামী-শিপলুসহ অজ্ঞাত কিশোর গ্যাং আরো ১০/১২ এসে এসে আমার পাকা দোকান ভেঙ্গে ফেলে।

বাড়ি ঘর ভেঙ্গে তছনছ করে দেয়। বিবাদীরা আমার ক্রয়কৃত বাড়ি ও জমি জোর পূর্বক দখল করার চেষ্টা করিলে বিবাদীদের বিরুদ্ধে মুন্সীগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করি। যাহার নম্বর ৪৪, তারিখ-২৪/০২/২০২৩। উক্ত মামলায় , বিবাদীরা জামিনে বের হইয়া তাহাদের নামে দায়ের করা মামলাটি তুলে নেওয়ার জন্য বিভিন্ন ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদান করে আসছে। ২৪, ২৯ ও ০২ তারিখে মোট ৩টি ঘটনা উল্লেখ করে পুনরায় থানায় আরো একটি মামলা করেছি। কিশোর গ্যাং সন্ত্রাসীদের তান্ডব থেকে বাঁচার জন্য বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছি।

ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বারসহ এলাকার কোন লোকই তাদের বিরুদ্ধে কথা বলতে সাহস পায় না। কেউ কিছু বললে তার ঘরে চাকা মারে বিভিন্ন ধরনের হুমকি প্রদান করে।তিনি আরো বলেন, (০২ নভেম্বর) সকাল অনুমান ১১.০০ ঘটিকার সময় মুন্সীগঞ্জ থানাধীন উত্তর কেওয়ার সাকিনস্থ আমার বসতবাড়ীর পাশে আমার পরিচালনাধীন মুদির দোকানে উপরোক্ত এজাহারনামীয় বিবাদীরা সহ অজ্ঞাতনামা বিবাদীরা আসিয়া বেআইনী জনতাবন্ধে দেশীয় তৈরি অস্ত্র-শস্ত্রে সজ্জিত হইয়া টিনশেট বিল্ডিং দোকান ভাংচুর করিয়া অনুমান ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার ক্ষতি করে।

এ সময় আমার বসতবাড়ী হইতে আমার স্ত্রী জহুরা বেগম আগাইয়া আসিলে ১নং বিবাদী তাহার হাতে থাকা লোহার রড দিয়া আমার স্ত্রীকে হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাথারি পিটাইয়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর জখম করে। আমার স্ত্রীর ডাক চিৎকারে আশপাশের স্থানীয় লোকজন আগাইয়া আসিলে বিবাদীরা আমাকে ও আমার স্ত্রীকে খুন করিয়া লাশ গুম করিয়া ফেলিবে মর্মে হুমকি দিয়া চলে যায়বসতবাড়ীতে ঢুকে ঘরের আলমারিতে থাকা ০১ ভরি ওজনের স্বর্ণের চেইন যাহার মূল্য অনুমান ১৯৫,০০০ টাকা এবং ঘরের আলমারির ড্রয়ারে থাকা নগদ ২২,০০০ টাকা নিয়া যায়।এই বিষয়ে মুন্সীগঞ্জ সদর থানায় মো. আমিনুল ইসলামকে একাধিক বার ফোন করলে তার বক্তব্য নেওয়ার সম্ভব হয়নি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here