প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ নিজস্ব সংবাদদাতা: মায়ের পেট থেকে কেউ ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার হয়ে জন্ম নেয় না। তবে এই বিশ্বে যারা বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রেখে আজ বিখ্যাত, যাদের নাম ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে লেখা, সেইসব বিখ্যাত ব্যক্তিদের শৈশবে তাদের কর্মকাণ্ড ও আচরণে ভবিষ্যতের ইঙ্গিত বহন করত। তেমনি একটা ছোট্ট ছেলে, নাম তার হাবিব এ রাসুল ভিন্নো।
পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র সে। অথচ এই বয়সেই পড়াশুনার ফাঁকে বাড়ির কোন সরঞ্জাম নষ্ট হয়ে পড়ে থাকলে তার যেন চিন্তার শেষ নেই। নষ্ট হয়ে পড়ে থাকার লাইট, ফ্যান, মোবাইল ইত্যাদি নিজস্ব মেধা শক্তি দিয়ে চালু করেই ছাড়বে। কারো পরামর্শ ছাড়াই বাড়িতে বসে তাতাল এর সাহায্যে নিজেই ঝালাইয়ের কাজ করে।
বাবা আব্দুল কাইয়ুম সরকার পেশায় একজন চাকরিজীবী ও ব্যবসায়ী, মা ফারজানা ববি গৃহিণী। তারা দুজনেই বলেন ভিন্নো বড় হয়ে ইলেকট্রিক ইঞ্জিনিয়ার হতে চায়। তারা আরো বলেন যে ভিন্নো প্রায়ই বলে, ‘তোমরা আমাকে আরো কিছু সরঞ্জাম কিনে দাও,আমি হেলিকপ্টার/বিমান তৈরি করব!’ভিন্নোর বাবা মা তার সন্তানের জন্য সকলের দোয়া চেয়েছেন।
তবে ভিন্নোর মত এদেশে অনেক ভিন্নো আছে যারা অতীতে ঝরে গেছে শুধু সঠিক পরিচর্যার অভাবে। আমরা আশা করব ভবিষ্যতে যেন এমন সম্ভাবনার মৃত্যু না হয় সকল বাবা মার প্রতি এটাই নিবেদন থাকলো।