ময়মনসিংহের গৌরীপুরে কঠোর লকডাউনের মধ্যে ঈদ আড্ডা

0

প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ মোহাম্মাদ সাইফল আলম (ময়মনসিংহ জেলা প্রতিনিধি): ময়মনসিংহে শনিবার (২৪ জুলাই) সকাল ৯টা থেকে ১১টা পর্যন্ত ময়মনসিংহ মহানগরের বাতির কল মোড়, নতুনবাজার, ব্রীজ, শম্ভূগঞ্জ, সাহেব কাচারী বাজার, গৌরীপুর উপজেলাধীন রাজগঞ্জ,গাজীপুর, কলতাপাড়া, অচিন্তপুর, শাহগঞ্জ বাজার হয়ে অচিন্তপুর ইউনিয়নের খান্দার গ্রামে মরহুম আব্দস সামাদ মাস্টারের বাড়িতে ঈদ আড্ডায় মিলিত হন।

ঈদ আড্ডায় উপস্থিত ছিলেন প্রেস নিউজ২৪ অনলাইন পত্রিকার ময়মনসিংহ প্রতিনিধি মোহাম্মাদ সাইফুল আলম এবং তারই সহযোদ্ধা ভিশন বাংলা টিভি ও ক্রাইমওয়াচ পত্রিকার ময়মনসিংহ বিভাগীয় ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি মো. মাসুদ আলম ভূঞা। ঈদ আড্ডার প্রধান আকর্ষণ ছিল লেখক ও সাংবাদিক সাইফুল আলম সাহেবের বাল্যবন্ধু মোহাম্মদ কামরুজ্জামান। করোনা পরিস্থিতি এ দু:সময়ে ওয়ান টাইম ব্যবহারের কাপ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে একটি গল্প বলেন। গল্পটি হল, জনৈক রাজার রাজ্য দেখার খুব শখ বা ইচ্ছা জাগল।

রাজার সভাসদদের জানাল আমি রাজ্য দেখতে যাব। এদিকে রাজার ছিল ধুলোবালিতে এলার্জি সেজন্য শর্ত হলো রাজার পায়ে যাতে ধুলো না লাগে সে ব্যবস্থা করতে হবে। রাজার উজির-নাজির এক এক করে প্রস্তাব দিতে লাগল। কেউ সারা রাজ্যের রাস্তায় কার্পেট বিছিয়ে দেয়ার প্রস্তাব দেয় আবার কেউ বা পানি দিয়ে সারা রাস্তা ভিজিয়ে দেয়ার প্রস্তাব রাখে এমন করে রাজার সভাসদদের প্রস্তাব কোনটাই রাজার মনোপুত হলো না।

আর তাৎক্ষণাৎ রাজার রাজ্যের এক মুচি বলল, রাজা মশাই আমার প্রস্তাবটা তো শুনুন। ‍মুচির পিড়াপিড়িতে রাজা তার প্রস্তাব ‍শুনতে রাজি হয়ে বলল, শুনি কী তোমার প্রস্তাব ? তখন মুচি বলল, রাজা মশাই আমি আপনার জন্য এক জোড়া জুতো বানিয়ে  দেব তাহলেই আপনার পায়ে আর ধুলো লাগবে না। তখনই রাজা অত্যন্ত খুশি হয়ে গেল আর সভাসদেরা সবাই বলতে লাগল, এটা তো আমারও জানা ছিল শুধু বলিনি।

গল্পটি বলার মর্মার্থ হলো যে, আমরা করোনাভাইরাস থেকে বাঁচার জন্য ওয়ানটাইম কাপে চা খাই আবার মাস্ক ব্যবহার করছি, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে চেষ্টা করছি। তারপও করোনা নামক অদৃশ্য ভাইরাস আমাদের মৃত্যুর মিছিল দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে। কে শুনে কার কথা। তবে অনলাইন এবিনিউজ২৪ ও দৈনিক বাংলা সময় পত্রিকার গৌরীপুর(ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি বিশিষ্ট লেখক ও সাংবাদিক মোহাম্মদ সাইফুল  আলম

একইসঙ্গে সারাদেশে কঠোর লকডাউনের সমালোচনা করে বলেন, করোনা সংক্রমিত এলাকা ভিত্তিক কঠোর লকডাউন বাস্তবায়ন করলে লকডাউনের সুফল আরো বেশি হতো। এদিকে ঈদ আড্ডা শেষে ভিশন বাংলা টিভি’র ফটো সাংবাদিক মো. মাসুদ আলমকে সাথে নিয়ে প্রায় ১০ কি.মি. আঞ্চলিক সড়ক হোন্ডা যোগে ঘুরে আসি। এসময় সড়কে মাঝে মাঝে মোটর সাইকেল, সিএনজি, অটো রিক্সা, সাইকেলসহ বিভিন্ন ছোট ছোট যানবাহন  দেখা গেলেও জনসমাগম চোখে পড়েনি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here