ভোলায় ৬ উপজেলার ১০ গ্রামে ঈদ- উল আযহা উদযাপন

0

প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ কামরুজ্জামান শাহীন ভোলা প্রতিনিধি॥ সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে প্রতিবছরের ন্যায় এবারো ভোলার ৬ উপজেলার ১০টি গ্রামের প্রায় ৫ হাজার পরিবারের লোকজন আজ মঙ্গলবার(২০ জুলাই) ঈদ-উল আযহা উদযাপন করেছেন। সুরেশ্বর পীরের অনুসারি ভোলা জেলার দায়িত্বে নিয়োজিত খলিফা মঞ্জু মিয়া জানান, ভোলা জেলার ৬ উপজেলার ১০টি গ্রামের প্রায় ৫ হাজার পরিবার আজ ঈদ-উল আযহা উদযাপন করছেন।

সকাল সাড়ে ৮টায় ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার টবগী গ্রামে তার বাড়ির আঙ্গিনায় ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়। তিনি নিজেই ওই জামাতে ইমামতি করেন। একইসঙ্গে ওই গ্রামের চৌকিদার বাড়ির জামে মসজিদে সকাল ৯টায় এবং পঞ্জায়েত বাড়ির জামে মসজিদে সকাল সাড়ে ৯টায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া সকাল ৯টা থেকে ১০টার মধ্যে জেলার বিভিন্ন জায়গায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।  এর মধ্যে তজুমদ্দিন উপজেলার ছালাম মেম্বার বাড়ি, আব্দল্লাহ মাঝি বাড়ি,লালমোহন উপজেলার লাঙ্গলখালীর পশ্চিম পাশে পাটোয়ারী বাড়ির জামে মসজিদ সংলগ্ন এলাকায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয় ঈদের জামাত। মঞ্জু মিয়া আরও বলেন, ভোলা সদর, বোরহানউদ্দিন, তজুমদ্দিন, লালমোহন , চরফ্যাশন ও মনপুরা উপজেলায় ১০ গ্রামের প্রায় ৫ হাজার পরিবারের লোকজন প্রতি বছর একদিন আগেই ঈদ-উল ফিতর ও ঈদ-উল আযহা পালন করে থাকেন।

তিনি বলেন, সুরেশ্বর পীরের মুরিদ এসব পরিবারের সদস্যরা শতাধিক বছর ধরে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে একদিন আগে রোজায় ঈদ-উল ফিতর ও কোরবানীর সময় ঈদ-উল আযহা পালন করে আসছেন। সুরেশ্বর পীরের মুরিদ বোরহানউদ্দিন উপজেলার টবগী ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য হারুন অর রশিদ বলেন, আমাদের মতে পৃথিবীর যে কোন স্থানে চাঁদ দেখা গেলেই রোজা এবং ঈদ পালন করা যায়। সে অনুযায়ী আমরা প্রতি বছর একদিন আগে রোজা, ঈদ-উল ফিতর ও ঈদ- উল আযহা পালন করে আসছি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here