প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ নিজস্ব প্রতিনিধিঃ সরকারি কর্মকর্তা হয়েও রেস্তোয়ায় জনসমাগমে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে সরকারি নির্দেশণাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখালেন নারায়ণগঞ্জ জেলা কালচারাল অফিসার রুনা লায়লা। ১৭ জুলাই শনিবার শহরের চাষাড়াস্থ খাবার বাড়ি নামক একটি রেস্তোরায় নারায়ণগঞ্জ আর্টিষ্ট ফাউন্ডেশন(নাফ) এর সম্মামনা প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি অংশ নিয়ে এ বিতর্কের জন্ম দেন।
রুনা লায়লা একজন সরকারি কর্মকর্তা স্বত্তে¡ও প্রায় অর্ধ শতাধিক ব্যাক্তিবর্গের উপস্থিতি হওয়ার বিষয়টি জনমনে নানা সমালোচনা দেখা দিয়েছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তরুন মিউজিশিয়ান জানান,রুনা লায়লা একেতো সরকারি কর্মকর্তা হয়ে জনসমাগমে অংশ নিয়েছেন তার উপরে ওই অনুষ্ঠানে ছিলনা স্বাস্থ্যবিধির বালাই দু’একজনের মুখে মাস্ক থাকলেও রুনা লায়লাসহ বাকীদের কারো মুখেই মাস্ক ছিলনা। আর সামাজিক দূরত্ব মানারতো প্রশ্নই ওঠেনা।
অপরাপর কন্ঠ শিল্পী একই শর্তে জানান,কথাটি সঠিক দু’চারজন ছাড়া অনুষ্ঠানে সবাই ছিলেন অনিরাপদ অবস্থায়। রুনা ম্যাডাম একজন সরকারি কর্মকর্তা হয়েও তিনি সরকারি নির্দেশনা মানেন না। আর একটি বিষয় না বলেও পারছিনা রুনা লায়লা ম্যাডাম আসার পর থেকে নারায়ণগঞ্জের শিল্পীদের মধ্যে অনেক দ্বিধা-বিভক্তির সৃষ্টি হয়েছে। তিনি মুখে চিনে চিনে সুযোগ দিয়ে থাকেন। করোনার প্রথম ধাপে তিনি শিল্পীর বাইরেও অনেককে সরকারি উপহার সামগ্রী দিয়েছেন।
আবার কারো কারো ব্যাক্তিগত সম্পর্কের কারণে কোন কোন প্রতিষ্ঠানের পিওন-দারোয়ানরাও তার কাছ থেকে সরকারি আর্থিক সুবিধা নিয়েছেন। ইদানীং জেলার ব্র্যান্ডিং সং নিয়েও তার বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। জেলায় প্রবীণ এবং খ্যাতিমান শিল্পী থাকতেও কোন প্রকার আলাপ-আলোচনা ছাড়াও নতুন শিল্পীদের দিয়ে সেই গানটি তৈরি করে বেশ সমালোচনার সৃষ্টি করেন।
বিষয়গুলো মাননীয় জেলা প্রশাসকের গোচরে আসা উচিত বলে নারায়ণগঞ্জের সর্বস্তরের শিল্পীরা জোরদাবি জানান। এ ব্যাপারে রুনা লায়লার ব্যবহৃত মুঠোফোনে কল দেয়া হলেও তিনি তা রিসিভ করেননি।