আজ হবিগঞ্জের মাধবপুরে ঐতিহাসিক তেলিয়াপাড়া দিবস পালন

0

প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ সৈয়দ সুমন:  আজ ঐতিহাসিক তেলিয়াপাড়া দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে হবিগন্জ জেলার মাধবপুর উপজেলার তেলিয়াপাড়ায় চা বাগান বাংলোতে স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রথম বৈঠক ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত হয়। এই  সভায় গৃহীত সিদ্ধান্তের ফলেই পাল্টে যায় দৃশ্যপট। ২৬শে মার্চ থেকে বিক্ষিপ্ত ভাবে শুরু হওয়া মুক্তিযুদ্ধ একটি সুসংগঠিত প্রতিরোধ যুদ্ধে রুপ নেয়।

এ বৈঠকে সেনা কর্মকর্তারা দেশকে স্বাধীন করার শপথ নেন। এছাড়া এই বৈঠক থেকেই যুদ্ধের রণকৌশলের অংশ হিসেবে দেশকে ৪টি সেক্টরে ভাগ করা সহ বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় । যা ১০ ই এপ্রিলে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় কনফারেন্সে বাড়িয়ে ৬টি এবং পরবর্তী সময়ে আরও বৃদ্ধি করে ১১টি সেক্টরে ভাগ করা হয়।
ঐতিহাসিক এই সভায় উপস্থিত ছিলেন, কর্নেল ( অবঃ) এম এ জি ওসমানী এমএনএ, লেঃ কর্নেল (অবঃ) এম এ রবি এমএনএ, লেঃ কর্নেল সালাউদ্দীন মোহাম্মদ রেজা, মেজর জিয়াউর রহমান, মেজর খালেদ মোশাররফ, মেজর কে এম সফিউল্লাহ, মেজর কাজী নুরুজ্জামান, মেজর নূরুল ইসলাম, মেজর শাফায়াত জামিল, মেজর মঈনুল হোসেন চৌধুরী প্রমূখ।
বেসামরিক ব্যক্তিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিদ্রোহী মহকুমা প্রশাসক কাজী রকিব উদ্দিন, কমান্ডেন্ট মানিক চৌধুরী, মৌলানা আসাদ আলী প্রমুখ। ভারত সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে ছিলেন বিএসএফ এর পূর্বাঞ্চলীয় মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার ভি সি পাণ্ডে, আগরতলার জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ওমেস সায়গল। ৪ এপ্রিলের বৈঠকের পর থেকে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন তেলিয়াপাড়া চা বাগান ম্যানেজার বাংলোটিকে মুক্তিবাহিনীর সদর দপ্তর এবং পরে ৩ ও ৪ নং নম্বর সেক্টর কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
দিবসটি যথাযোগ্য ও রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় পালন উপলক্ষে প্রতি বছর জেলা প্রশাসন ও জেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট  পুস্পস্তবক অর্পণ, জাতীয় পতাকা ও মুক্তিযুদ্ধের পতাকা উত্তোলন করেন। কিন্তু এবছর করোনা পরিস্থিতির কারণে সীমিত পরিসরে আয়োজন করা হয়েছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here