গাছের পাতায় পাতায় এখন আওয়ামীলীগ: শামীম ওসমান

0

প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ এখন গাছের পাতায় পাতায় আওয়ামীলীগ। এটা যদি রাজনীতির মধ্যে থাকে তবে ঠিক আছে, যদি প্রোফেশনালিজমের মধ্যে চলে যায় তবে খুব মারাত্বক। আমি মনে করি প্রোফেশনে যারা আছেন, তাদের সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে আপনার পেশায় আপনি সাক্সেসফুল কি না। আপনার ব্যাকগ্রাউন্ড পরিচয় কি দ্যাট’স নট এ কোশ্চেন। কিন্তু একটা প্রশ্ন দরকার আপনি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি কি না।

নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান বলেছেন, এখন গাছের পাতায় পাতায় আওয়ামী লীগ। গাছের পাতা ঝরে ওইটাও আওয়ামী লীগ পাতা উঠে সেটাও আওয়ামী লীগ। এটা খুবই বিপদজনক ব্যাপার।

সোমবার (১ মার্চ) নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ লাইন্সে অনুষ্ঠিত পুলিশ মেমোরিয়াল ডে অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন শামীম ওসমান। তিনি বলেন, আমি এই কথাগুলো বললাম কারন আমার চলে যাওয়ার সময় এসেছে। আমি প্রতিদিন মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত থাকি। যদিও আমার মৃত্যু আজ থেকে বিশ বছর আগে ১৬ই জুন হয়ে গেছে। আমার ডানে বায়ে যারা ছিল সবাই মারা গেছে। আমি যে সাক্ষী দিয়েছি সে সাক্ষীও বদলে দেয়া হয়েছে এবং সেটা আমার সরকারের আমলেই। আমি কোর্টে তা ডিনাই করে এসেছি।

আমরা স্বপ্ন দেখেছিলাম বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার। ডিসি সাহেবের আব্বা, এসপি সাহেবের ভাই সহ অনেক পুলিশ সদস্যরা আছেন যাদের নাম দেখলাম তারা চলে গেছেন আমাদের ছেড়ে। কিন্তু আমরা চলে যাওয়াতে আশ্চর্য হই কেন। পার্মানেন্ট হল চলে যাওয়া থেকে যাওয়াটা টেম্পোরারি। আপনাকে যেতে হবেই। আমরা সবাই এখানে পরীক্ষা দিতে এসেছি পরীক্ষা দিচ্ছি। আমাদের রেজাল্ট দেখবেন আমাদের সৃষ্টিকর্তা। আমি পুলিশ ভাইদের বলতে চাই মানুস আপনাদের কাছে অনেক কিছু আশা করে। তা পূরণ করবেন কী করবেন না আপনাদের ইচ্ছা।

তিনি আরও বলেন, আমাদের জীবনে কোন কৈশর ও যৌবন নেই। গতকাল ষাট বছরে পা দিয়েছি। জীবনটা খুব ছোট। জীবন একবারের জন্যই আসে দুইবার আসে না। তো আমি এই জীবনটাতে কী করলাম। বাংলাদেশের রাজনীতিতে দুই ধরনের মানুষ আছে। একধরনের মানুষ আবেগ দিয়ে রাজনীতি করে। আরেক ধরনের মানুষ তাদের মাথার বুদ্ধি দিয়ে। যারা আবেগ দিয়ে করে তাদের জন্য রাজনীতিটা খুব কঠিন হয়ে যায়। আবেগ না থাকলে কোন মুক্তিযোদ্ধা কী যেত যুদ্ধ করতে। বাশে দা কুড়াল নিয়ে পাক বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে গিয়েছিল তারা। আমি দেখেছি আমার বাবা যখন নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন বল্লম দা নিয়ে তারা উদ্যত হয়েছিল। একজন বঙ্গবন্ধুর কারনেই এই বিষয়টা সম্ভব হয়েছে।

তিনি হাদীসের বর্ণনা দিয়ে বলেন, আমি যদি অবৈধ কার করি আমার ছেলে মেয়েও হাশরের ময়দানে আমাকে চিনবে না। সুতরাং আমি এমপি গাজী ভাই মন্ত্রী আমাদের এ সম্মান আল্লাহ দিয়েছেন। সব ধর্মই ভাল কথা বলে কোন ধর্ম খারাপ কথা শেখায় না। ভূল করার পর র‍্যে সংশোধন করে তাকে আল্লাহ বেশি পছন্দ করেন।

এখানে অনেকে আছেন যাদের পরিবার মুক্তিযুদ্ধ না করলেও বঙ্গবন্ধু হত্যার পরে বাবা মা একসাথে যুদ্ধ করেছে আমার বড় ভাই নাসিম ওসমানের নেতৃত্বে। আজকে দেশে যে ষড়যন্ত্র হচ্ছে তা আপনারা৷ আমার চেয়ে কম জানেন না। এটা শুধু শেখ হাসিনার সরকারকে ফেলে দেয়ার ষড়যন্ত্র না। এটা হচ্ছে রাষ্ট্রকে ধ্বংস করে দেয়ার জন্য। রাষ্ট্রের মূল কাঠামেগুলোকে দেশের বাইেরে থেকে বসে প্রতিনিয়ত আঘাত করা হচ্ছে।

বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার ইনভেস্ট করা হচ্ছে এই রাষ্ট্রটাকে তালেবান রাষ্ট্র বানাতে। আমাদের সচেতন থাকতে হবে কারন আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম এই দেশে থাকবে। আপনারা ভাল কাজ করবেন আপনাদের প্রশংসা করবো খাপ কাজ করবেন আওনাদের বিরুদ্ধে কথা বলবো। এখানে কোন ছাড় হবে না। কারন আল্লাহর কাছে আমাকে জবাবদিহি করতে হবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here