প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী দিপু-পলু প্যানেল নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন ১৪ জন। এই প্যানেলের সভাপতি প্রার্থী এড. আনিসুর রহমান দিপু জানান, দলের কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্যানেল প্রত্যাহার করে নিয়েছেন তারা। বঙ্গবন্ধু আইনজীবী পরিষদের ব্যানারে প্যানেল দিয়েছিলেন এড. আনিসুর রহমান দিপু এবং এড. হাবিব আল মুজাহিদ পলু।
মনোনয়ন প্রত্যাহারের বিষয়টি নিশ্চিত করে আইনজীবী সমিতি নির্বচনের কমিশনার এড. আব্দুর রহিম বলেন, ওই প্যানেলের ১৪ প্রার্থী তাদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। তিন প্রার্থী আপ্যায়ন সম্পাদক পদে এড. মামুন সিরাজুল মজিদ, ক্রীড়া সম্পাদক পদে এড. সোহেল আজাদ, ও সমাজসেবা সম্পাদক পদে এড. রোমেল মোল্লা প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেন নাই। উল্লেখ্য, রবিবার (১৯ জানুয়ারি) ছিল মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন।
এদিকে মনোনয়ন প্রত্যাহারের সময় ছিলেন না দিপু-পলু প্যানেলের কোন প্রার্থী। তাদের পক্ষে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেন সিনিয়র আইনজীবী এড. সামছুল ইসলাম ভুঁইয়া। এই সময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এড. আশরাফুল ইসমাইল রাফেল প্রধান। কিন্তু প্রার্থিতা প্রত্যাহারে কোন প্রার্থী উপস্থিত না থাকায় তৈরি হয়েছে ধুম্রজাল।
আগামী ২৯ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য আইনজীবী সমিতির কার্যকরী কমিটির (২০২০-২১) নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকেই নির্বাচন কমিশনের বিরোধীতা করেন আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতা এড. আনিসুর রহমান দিপু। আওয়ামী লীগের মনোনীত প্যানেল থাকা সত্ত্বেও তাঁর নেতৃত্বে প্যানেল ঘোষণা করেন। নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের অংশ হিসেবেই প্যানেল দিয়েছেন বলেও আইনজীবী সমিতির চারবারের সভাপতি আনিসুর রহমান দিপু। প্যানেল ঘোষণার মধ্য দিয়ে বেশ আলোচনার সৃষ্টি করেন তিনি। এতে আওয়ামী লীগ সমর্থিত আইনজীবীরা দুই ভাগ হয়ে যায়।
ওদিকে এই প্যানেলের তিন প্রার্থীকে মারধর ও লাঞ্চিত করা হয়েছে বলে রবিবার (১৯ জানুয়ারি) সকাল থেকেই আদালতপাড়ায় গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল। তবে এ বিষয়ে সরাসরি দিপু-পলু প্যানেলের কেউ মুখ খুলতে রাজি হননি। অন্যদিকে এই প্যানেলের প্রার্থীদের বাড়ির সামনে সন্ত্রাসী মহড়া দেওয়া হচ্ছে বলেও স্থানীয় দৈনিকে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এতসব আলোচনার অবসান ঘটিয়ে নতুন করে আলোচনায় দিপু-পলু প্যানেলের নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার বিষয়টি।
নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার বিষয়ে এড. আনিসুর রহমান দিপু বলেন, এটা আমার দলীয় সিদ্ধান্ত। বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ ও আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্যানেল প্রত্যাহার করেছি। আওয়ামী লীগের দুই প্যানেল থাকবে না এটাই হচ্ছে ব্যাপার। এই প্যানেলের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিলেন, সিনিয়র সহসভাপতি পদে এড. আনোয়ার হোসেন, সহ-সভাপতি পদে এড. জসিম উদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে এড. সোহেল মিয়া, কোষাধ্যক্ষ পদে এড. আল মামুন ভূঁইয়া, লাইব্রেরিয়ান পদে এড. নজরুল ইসলাম, সাহিত্য সম্পাদক পদে এড. হোসেন সোহেল এবং আইন ও মানবাধিকার সম্পাদক পদে এড. রঞ্জিত চন্দ্র দে। এছাড়া সদস্য পদে রয়েছেন এড. ইখতিয়ার হাবিব সাগর, এড. আকবর হোসেন, এড. শাহানাজ জামান, এড. আব্দুর রহিম, এড. আজিম ভূইয়া।
প্রসঙ্গত, আগামী ২৯ জানুয়ারি জেলা আইনজীবী সমিতির কার্যকরী পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার এড. আখতার হোসেন। অন্য কমিশনাররা হলেন, সিনিয়র আইনজীবী এড. আশরাফ হোসেন, এড. মেরিনা বেগম, এড. আব্দুর রহিম, এড. শুকচাঁদ সরকার।