বৈশ্বিক মহামারিতে ঝিনাইদহে গরুর হাট বন্ধ ! ক্রেতা না  থাকায় চিন্তিত খামারীরা

0

প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ জিয়াউর রহমান জিয়া মহেশপুর প্রতিনিধি: কোরবানি উপলক্ষে বছর ধরে লালন পালন করা গরু নিয়ে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন ঝিনাইদহের খামারিরা। একদিকে গোখাদ্যের চড়া দাম। অন্যদিকে বৈশ্বিক মহামারি করোনার কারণে পশু হাট বন্ধ ও ক্রেতা সংকট হওয়ায় কপালে চিন্তার ভাজ। এ অবস্থায় স্বাস্থ্য বিধি মেনে হাট চালু করা ও খামারিদের সরকারি প্রণোদনার ব্যবস্থা করার দাবী তাদের।

ঝিনাইদহ সদর উপজেলার দূর্গাপুর গ্রামের খামারী মোহাম্মদ শাহআলম। গত ৪ বছর যাবত যুবরাজ নামের একটি গরু লালন-পালন করছেন। তার খামারে থাকা অন্তত ৫০ মণ ওজনের ষাড়টির দাম হাকছেন ৩০ লাখ টাকা। কিন্তু করোনা কারণে ক্রেতা না থাকায় গরু বিক্রি করা নিয়ে চিন্তিত সে। সদর উপজেলার নারিকেলবাড়ীয়া গ্রামে গড়ে তোলা এ খামারে মাঝারি থেকে বড় জাতের ৩২ টি গরু রয়েছে। একদিকে গো খাদ্যের চড়া দাম আর অন্যদিকে করোনার কারণে গরুর কাঙ্খিত দর না পাওয়ায় দুশ্চিন্তায় রয়েছেন পারভেজ মাসুদ লিল্টনের মতো প্রান্তিক গোখামারিরাও। গরু কিনতে তেমন একটা খামারে আসছেন না ব্যাপারিরা।

একই দশা জেলার অন্যান্য খামারীদের। করোনার কারণে জেলার পশুর হাটগুলো বন্ধ থাকায় বিক্রি হচ্ছে না গরু। ক্রেতা সংকট আর লোকসান আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে জেলার খামারিরা। এ অবস্থায় দ্রুত হাটচালু করা আর সহজ শর্তে ঋণ সহায়তার দাবী তাদের। হাট মালিকরা বলছে, দ্রুত হাট চালু না করলে তাদের পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্থ হবে খামারীরা। এ জেলায় কোরবানি উপলক্ষে অনেক গরু লালন পালন করে খামারীরা। আমার দেখা মতে এ জেলায় অনেক বড় বড় গরু রয়েছে। এরমধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ যুবরাজ। এটি স্বাস্থ্য সম্মত প্রাকৃতিক খাবার খেয়ে প্রতিপালিত হচ্ছে।

যুবরাজকে দেখে অনেক খামরি উদ্বুদ্ধ হয়ে জেলার বিভিন্ন জায়গায় বড় বড় গরু লালন পালন করছে। আমরা আশা করছি গরুগুলো ভাল দামে বিক্রি করতে পারবো। স্থানীয় সরকার বিভাগ পশুর হাট বন্ধ রেখেছে। তবে আগামী ২৩ অথবা ২৫ জুলাই থেকে ঈদের আগ পর্যন্ত একটানা গরুর হাট খোলা রাখা হবে বলে জানান জেলার শীর্ষ এই কর্মকর্তা। পে;অফঃ জেলা প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্য মতে, জেলায় ১২ হাজার ৬ শত ৫৬ টি খামার রয়েছে। এতে প্রায় ৬১ হাজার ছোট বড় গরু রয়েছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here