মহেশপুরে সামন্তা মমিনতলার ১২ কিলোমিটা রাস্তার বেহাল দশা, জনদূর্ভোগ চরমে

0

প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ জিয়াউর রহমান জিয়া মহেশপুর (ঝিনাইদহ) সংবাদদাতাঃ  ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার কাজীরবেড় থেকে মমিনতলার ১২ কিলোমিটার রাস্তার বেহাল দশা । রাস্তা চলাচলে পথচারীদের ভোগান্তি চরমে পৌছেছে। গত ১০- ১২ বছর ধরে রাস্তার কোন কাজ না হওয়ায় এবছর বর্ষায় রাস্তায় পানি বেধেঁ তা একেবারেই চলাচলের অনুপযোগী হয়েছে পড়েছে।

ভোগান্তিতে পড়ে জনসাধারন বিভিন্ন সময় আবেদন,অভিযোগ জানিয়েও কোন সুরাহা হয়নি।  উপজেলার সামন্তা গ্রামের মুজিবর রহমান জানান, সাবেক সংসদ সদস্য নবী নেওয়াজের আমলে মহেশপুর হতে দত্তনগর হয়ে জিন্নাহনগর ভায়া কাজীরবেড় হতে সামন্তা মমিনতলা হয়ে যাদবপুর হতে মহেশপুর মহিলা কলেজ পর্যন্ত ৪৮.৫০০ কিলোমিটার পর্যন্ত প্রায় ৮০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়। যার মধ্যে খালিশপুর হতে দত্তনগর ও যাদবপুর হতে রুলি মোড় পর্যন্ত আংশিক কাজ সমাপ্ত হয়। অন্যদিকে রুলি মোড় হতে সামন্তা পর্যন্ত রাস্তাটি এতোই খারাপ হয়ে গেছে যে আমরা একটু বৃষ্টি হলেই আর চলাচল করতে পারি না ।

কাজীরবেড় গ্রামের আয়ুব আলী জানান, রাস্তাটির অবস্থা এতই খারাপ যে, আমার পরিবার সহ এলাকার কোন মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বাইরে নিয়ে যাওয়ার মত অবস্থা নেই। যার কারণে এলাকার মানুষ চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।  বাঁশবাড়ীয়া মড়ের এক পথচারি বাবুল হোসেন এর সাথে কথা হলে তিনি জানান, সরকার আসে সরকার যায় কিন্তু এই সরকার এক নাগাড়ে থাকলেও আমাদের জন গণের ভাগ্যের কোন উন্নয়ন হচ্ছে না। যার নমুনা এই রাস্তাটি।  আলহাজ্ব মফেজউদ্দিন একাডেমি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জানান, আমি প্রতিদিন ১২ কিলোমিটার রাস্তা মাড়িয়ে বিদ্যালয়ে আসি।

কিন্তু একটু বৃষ্টি হলেই আর এই রাস্তাদিয়ে চলাচল করতে পারিনা।  বাঁশবাড়ীয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক মন্ডল জানান, রাস্তাটির খুবই খারাপ অবস্থা এলাকার বেশিরভাগ মানুষ এই রাস্তা ব্যবহার করে উপজেলা সদর সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাজ কর্ম করতে জেলা শহরে যায়। তাই এই রাস্তাটি অতিদ্রুত সংস্কার প্রয়োজন। কাজীরবেড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সেলিম রেজা জানান, এই রাস্তাটি এই হচ্ছে এই হচ্ছে বলে ৩-৪ বছর চলে গেল কিন্তুু রাস্তাটির কি হচ্ছে আমরা জানি না।

সাবেক এমপি নবী নেওয়াজের আমলে রাস্তাটি উদ্বোধন হয়ে পুরা ৪৮ কিলোমিটারের বিভিন্ন জায়গায় ব্রীজ কালভাট তৈরি হলেও আমার ইউনিয়নের এই গুরুত্বপূর্ণ অংশ টুকু একেবারেই চলাচলের অন উপযোগি হয়ে পড়েছে। আমরা এই অবস্থায় যেতে পারছি না মহেশপুর অথবা পাশের উপজেলা জীবননগরে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here