মতলব উত্তরে খাদ্য সামগ্রী নিয়ে কর্মহীন অসহায় দারিদ্র মানুষের পাশে দিপু চৌধুরী,মাহি চৌধুরী

0

প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ কামাল হোসেন খান মতলব (চাঁদপুর) সংবাদদাতা  মতলব উত্তর উপজেলার ছেংগারচর পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের বারআনী গ্রামে করোনা ভাইরাসের সঙ্কট মোকাবিলায় অসহায় দরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন সাবেক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম এর জৈষ্ঠ্য পুত্র কেন্দ্রীয় আওয়ামী যুবলীগের সাবেক সদস্য সাজেদুল হোসেন চৌধুরী দিপু ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক আশফাক হোসেন চৌধুরী মাহি।

রবিবার ১৯ এপ্রিল সকালে ছেংগারচর পৌরসভার বারআনী গ্রামে সামাজিক দূরুত্ব বজায় রেখে করোনায় কর্মহীন ও অসচ্ছল শতাধীক পরিবারের মাঝে খাদ্যসামগ্রী ও পবিত্র মাহে রমাজান মাসের নিত্যপয়োজনীয় খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হয়। এ সময় ছেংগারচর পৌর আ’লীগ নেতা চাঁন মিয়া সরকার, যুবলীগনেতা উজ্জল সরকার, ছেংগারচর পৌর স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ জনি সরকারসহ বিভিন্ন নেতৃ বৃন্দ এসময় উপস্থিত ছিলেন। এসময় মুঠোফুনে সাজেদুল হোসেন চৌধুরী দিপু বলেন, করোনার প্রভাবে আমাদের এলাকার অসংখ্য নারী-পুরুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছে।

কর্মহীন হয়ে পড়া এসব অসহায় দারিদ্র মানুষের কথা চিন্তা করেই আমাদের প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামীলীগের সভাপতি শেখ হাসিনার নির্দেশনায় ছেংগারচর পৌরসভাসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় আমার নিজস্ব (ব্যাক্তিগত) অর্থায়নে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বেকার হয়ে পড়া চালক, দিনমজুর ও দুস্থ পরিবারগুলোকে চাউল, ডাল, আলু,তেল, পেঁয়াজ, লবণ ও সাবান এসব খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। যত দিন করোনার প্রভাব থাকবে, ততদিনই এ খাদ্যসামগ্রী বিতরণ অব্যহত থাকবে।

অতি নিকটে পবিত্র মাহে রমজান মাস। রমজান মাসেও রমজানের নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী বিতরণ অব্যাহত থাকবে। সাজেদুল হোসেন চৌধুরী দিপু তিনি আরও বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন একজন মানুষ না খেয়ে থাকবে না। তেমনি আমার দিন মজুর দুঃস্থ ভাইরা কোন ভাবেই না খেয়ে থাকবে না। প্রধানমন্ত্রীর সে নির্দেশনাা মোতাবেক আমি যতদিন বেঁচে থাকবো ততদিন তাদেরকে সহযোগিতা করবো।আমি সবার উদ্দেশ্যে বলতে চাই যে, এই মুহূর্তে আপনারা ঘরে থাকুন সবাই ঘরে থাকুন। আপনি বাঁচলে, আপনার পরিবার বাঁচবে, দেশ বাঁচবে। সাজেদুল হোসেন চৌধুরী দিপু আরো বলেন আপনাদের কাছে আমার অনুরোধ আপনারা প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ মেনে চলুন।নিজেরা ঘরে থাকুন, অন্যকে সুস্থ রাখুন। জনসমাগম করবেন না।

সরকারি সিদ্ধান্ত ছাড়া দোকানপাট খুলবেন না। খুব জরুরি প্রয়োজন ছাড়া যানবাহনে চলাফেরা করবেন না। দলমত
নির্বিশেষে সকালের কাছে ত্রাণসমগ্রী পৌঁছে দেওয়া হবে। যতদিন পর্যন্ত এই সঙ্কট থাকবে ততদিন আমার বাবা মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম, আওয়ামী লীগ, আমরা এবং আমাদের দলীয় নেতাকর্মী আপনাদের পাশে আছি। তিনি আরও বলেন, যতদিন এমন পরিস্থিতি থাকবে ততদিন সামর্থ অনুযায়ী মানুষের মুখে খাবার তুলে দেওয়ার চেষ্টা করবো। প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন একজন মানুষও না খেয়ে থাকবে না। আমরা তার কর্মী। তার আদর্শ লালন করি। তার চিন্তা, তার নির্দেশই আমাদের শিরোধার্য। তাই আমরাও বলতে চাই, বঙ্গবন্ধুর এই সোনার বাংলায় একজন মানুষকেও আমরা না খেয়ে থাকতে দেব না, ইনশালাহ।

সাজেদুল হোসেন চৌধুরী দিপু বলেন, আমি ও আমাদের পরিবার রাজনীতি করে মতলবের মানুষের কল্যানের জন্য। আমার বাবা মায়া চৌধুরী মতলবের উন্নয়নের রুপকার। মতলবে যত উন্নয়ন হয়েছে তা আমার বাবার মাধ্যমে হয়েছে। আমার রাজনীতি করার উদ্দেশ্য হল মানুষের সেবা করা, কল্যাণ করা, এলাকার উন্নয়ন করা। আমি মতলববাসীর মনে সারাজীবন বেঁচে থাকতে চাই। যতদিন বাঁচব মতলবাসীর কল্যাণে আমার সাধ্যমতো উজাড় করে দিতে চাই। আমি এই সংকট মোকাবেলায় আমার সাধ্যমতো চেষ্টা করে যাচ্ছি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here