চাঁদপুরে শ্বশুর বাড়িতে এসিআই কম্পানির ‘ফয়সাল’ করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু।

0

প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ কামাল হোসেন খান মতলব (চাঁদপুর) সংবাদদাতা চাঁদপুরে মতলব উত্তরের ফয়সাল নামে এক যুবক চাঁদপুর সদরের কামরাঙ্গা গ্রামে শ্বশুর বাড়িতে মারা যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে।নারায়ণগঞ্জ ফেরত যুবক চাঁদপুরে করোনাভাইরাস উপসর্গ নিয়ে শ্বশুর বাড়িতে মারা গেছেন। মৃত্যুর পর তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
১১ এপ্রিল শনিবার রাতে চাঁদপুর সদর উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের কামরাঙ্গা গ্রামে চিকিৎসক ও প্রশিক্ষিত
স্বাস্থ্যকর্মীদের উপস্থিতিতে তার দাফন সম্পন্ন হয়।রাতেই তার শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত,এর আগে আরেক নারী একই উপসর্গ নিয়ে মারা যান বলে সবাই সন্দেহ করে। কিন্তু পরে তার নমুনা পরীক্ষা করলে নেগেটিভ রিপোর্ট পাওয়া যায়। মৃত মো. ফয়সাল (৪১) গত ২৬ মার্চ তার কর্মস্থল নারায়ণগঞ্জে সর্দি, জ্বর ও কাশিতে আক্রান্ত হন। তারপর তিনি কিছুটা সুস্থ হলে ১ এপ্রিল চাঁদপুর সদরের কামরাঙ্গা গ্রামে শ্বশুর বাড়িতে ফিরেন। এর মধ্যে আবারও তার সর্দি, জ্বর ও কাশি দেখা দেয়। তারসঙ্গে রক্তের উচ্চচাপও বেড়ে যায়। এই পরিস্থিতিতে শনিবার বিকেলেমারা যান মো. ফয়সাল। চাঁদপুরের সিভিল সার্জন ডা.সাখাওয়াত উল্লাহ জানান, গত দুই দিনে করোনা ভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে আক্রান্ত আরোতিনজন রোগী চিহ্নিত হয়েছে।

এদের মধ্যে দু’জনকে মতলব উত্তর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং একজনকে রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া চাঁদপুর সদরে মৃত রোগীর নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। ১২ এপ্রিল রোববার এ নমুনা ঢাকায় আইইডিসিআর-এ পাঠানো হবে।রামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আল মামুন পাটোয়ারী বলেন,‘আমি বিষয়টি স্বাস্থ্য বিভাগকে জানাই। পরে সদরউপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সাজেদা পলিন, মেডিকেল অফিসার ডা.আব্দুল্লাহ ফয়সালের নেতৃত্বে আট সদস্যদের একটি প্রশিক্ষিত দল আসে।

দলটি মৃতের শরীরের নমুনা সংগ্রহ করে। পরে নির্ধারিত নিয়ম মেনে দাফন সম্পন্ন করা হয়। এদিকে, করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত মো.ফয়সাল নারায়ণগঞ্জে এসিআই কম্পানির উৎপাদন কারখানায় কর্মরত ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি চাঁদপুরে মতলব উত্তর উপজেলায়। গত এক বছর আগে বিয়ে করেন তিনি। আর শেষ পর্যন্ত করোনার উপসর্গ নিয়ে শ্বশুর বাড়িতে এসে মারা যান মো.ফয়সাল।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here