চাঁদপুরে স্ত্রী কে গলা টিপে হত্যার অভিযোগ লাশ হাসপাতালে রেখে স্বামীর পলায়ন

0

প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ কামরুজ্জামান হারুন  চাঁদপুর প্রতিনিধি : চাঁদপুর শহরের ওয়্যারলেছ এলাকার বিউটিশিয়ান তানজিনা বেগমকে (২৫) গলা টিপে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার স্বামী জুয়েল খানের বিরুদ্ধে।

শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকালে এ তথ্য জানান চাঁদপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাসিম উদ্দিন।তিনি জানান, তানজিনাকে গলা টিপে হত্যার পর মরদেহ সদর হাসপাতালের নিচে রেখে পালিয়েছেন এক ব্যক্তি। তার স্বামী জুয়েল খানই গলা টিপে তাকে হত্যা করে মরদেহ হাসপাতালে রেখে পালিয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

চাঁদপুর সদর মডেল থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মোহাম্মদ হারুনুর রশিদ জানান, জুয়েল প্রায়ই যৌতুকের টাকার জন্য তানজিনাকে মারধর করতেন। জুয়েলের বিরুদ্ধে একটি যৌতুক ও নির্যাতনের মামলা বিচারাধীন রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, মামলা তুলে নিতে রাজি না হওয়ায় জুয়েল তার স্ত্রীকে গলা টিপে হত্যা করেন।

চাঁদপুর সদর মডেল থানার ইন্সপেক্টর আবদুর রব বলেন, আমরা তানজিনা হত্যার খবর পেয়ে হাসপাতালে যাই। সেখানে গিয়ে জানতে পারি, শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে তানজিনাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু কে ভর্তি করলেন, তার নাম হাসপাতালের জরুরি বিভাগ কর্তৃপক্ষ না লিখে উদাসিনতা দেখিয়েছেন। তবে আমরা তদন্তের স্বার্থে হাসপাতালের ওই সময়ের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছি। সেখান থেকেই জানতে পারব যে তানজিনাকে কে বা কারা হাসপাতালে রেখে গিয়েছিলেন।

জানা গেছে, ওয়্যারলেছ বাজারের টিঅ্যান্ডটি অফিসের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হারিছ বেপারির চার তলা ভবনের নিচ তলা ভাড়া নিয়ে নিজের নামে বিউটি পার্লারের ব্যবসা শুরু করেন তানজিনা।

চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার সৈয়দ আহমেদ কাজল জানান,শুক্রবার সন্ধ্যায় নিহতের স্বামী মৃতাবস্থায়ই ওই নারীকে হাসপাতালে নিয়ে আসে। আমি প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তার ইসিজি পরীক্ষার ফাঁকে তার স্বামী পালিয়ে যায়। আমরা প্রায় একঘন্টা অপেক্ষা করার পরও তার স্বামী আর ফিরে না আসায় আমরা এটিকে অপমৃত্যু হিসেবে চাঁদপুর মডেল থানাকে অবগত করি। তবে কি কারণে তার মৃত্যু হয়েছে, তা ময়না তদন্ত শেষে নিশ্চিত করা যাবে।

চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত) আসাদুজ্জামান জানান, তানজিনা হত্যার রহস্য উদঘাটনে তদন্ত চলছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here