প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ বাড়ির কাজের মেয়ের সাথে স্বামীর পরকীয়া প্রেম ও অবৈধ শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হওয়ার খবরে কীটনাশক পান করে আত্মহত্যা করেছেন এক নারী আইনজীবী। নিহত নারী আইনজীবীর নাম সাবিকুন্নাহার রূপা (৩২)। সোমবার (৬ মে) ঘটনাটি ঘটেছে মাগুরা শহরতলীর পারনান্দুয়ালী গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের তমাল মাহমুদের স্ত্রী। এদিকে নিজের বাড়ির কাজের মেয়েকে আগেই বিয়ে করেছেন বলে দাবি করেছেন নিহত রূপার অভিযুক্ত স্বামী তমাল। যদিও বিয়ের পক্ষে তিনি কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। অন্যদিকে অভিযুক্ত কাজের মহিলা স্বামী পরিত্যাক্তা বলে জানা গেছে।
নিহত নারী আইনজীবী রূপার ভাই বাবু মোল্যা জানান, ১২ বছর আগে তার বোন রূপার সাথে মাগুরা শহরতলীর পারনান্দুয়ালী গ্রামের তমাল মাহমুদের বিয়ে হয়। আইনজীবী হিসেবে সনদ প্রাপ্তির পর এ্যাডভোকেট শাখারুল ইসলাম শাকিলের চেম্বারে জুনিয়র হিসেবে কাজ করতেন রূপা। এই সুযোগে বাড়ির কাজের মহিলার সাথে অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে রূপার স্বামী তমাল। পরে তাদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক হলে অন্তসত্ত্বা হয়ে পড়ে কাজের মহিলা। এরপরই বিষয়টি নজরে আসে রূপার।
এ ব্যাপারে রূপা তার পরিবারে নিকট জানালে গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গীপাড়া থেকে রোববার তারা তমালের বাড়িতে আসেন। রাতে স্ত্রী রূপা তার স্বামীর নিকট অনৈতিক কর্মকাণ্ডের জবাব চাইলে তমাল তার ওপর নির্যাতন চালিয়ে সকালেই বাড়ি থেকে চলে যেতে বলে।
পরে রোববার রাতেই স্বামীর ওপর অভিমান করে ঘরে থাকা কিটনাশক পান করে রূপা। বিষয়টি জানতে পেরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে সোমবার ভোর রাতে উন্নত চিকিৎসার জন্য রূপাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার বেলা ১১টায় মারা যায় রূপা। এ বিষয়ে নিহত আনইনজীবী রূপার অভিযুক্ত স্বামী তমাল মাহমুদ দাবি করেন, তিনি তার বাসার কাজের মহিলাকে আগেই ‘বিয়ে’ করেছেন। যদিও সেই বিয়ের পক্ষে তিনি কোনো কাগজপত্র বা দলিল দেখাতে পারেননি।