মুন্সীগঞ্জ শ্রীনগরের অধিকাংশ গ্রাম গুলো বানরের দখলে

0

প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রতি‌নি‌ধিঃ বন ও খাবারের উৎস কমে যাওয়ায় বানরের দল হানা দিচ্ছে ফসলি জমি ও মানুষের বাড়িঘরে,পথচারীদের হাত থেকেও খাবার ছিনিয়ে নিচ্ছে প্রাণীগুলো। তবুও এদের প্রতি ভালোবাসা ও আগ্রহের কমতি নেই গ্রামবাসীর এমন দৃশ্য দেখা যায় মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার বাড়ৈখালি ইউনিয়নে । রাস্তা, বাড়ির উঠান, ছাদ, টিনেরচাল, গাছপালা সব জায়গায় বিচরণ করছে ছোট-বড় বানরের দল” কোনো দলে ২০টি কোনো দলে ৩০টি আবার কোনো দলে এর চেয়েও বেশি বানর দেখাযায়।

শ্রীনগর উপজেলার খাহ্রা ও মদনখালী গ্রামে শতবছর ধরে মানুষের সঙ্গে বসবাস করছে কয়েকশ বানরের দল। স্থানীয়দের কাছে বানরগুলো গ্রামের ঐতিহ্যের অংশ তাই বানরের গ্রাম বলেও সুপরিচিত ঐ গ্রাম। এসব বানর দেখতে দূর-দূরান্ত থেকেও ছুটে আসেন শত শত মানুষ। গ্রামটির বেশির ভাগ অংশ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর”এখানে দীর্ঘদিন ধরে অবস্থান করছে বানর বর্তমানে বানরের সংখ্যা প্রায় ৫ হাজারের মত হবে।

তবে দিন দিন বনজঙ্গল কমে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছে বানরগুলো,প্রতিনিয়ত খাবারের সন্ধানে ফসলি জমি ও মানুষের বাড়িঘরে হানা দিচ্ছে তারা। গাছের ফল থেকে শুরু করে বাড়িঘরের ভেতরে কোথাও কোনো খাবার রাখা যায় না,সুযোগ পেলেই বানরগুলা এসে নিয়া যায়।’ অন্যদিকে ক্রমশ কমেছে গাছপালা ও খাবারের উৎস। খাবার সংকটে বর্তমানে বেড়েই চলছে বানরের উৎপাতে সমস্যা এতটাই প্রকট যে, ঐতিহ্যের অংশ বানরের বিড়ম্বনায় অতিষ্ঠ এলাকাবাসী।

নিত্যপ্রয়োজনে চলাচল ও স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীদের যাতায়াত করতে হচ্ছে আক্রমণের ভয় নিয়ে। বানরের যন্ত্রণায় দিনের বেলা খাবার নিয়ে বাসায় আসা যায় না রাতে লুকিয়ে খাবার আনতে হয়। এলাকার গাছপালার সব ফল বানর খেয়ে ফেলে, বানরগুলোকে খাবারের ব্যবস্থা করতে হবে নয়তো বন বিভাগকে অন্য কোনো ব্যবস্থা নিতে হবে।সময়ের সঙ্গে বংশ বিস্তারে বেড়েছে বানরের সংখ্যা। আক্রমণের শিকার হচ্ছে ছোট-বড় অনেকে। ঘরে রাখা খাবার লুট, সবজি, ফলমূল খেয়ে বিনষ্ট আর গৃহপালিত পশুর ওপরও হামলা চালাচ্ছে প্রায়।

এ বিষয়ে মুন্সিগঞ্জ বন বিভাগের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আবু তাহের জানান, গ্রাম দুটিতে বহু বছর ধরে বানর আছে। খাবার সংকটে বন্যপ্রাণীদের আক্রমণ বাড়ছে। এক্ষেত্রে প্রয়োজন অনুযায়ী সরকারিভাবে খাবার দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে,এরপরও অতিরিক্ত উপদ্রবকারী বানরগুলোকে প্রাকৃতিক বন ও সাফারি পার্কে পুনর্বাসনের উদ্যোগ নেওয়া হবে‘সরকারি বা বেসরকারিভাবে বানরগুলোর একটা গতি হোক এমনটাই প্রত্যাশা এলাকাবাসীর।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here