প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ রূপগঞ্জ প্রতিনিধি তানজিলা আক্তার : করোনা ভাইরাসের কারণে দীর্ঘদিন স্কুল বন্ধ থাকায় লাঠিম খেলায় মেতে উঠেছে শিশু-কিশোররা। নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার ভূলতা ইউনিয়নের বাহেলা ডাক্তার বাড়ি এলাকায় লাটিম খেলায় ব্যস্ত দেখা গেছে শিশু-কিশোরদের। এক সময় শিশু-কিশোরদের জনপ্রিয় খেলাধূলার মধ্যে অন্যতম একটি খেলা ছিল, লাটিম খেলা। অথচ সময়ের সাথে সাথে অন্যান্য গ্রামীন খেলাধূলার পাশাপাশি শিশু-কিশোরদের লাটিম খেলাটি যেন আজ সময়ের পথপরিক্রমায় হারিয়ে যেতে বসেছে।
এখনকার অনেক শিশু- কিশোরেরা জানে না লাটিম খেলা কি বা কিভাবে খেলা হতো। শহরের পাশাপাশি আজকের দিনে গ্রামের শিশু-কিশোরেরা ল্যাপটপ, কম্পিউটারের গেইমস্, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম (ফেসবুক) নিয়ে ছুটাছুটির পাশাপাশি ক্রিকেট ও ফুটবল নিয়ে বেশী ব্যস্ত থাকতে দেখা যায়। কিন্তু করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে দীর্ঘদিন লকডাউন থাকায় হারানো দিনের সেই সব খেলাগুলো নতুন করে রুপ পেয়েছে। বর্তমানে করোনা ভাইরাসের আতঙ্ক, থাবা বসিয়েছে সারা বিশ্বে। তারই জেরে ক্রিকেট ও ফুটবল কিংবা টেনিস এ সমস্ত খেলায় রয়েছে সরকারের নিষেধাজ্ঞা।
কারণ এ খেলাগুলো ১০/১২ জনের সমন্বয়ে খেলতে হয় এবং এই খেলাগুলো দেখতে আসে হাজারো উৎসুক জনতা। এতে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি। তাই এ খেলাগুলো নিষেধ করেছে সরকার। এদিকে এই মহামারিতে শিক্ষা- প্রতিষ্ঠানগুলোও বন্ধ। তাই শিশু-কিশোরেরা মেতে উঠেছে গ্রামীণ ঐতিহ্যবাহী লাটিম খেলায়। লাটিম খেলতে, একজন যেমন খেলতে পারে-তেমনি ৪/৫জনও দলবদ্ধ হয়ে খেলতে পারে এবং ভালো লাগছে। একই কথা বলেন, নাঈম, সাইদুর,রাহিম,শাহ আলী, গোলাম রাব্বি,আরিফ,আরমান, হিমেল,মাইদুল ইসলাম, সাগর,সায়েমসহ আরো অনেকে।
ফুটবল আর ক্রিকেট খেলা ছাড়া লাটিম খেলার জন্য সঙ্গী খুঁজে পাওয়া যায় না । রূপগঞ্জ প্রেসক্লাবের সিনিয়র উপদেষ্টা ও সাংবাদিক আলম হোসেন ভূইয়া বলেন, লাটিম খেলা এক সময় আমাদের গ্রামীণ সংস্কৃতির ঐতিহ্য বহন করতো। বর্তমানে গ্রামীণ খেলা বিলুপ্ত হতে হতে আজ তার অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়াই কঠিন। গ্রাম বাংলায় বিভিন্ন মেলা যেমন বৈশাখী মেলা, রথের মেলা, পৌষ সংক্রান্তি,চড়ক পুজা, শিবরাত্রি, মহররম,ঈদ এবং নানা পার্বণে হরেক রকমের তৈরি করা লাটিম পাওয়া যেত।
দেশীয় সংস্কৃতি ও গ্রামবাংলার এই ঐতিহ্য ধরে রাখতে হলে সবাইকে বিশেষ করে অঢ়িাবকদের নিজ নিজ সন্তানকে হারিয়ে যাওয়া খেলাধূলায় উদ্বূদ্ধ করতে হবে। না হলে এক সময় বিলীন হয়ে যাবে গ্রাম বাংলার এসব ঐতিহ্যবাহী খেলা লাটিম বলে মনে করেন তিনি ।