প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ তালতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি॥ বরগুনা তালতলীতে পরকীয়া সন্দেহে হাফেজ মো. আমির হোসেন (৪৫) নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলার পলাতক প্রধান আসামি উপজেলার কাজিরখাল এলাকার কুখ্যাত সন্ত্রাসী সেকান্দারঘরামীকে পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ থেকে আটক করেছে র্যাব-৮।
র্যাব সদস্যরা সোমবার সন্ধায় মির্জাগঞ্জ উপজেলার দক্ষিন আমড়াগাছিয়া এলাকা থেকে আটক করে রাতেই তাকে তালতলী থানায় সোপর্দ করেন। স্থানীয় ও মামলা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার কাজিরখাল গ্রামের সেকান্দার আলী ঘরামী ও সিদ্দিক ঘরামী গংদের সঙ্গে পাশর্^বর্তী হাফেজ আমীর হোসেন খানের সাথে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ ও গত জুন মাসের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের জেরে কয়েক দফায় সংঘর্ষ হয়েছে।
ঘটনার দিন গত ২১ অক্টোবর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে কাজিরখাল চৌরাস্তায় বসে হঠাৎ হাফেজ আমীর হোসেন খান অসুস্থ হয়ে পড়লে সোবহান মৃধা তাকে তাৎক্ষনিক রাস্তার পাশেই গোলেনুর বেগম নামের এক বিধবা মহিলার বাড়িতে নিয়ে যান। সেকান্দার আলী ঘরামী ও সিদ্দিক ঘরামী গংরা টের পেয়ে জমিজমা সংক্রান্ত ও নির্বাচনী পূর্বশত্রুতার জেরে লাঠিসোটা ও দেশীয় অস্ত্র দা, রামদা নিয়ে বিধবার বাড়িতে গিয়ে পরকিয়া করতে আসার অপবাদ দিয়ে লোকজন নিয়ে বেধড়ক মারধর করেন।
তাৎক্ষনিক খবর পেয়ে হাফেজ আমীর হোসেনের স্ত্রী মমতাজ বেগম ঘটনাস্থলে গেলে তাকেও বেধরক মারধর করে। গুরুতর অবস্থায় তাদের প্রথমে তালতলী জেনারেল হাসপাতালে ও পরে ঢাকার পিজি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাফেজ আমীর খান মারা যান। ২৫ অক্টোবর হাফেজ আমীরের ছেলে আবু বকর বাদী হয়ে ১২ জনকে আসামি করে তালতলী থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। তাৎক্ষনিক মামলার আসামি কুখ্যাত সেকান্দার আলী ঘরামীর ছেলে সাইফুল ইসলামকে (২২) পুলিশ গ্রেফতার করে জেলহাজতে প্রেরন করেন।
পটুয়াখালী র্যাব-৮ এর ডিএডি/সিএ মো. নুর ইসলাম বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে আমির হোসেন হত্যা মামলার এজাহারভূক্ত পলাতক প্রধান আসামি সেকান্দার ঘরামীকে মির্জাগঞ্জ উপজেলার দক্ষিন আমড়াগাছিয়া এলাকা থেকে আটক করে রাতেই তালতলী থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
তালতলী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল কালাম খান জানান, হাফেজ আমীর হোসেন হত্যা মামলার প্রধান আসামী সেকান্দার আলী ঘরামীকে পটুয়াখালী র্যাব-৮ এর সদস্যরা আটক করে থানায় সোপর্দ করেছে। মঙ্গলবার তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।