প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে দিতে ভারতকে চাপ দেবে না সরকার। তবে এই মুহূর্তে বাংলাদেশ তার বড় প্রতিবেশী দেশের সাথে কূটনৈতিক উত্তেজনা এড়াতে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
বুধবার (৩০ অক্টোবর) যুক্তরাজ্যভিত্তিক গণমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমস শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদের বিশেষ এক সাক্ষাৎকার প্রকাশ করেছে। সেখানেই উঠে এসে এ তথ্য।আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল শেখ হাসিনাসহ ৪৫ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করলেও ট্রাইব্যুনালের রায় ঘোষণার পর সরকার হাসিনাকে ফেরত চাইবে বলে জানিয়েছেন ড. ইউনূস। তিনি বলেন, ‘তার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে।
এই মামলার রায় ঘোষণার পর ভারতের সঙ্গে প্রত্যর্পণ চুক্তির আওতায় তাকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হবে। আমি মনে করি না যে, রায় হওয়ার আগে এটা করার দরকার আছে।গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় কোনো ফ্যাসিবাদী দলের অস্তিত্ব থাকতে পারেন না’ উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন তারা (আওয়ামী লীগ) জনগণকে নিয়ন্ত্রণ করেছে, তারা (রাজনৈতিক) মেকানিজম তৈরি করেছে, নিজ স্বার্থে দেশের প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যবহার করেছে।
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। অল্প সময়ের মধ্যে দেশে যে তিনি বা তার দল জায়গা পাবে না, সেই কথাও নিশ্চিত করেছেন ড. ইউনূস। তিনি বলেন নিশ্চিতভাবেই স্বল্প সময়ের মধ্যে বাংলাদেশে তার (শেখ হাসিনা) কোনো জায়গা হবে না, আওয়ামী লীগের কোনো জায়গা হবে না। ড. ইউনূসের মতে আওয়ামী লীগ হয়তো ভেঙে যেতে পারে। কিন্তু তার সরকার এমন কিছু করবে না, কারণ তারা ‘রাজনৈতিক সরকার নয়’।
আগামী সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অংশ নিতে পারবে কি না, এমন প্রশ্নে প্রধান উপদেষ্টা জানান, বিষয়টি দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর ‘ঐকমত্যে’র ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তাদেরকেই আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক স্থান নির্ধারণ করতে হবে’। রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার বা রাজনৈতিক দল গঠনের কোনো ইচ্ছা নেই জানিয়ে ড. ইউনূস জানান, তার সরকার এখন পর্যন্ত নির্বাচনের রূপরেখাও চূড়ান্ত করেনি।
বলেন আমাদের কাজ সবকিছু স্বাভাবিক করা এবং সংস্কার সম্পন্ন করা। নির্বাচনের সব প্রস্তুতি শেষ হলে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে এ নিয়ে আলোচনা করব।’