মতলব উত্তরে এখনো জমে ওঠেনি কোরবানির পশুর হাট

0
মতলব উত্তরে এখনো জমে ওঠেনি কোরবানির পশুর হাট

প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ঈদের বাকি আর মাত্র সাত দিন। এখনো গরুর হাট জমে না ওঠার বিষয়ে বাজারসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, চাঁদপুরের মতলব উত্তরের মানুষ ঈদের এক সপ্তাহ আগে গরু কেনেন না। মূলত রাখার ঝামেলা এড়াতে তাঁরা ঈদের দু-এক দিন আগে গরু কেনেন।

চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ঠাকুরচর গ্রাম থেকে গরুর বাজারের অবস্থা দেখতে এসেছেন পৌর যুবলীগ নেতা মোঃ নাজমুল খান। তিনি বলেন, ছেংগারচর কোরবানির পশুর হাট একটি ঐতিহ্যবাগি পশুর হাট। কেমন গরু উঠেছে, দাম কেমন, খোঁজখবর নিতে এসেছেন তিনি। গরু এখনো তেমন ওঠেনি। আজ ছিলো সপ্তাহের প্রথম হাট সোমবার। আগামী শুক্রবার হাটে আরও বেশি গরু উঠবে বলে মনে করছেন তিনি।মতলব উত্তর উপজেলার ছেংগারচর বাজার গরুর বাজারটি উপজেলার সবচেয়ে প্রাচীনতম স্থায়ী গরুর হাট।

আজ সোমবার এখানে সাপ্তাহিক হাট বসে। তবে সপ্তাহের শুক্রবার সবচেয়ে বেশি গরু বেচা-বিক্রি বেশি হয়। বাজারের গরুর বাজারের ইজারাদার মোঃ মিলন খান বলেন, কোরবানির আগে আজ সোমবার রবি ও শুক্রবার তাঁরা হাট বসান। তবে স্বাভাবিক সময়ে যা গরু হাটে ওঠে, তা-ও ওঠেনি আজ। কোরবানির আগে যে গরু বেচাকেনা হয়, তার বেশির ভাগই কৃষক পর্যায়ের গরু।

কৃষকেরা কোরবানির অনেক আগে গরু বাজারে আনা ঝামেলা মনে করেন। তাই আজকে হাটে প্রযাপ্ত গরু উঠার পরও বেচাবিক্রি তেমন হয়নি। এদিকে উপজেলার মানুষও কোরবানির দু-এক দিন আগে গরু কেনেন। ফলে বিক্রেতারা মনে করছেন, বাজারে এখন তেমন ক্রেতা আসবেন না। তাই গরু কম উঠেছে।এদিকে আজ সোমবার চাঁদপুরের মতলব উত্তরের উপজেলার সবচেয়ে প্রাচীনতম স্থায়ী গরুর হাট।

এদিন বাজার ঘুরে দেখা গেছে। আসন্ন কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে পশুর হাট এখন জমে উঠেনি। এ হাটে দেশীয় রুর আধিক্য ছিলো বেশি। গরু বেক্রির চাইতে গরু দেখা দেখি ছিলো বেশি। তবে দাম নিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। গো-খাদের দাম বেড়ে যাওয়ায় তারা যে দামের প্রত্যাশা করছেন ক্রেতারা সে দাম বলছেন না। খাদ্যের যে দাম সে অনুপাতে দাম উঠছেন না।

তাই বিক্রি করছিনা। আবার ক্রেতারা বলছেন দাম একটু বেশি মনে হচ্ছে। যেহেতু এখনও ঈদের সপ্তাহ খানেক বাকি রয়েছে তাই এখন দেখাদেখি চলছে। ছেংগারচর পশুরহাটে বিক্রেতা কলাকান্দা গ্রামের মোঃশাকিল জানান,আমি এ বছল কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে ১১টা গরু প্রস্তÍুত করেছি। আজকে বাজারে ৫টি উঠানো হয়েছে। মাশাল্লাহ বাজার ভালো। দুইটা গরু বিক্রির প্রস্তÍুতি চলছে।

২ লাখ ৪০ হাজার টাকা কেত্রা দাম বলেছেন। ২ লাখ ৫০ হাজার হলে বিক্রি করবো। আরেকটা  ২ লাখ ৭০ হাজারন হলে ছেড়ে দেব।ঘানিরপাড় গ্রামের ছোবহান সরকার বলেন, আমার গরুটা আমার চাষের গরু। এইটার দাম চাইছি সাড়ে ৫ লাখ টাকা। সাড়ে ৪ লাখ টাকা দাম ইতিমধ্যে উঠেছে। এই গরুটি আমি তিন বছর পালছি।ঝিনাইয়া গ্রামের খামারি শাহজাহান ঢালী জানান, তিনি এ বছর ৫টি গরু কোরবানি উপলক্ষে তৈরি করেছেন।

আজকে মাত্র একটি ষাড় গরু বাজারে উঠাচ্ছেন। যা দাম উঠেছে ৩ লাখ ৭০ হাজার বাজার দাম উঠেছে। ৪ লাখ টাকা দাম উঠলে বিক্রি করবেন। বাকী ৪টি আগামী শুক্রবার বাজারে উঠাবেন বলে জানান। সামনের হাটে বিক্রির পরিমাণ বাড়বে বলে জানান তিনি।গত কয়েকদিন ধরে বাজারগুলোতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে কোরবানি পশু নিয়ে আসছেন বেপারীরা।

গতকাল রাতেও বাজারগুলোতে ট্রাকে গরু এসেছে, আবার এ বাজার থেকে বেপারীরা গরু কিনে নিয়ে যাচ্ছেন ট্রাকে করে। যা অব্যাহত থাকবে কোরবানির আগের দিন পর্যন্ত।ক্রেতা ও বিক্রেতাদের উৎসাহিত করতে হাট কমিটির পক্ষ থেকে ফিস কমিয়ে দেয়া হয়। হাটে গরু প্রতি আসিল ফিস মাত্র ১হাজার টাকা রাখা হচ্ছে।

আসিলের দায়িত্বে পৌর আওয়ামীলীগের ১ নাম্বার ওয়ার্ড শাখার সভাপতি জাহাঙ্গীর ভুইয়া ও গরুর হাট ইজারাদার মিলন খান জানান। দেশীয় পছন্দের গরুর দাম মানুষের ক্ষয়-ক্ষমতার মধ্যে রয়েছে। আমাদের হাটে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের জন্য বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে। আগামী শুক্রবার এ হাটে আরো বেশি গরু আমদানি হবে।

এদিকে এ হাটে বসেছে মাংস কাটার কাজে ব্যবহৃত গাছের গুঁড়ি বা খাইট্টা বিক্রিতে। এটি স্থানীয়দের কাছে কাটলি, খুটা, ডুম নামেও বেশ পরিচিত। তবে, ক্রেতাদের অভিযোগ, গতবারের তুলনায় এবার বেড়েছে গুঁড়ির দাম। বিক্রেতারাও স্বীকার করলেন, আগের চেয়ে কমেছে গাছের পরিমাণ, এজন্য বাড়তি দামে কিনে বাড়তি দামে বিক্রি করছেন তারা।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here