দোহারে প্রবাসী স্ত্রী সাদিয়ার রহস্যজনক মৃত্যু, লাশ রেখে পালাল স্বামী।

0

প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ দোহারে সাদিয়া (১৮) এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। নিহত ওই গৃহবধুর লাশ হাসপাতালে রেখে স্বামী পালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (১৪ জুন) বিকেলে উপজেলার জয়পাড়া সাহেব-বাজার এলাকার কুঠিবাড়ী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। তিনি কুয়েত প্রবাসী মোস্তফার স্ত্রী এবং উপজেলার মাঝিরচর পূর্বচর গ্রামের জসিম খালাসির মেয়ে।

সাদিয়ার বাবা জসিম খালাসি জানান, শুক্রবার দুপুরে স্বামীর সাথে শশুর বাড়িতে যাওয়ার এক ঘন্টা পর সাদিয়াকে শশুর বাড়ির লোকজন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করার পর পরই স্বামী ও শাশুড়ীসহ সাদিয়ার লাশ হাসপাতালে রেখে পালিয়ে যায়। নিহতের পরিবারের দাবী এটি আত্মহত্যা নয়, এটি হত্যাকাণ্ড। সাদিয়াকে হত্যা করে ওরা হাসপাতালে নিয়ে এসেছে।

স্থানীয়রা বলেন, চার বছর পূর্বে মাঝিরচর পূর্বচর গ্রামের জসিম খালাসির মেয়ে সাদিয়া আক্তারের সাথে জয়পাড়া সাহেব-বাজার গ্রামের বিল্লাল শেখের ছেলে কুয়েত প্রবাসী মোস্তফা (৩০)’র প্রেমঘটিত বিয়ে হয়। গত রমজান মাসে কুয়েত থেকে ছুটিতে বাড়ীতে তৃতীয় বারের মত বেড়াতে আসেন সাদিয়ার স্বামী মোস্তফা। সাদিয়ার সাথে তার স্বামী মোস্তফার পারিবারিক সম্পর্ক ভাল ছিল। স্বামী প্রবাসী হওয়ায় অধিকাংশ সময় বাবার বাড়িতেই থাকতেন তিনি। তবে তার স্বামী ছুটিতে দেশে আসলে শশুর বাড়ীতে যাতায়াত করতেন।

মেয়ের মা আকলিমা বেগম বলেন, শুক্রবার বিকালে সাদিয়া তার স্বামীকে নিয়ে মায়ের বাড়ি থেকে উত্তর জয়পাড়ার সাহেব বাজার এলাকার শ্বশুর বাড়িতে যান। এরপরই খবর আসে সাদিয়া আক্তার গলায় রশি দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। এরপর দ্রুত হাসপাতালে ছুটে যাই। এ সময় কৌশলে হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যান সাদিয়ার স্বামী ও শাশুড়ি। পরে দোহার থানা পুলিশ হাসপাতাল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

তিনি বলেন, আমার মেয়ের গলায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। মেয়ের স্বামী মোস্তফা ও তার পরিবারের সদস্যরা পরিকল্পিতভাবে আমার মেয়েকে হত্যা করে আত্মহত্যার অপপ্রচার চালাচ্ছে। দোহার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডাঃ কাজী ওমর ফারুক জানান, মৃত সাদিয়ার স্বামী ও শশুর বাড়ির লোকজন হাসপাতালে নিয়ে আসেন। হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। তার গলায় কালো দাগ ছিল। পুলিশকে খবর দিলে হাসপাতাল থেকে লাশ থানায় নিয়ে যায়।

দোহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজ্জাদ হোসেন জানান, প্রাথমিকভাবে হত্যা না আত্মহত্যা তা বলা যাচ্ছে না । মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হতে ময়না তদন্তের জন্য সাদিয়ার লাশ ঢাকা স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হবে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর মৃত্যু রহস্য জানা যাবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here