ইন্দোনেশিয়ায় ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে ১২৯ জন নিহত

0
ইন্দোনেশিয়ায় ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে ১২৯ জন নিহত

প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইন্দোনেশিয়ার একটি স্টেডিয়ামে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে দর্শকদের সাথে নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষের ঘটনায় অন্তত ১২৯ জন নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে দুইজন পুলিশ কর্মকর্তাও রয়েছে। এ ঘটনায় আরও অন্তত ২০০ জন আহত হয়েছে। খবর বিবিসি রবিবার (২ অক্টোবর) বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, শনিবার একটি ফুটবল ম্যাচ শেষে সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় দাঙ্গাকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করার পর ব্যাপক বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয় এবং পদদলিত হয়ে হতাহতের ঘটনা ঘটে।

ইন্দোনেশিয়ার পূর্ব জাভাতে আরেমা এফসি নামে একটি ফুটবল ক্লাব প্রতিদ্বন্দ্বী পার্সেবায়া সুরাবায়ার কাছে হেরে যাওয়ার পর এই ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে আহত হয়েছেন আরও প্রায় ২০০ জন। তাদের হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলে দেশটির পূর্ব জাভার পুলিশ প্রধানের বরাত দিয়ে স্কাই নিউজ এ তথ্য জানিয়েছে।নিকো আফিন্তা বলেন, নিহতদের মধ্যে দুই পুলিশ কর্মকর্তাও রয়েছেন। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে বলা হয়, আরেমা ম্যাচটি ২-৩ ব্যবধানে হেরে যায়। দল হেরে যাওয়ায় হাজার হাজার আরেমা ভক্তরা মাঠে নেমে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।

সেই সময় মাঠে থাকা বেশ কয়েকজন আরেমার খেলোয়াড়ের ওপর হামলা হয়েছে বলেও দাবি করা হয়।নিরাপত্তা বাহিনী ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানা গেছে, কয়েক হাজার দর্শক একসঙ্গে স্টেডিয়ামে জোর করে ঢুকে পড়েন এবং পরস্পরের মধ্যে হুড়োহুড়ির সৃষ্টি হয়। এ ঘটনার বেশ কিছু ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। তাতে দেখা যায়, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ভিড় লক্ষ্য করে কাঁদানে গ্যাসের শেল ও ফাঁকা গুলি ছোড়ে। এর ফলে ভিড়ের মধ্যে পদদলিত হয়ে অনেকে মারা যান।

সংঘর্ষ থামার পর ঘটনাস্থলে হতাহতদের আশপাশে হাজার হাজার পরিত্যক্ত জুতা ছড়িয়ে-ছিটিয়ে ছিল।এ ঘটনায় ইন্দোনেশিয়ার ফুটবল লিগ এক সপ্তাহের জন্য স্থগিত করা হয়েছে এবং আরেমাকে বাকি মৌসুমের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে।ইন্দোনেশিয়ান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (পিএসএসআই) বলেছে, এই ঘটনায় তারা তদন্ত শুরু করেছে। এছাড়া এই ঘটনাটি ‘ইন্দোনেশিয়ার ফুটবলের মুখকে কলঙ্কিত করেছে’ বলেও উল্লেখ করেছে তারা।

ইন্দোনেশিয়ার সরকার ঘটনার জন্য ক্ষমা চেয়েছে এবং পদদলিত হয়ে প্রাণহানির পরিস্থিতি তদন্ত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। ইন্দোনেশিয়ার ক্রীড়া ও যুব মন্ত্রী জয়নুদিন আমালি সম্প্রচার প্রতিষ্ঠান কোম্পাসকে বলেছেন, ‘আমরা এই ঘটনার জন্য দুঃখিত… এটি একটি দুঃখজনক ঘটনা যা আমাদের ফুটবলকে এমন এক সময়ে ‘আহত’ করেছে যখন সমর্থকরা স্টেডিয়ামে ফুটবল ম্যাচ দেখতে পারে।

’তিনি আরও বলেন, ‘আমরা ম্যাচের আয়োজন এবং সমর্থকদের উপস্থিতি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে মূল্যায়ন করব। আমরা কি সমর্থকদের মাঠে যোগদান নিষিদ্ধ করার দিকে ফিরে যাব? সেটাই আমরা আলোচনা করব এখন।’

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here