প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সদ্য ঘোষিত ১৭টি ওয়ার্ডের কমিটি নিয়ে ক্ষুব্ধ হয়েছেন সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী। সিনিয়র ও ত্যাগী নেতাদের বাদ দেওয়ার অভিযোগ এনে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেনকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন তিনি। আজ শুক্রবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ শহরের দেওভোগ এলাকায় ১৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে আয়োজিত এক বৈঠকে এই ঘোষণা দেন।
বৈঠক শেষে ক্ষুব্ধ নেতা কর্মীরা কার্যালয়ে তালাঝুলিয়ে দেন। ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে সিনিয়র নেতাদের অসম্মান করার অভিযোগ এনে মেয়র আইভী বলেন, ‘এই ওয়ার্ডে আমাদের ছোটভাই এপন আর চঞ্চলকে নেতা বানায়া দিল। ওরা যদিও নেতা হওয়ার যোগ্যতা রাখে। কিন্তু আনোয়ার কাকা (মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি) প্রতিহিংসার মনোভাব নিয়ে এই কমিটি দিয়েছেন। তিনি দেওভোগকে বুঝিয়েছেন, উনি যা চাইবেন তা হবে এখানে। যেই দেওভোগে পূর্বপুরুষেরা নেতৃত্ব দিয়েছে আওয়ামী লীগের, তাদের অসম্মানিত করেছনে তিনি।
আজকে এখানে দাঁড়িয়ে দেওভোগের মানুষ হিসেবে তাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করলাম আমি।’ তিনি সভাপতির সঙ্গে সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহারও সমালোচনা করে বলেন, ‘খোকন সাহেব ও আনোয়ার সাহেব আমার হাতে গড়া। যদি তিনি মুসলমানের সন্তান হয়ে থাকেন তাহলে এখানে এসে বলুক। আর খোকন সাহা যদি ধর্মে বিশ্বাস করে তাহলে সেও বলুক। সে (খোকন সাহা) আমাকে মা ডাকত। সবাই আগের কথা ভুলে গেছে। এই কমিটি আমরা মানবো না।
আনোয়ার কাকা আর খোকন সাহেব যদি ২০০৩ থেকে কমিটি কন্টিনিউ করতে পারে,তাহলে ওয়ার্ডে যেই কমিটি আছে সেটাও কন্টিনিউ হবে।তিনি আরও বলেন, ‘সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকার ৯টি ওয়ার্ডে কমিটি হয়নাই। কারন সেটা এমপি শামীম ওসমানের এলাকা, তিনি বলেছেন তার এলাকা তার নিজের মত কমিটি করবেন। তাহলে বলতে চাই আমার নির্বাচনী এলাকার ২৭টি ওয়ার্ড। তাহলে কোন অধিকারে আপনারা আমাকে না জিজ্ঞাস করেই ১৭ টি ওয়ার্ডে কমিটি দেন? আমি ১৭টি ওয়ার্ডে পাল্টা কমিটি দেব।
এক ওয়ার্ডের লোক এনে আরেক ওয়ার্ডে বসিয়েছে। এগুলো কি ছেলেখেলা নাকি? আমি দলের বিষয়ে কখনো মাথা ঘামাইতাম না। আজকে বাধ্য হয়েছি। আমি তো আর শামীম ভাইয়ের মত বলতে পারবো না, আমার এলাকায় এটা করতে পারবেন না। কিন্তু আমার মতামত না নিয়ে যদি কমিটি করেন, সিনিয়রদের অসম্মানিত করেন তাহলে পাল্টা কমিটি দিব।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের ভেতর আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি আসাদুজ্জামান, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জিএম আরাফাত প্রমুখ।