‘’মানবাধিকার দিবস” এ মির্জা ফখরুল এর বাণী

0

প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ “ডিসেম্বর ১০ জাতিসংঘ ঘোষিত ‘মানবাধিকার দিবস’ এ আমি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মৌলিক মানবিক অধিকারহারা নির্যাতিত-নিপীড়িত মানুষের প্রতি জানাই গভীর সমবেদনা। বাংলাদেশে এখন ভয়াবহ দুঃসময় বয়ে চলছে। ক্ষমতাসীনরা বাংলাদেশকে বধ্যভূমিতে পরিনত করেছে। বর্তমান অবৈধ ক্ষমতাসীন সরকার সীমাহীন রক্তপাত ও বেপরোয়া নিপীড়ন নির্যাতনের মধ্যে দিয়ে জনগণের সকল গণতান্ত্রিক অধিকারকে হরণ করে নিয়েছে।

মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার মানবাধিকারের পরিপূরক। বর্তমানে বাংলাদেশের মানুষের মানবাধিকার শূণ্যের নিচে অবস্থান করছে। এদেশে শুধু মাত্র বিরোধীদলের নেতাকর্মিরাই শুধু নয়, সাংবাদিক, মানবাধিকার কর্মী, ছাত্র, শিক্ষক, শ্রমিক, নারী, শিশুসহ কারোই কোন নিরাপত্তা নাই। এদের অধিকাংশই গুম, গুপ্ত হত্যা এবং বিচার বহির্ভূত হত্যার শিকার হচ্ছেন। সরকারের বিরুদ্ধে সমালোচনা করলেই বিরোধীদলের নেতাকর্মীরা ছাড়াও দল নিরেপক্ষ রাজনৈতিক বিশ্লেষক, টকশো আলোচকদের বিরুদ্ধেও মিথ্যা মামলা দায়ের করা হচ্ছে এবং কাউকে কাউকে কারান্তরীনও করে রাখা হয়েছে।

বাংলাদেশে চলছে অমানবিক স্বৈরশাসন। শাসকগোষ্ঠী পদে পদে মানবাধিকার লঙ্ঘন করে চরম কর্তৃত্ববাদী দুঃশাসন কায়েম করেছে। গণতন্ত্রের জন্য যিনি বারবার আপোষহীন লড়াই চালিয়ে গেছেন সেই আপোষহীন নেত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সকল মানবাধিকার কেড়ে নিয়ে সম্পূর্ণ মিথ্যা ও সাজানো মামলায় সাজা দিয়ে বন্দী করে রাখা হয়েছে। আজকের এই মানবাধিকার দিবসে আমি বেগম জিয়ার প্রতি মনুষ্যত্বহীন নির্দয় আচরণের নিন্দা জানাই।

আমি অবিলম্বে তাঁর নি:শর্ত মুক্তি দাবি করছি।‘মানবাধিকার দিবস’ এর এ বছরের মূল থীম হচ্ছে মানবাধিকার সুরক্ষায় তারুণ্যের অভিযাত্রা” অর্থাৎ মানুষের মৌলিক মানবাধিকার সুরক্ষার জন্য তরুণদের এগিয়ে আসতে হবে। এই বাক্যটির মূল ভাব অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। যুগে যুগে তরুণরাই সমাজের অসঙ্গতি, স্বেচ্ছাচারিতা ও স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে লড়াই-সংগ্রামে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। আজও মানবজাতির অস্তিত্ব রক্ষার জন্যই মানবাধিকারের পক্ষে তরুণদেরকে সাহসের সাথে এগিয়ে আসতে হবে।

বর্তমান সরকারের শাসনামলে মানুষের ন্যুনতম বাক-ব্যক্তি স্বাধীনতা নেই। নিয়ন্ত্রিত রাজনীতির সীমিত সুযোগও কেড়ে নেয়া হচ্ছে। সভা-সমাবেশ তথা প্রতিবাদ করার ন্যুনতম সুযোগ অবশিষ্ট নেই। নাগরিক অধিকার পূণ:রুদ্ধারের জন্য আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। জাতিসংঘ ঘোষিত মানবাধিকার দিবসে এই হোক আমাদের দৃঢ় সংকল্প।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here