জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে বিএনপির মাসব্যাপী কর্মসূচি

0

প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ আগামী ৭ নভেম্বর ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ উপলক্ষে মাসব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি। বুধবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

এসময় তিনি বলেন ৭ নভেম্বর সকাল ৬টায় ঢাকাসহ সারা দেশে দলীয় কার্যালয়ে দলীয় ও জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। একইদিন সকাল ১০টায় শেরেবাংলা নগরে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজার জিয়ারত করা হবে। এছাড়া অঙ্গসংগঠনগুলো মাসব্যাপী পৃথক কর্মসূচি পালন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পাশাপাশি জনসভা করার প্রস্তাবও এসেছে। আমরা বিস্তারিত আলোচনা শেষে সিদ্ধান্ত নেবো। বিএনপির সম্পাদকমণ্ডলী ও অঙ্গসংগঠনের শীর্ষ নেতাদের সমন্বয়ে এক যৌথসভা শেষে বিএনপির মহাসচিব এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন ৭ নভেম্বর জাতীয় জীবনে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্যপূর্ণ দিন। সেসময় দেশকে একদলীয় শাসনের হাত থেকে বাঁচাতে সিপাহী জনতার সমন্বয়ে বিপ্লব সংঘটিত হয়েছিল। আজো বাংলাদেশে সেরকম পরিস্থিতি বিরাজ করছে। আমরা দেশের নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা পাচ্ছি না। বর্তমান সরকার ক্রীড়নকে পরিণত হয়েছে। অর্থনীতি ধ্বংস করে দিচ্ছে। কৃষক ধানের দামসহ উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্য মূল্য পাচ্ছে না। দেশে গণতন্ত্র না থাকায় এসব হচ্ছে।

তিনি বলেন যিনি দেশের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই-সংগ্রাম করেছেন সেই ‘গণতন্ত্রের মাতা’ দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে ২০ মাস ধরে কারাগারে বন্দি করে রেখেছে সরকার। তাঁর প্রাপ্য জামিনও দিচ্ছে না। এটা কোনও আনুকূল্য নয়। আমরা ৭ নভেম্বর সামনে রেখে মাসব্যাপী কর্মসূচির মাধ্যমে জনগণের কাছে যেতে চাই। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও মানুষের বাকস্বাধীনতা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে চাই। এসময় গুরুত্বর অসুস্থ বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকা দ্রুত আরোগ্য লাভের জন্য সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন বলে জানান মির্জা ফখরুল।

সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘সাকিব আল হাসান বাংলাদেশের প্রতিভাবান ক্রিকেট খেলোয়াড়। যে ঘটনা ঘটেছে তা খুবই দুঃখজনক। ক্রিকেটেও শাসন ব্যবস্থার প্রতিফলন ঘটেছে। আশা করবো এ ধরনের ঘটনা আর ঘটবে না। যৌথসভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেল, কেন্দ্রীয় নেতা ফজলুল হক মিলন, মীর সরফত আলী সপু, এবিএম মোশারফ হোসেন, আবদুস সালাম আজাদ, আ ক ম মোজাম্মেল হক, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের কাজী আবুল বাশার, কৃষকদলের হাসান জাফির তুহিন, মুক্তিযোদ্ধা দলের সাদেক আহমদ খান, তাঁতী দলের আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ, মৎস্যজীবী দলের রফিকুল ইসলাম মাহাতাব, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির এবিএম আব্দুর রাজ্জাক প্রমুখ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here