প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ কামরুজ্জামান হারুন: ঢাকায় প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে শনিবার বায়োফর্টিফায়েড জিঙ্কসমৃদ্ধ ব্রি ধানের বাজার সম্প্রসারণ ও জনপ্রিয়করণ’ বিষয়ে অনুষ্ঠিত গোলটেবিল আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী একুশে পদকপ্রাপ্ত বরেন্য অর্থনীতিবিদ ড. শামসুল আলম ।
অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলো যৌথভাবে গেইন বাংলাদেশ, হারভেস্ট প্লাস, বিজনেস ইন্টেলিজেন্স এবং বণিক বার্তা। দৈনিক বনিক বার্তার সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক লিমিটেড চেয়ারম্যান নাসিরুজ্জামান। সভাপতিত্ব করেন ড. রুদাবা খন্দকার। প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম বলেছেন, বাংলাদেশ নতুন পরিকল্পনার যুগে প্রবেশ করেছে।
দাতাদের প্রেসক্রিপশান না নিয়েই মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টি নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নয়ন পরিকল্পনাগুলো করেছে। তিনি আরো বলেন, নয়া জাতীয়পরিকল্পনার যুগ ২০০৯-২০২১ । এটা আরো চলবে, ২০৪১ এবং ২১০০ পর্যন্ত। এই পরিকল্পনা গুলোতে সবচেয়ে গুরুত্ত্ব পেয়েছে মানব সম্পদ উন্নয়ন। মানব সম্পদ উন্নয়ন হলেই উৎপাদনশিলতা বাড়বে। দেশ এগিয়ে যাবে। মানব সম্পদ উন্নয়নের অন্যতম বাধা হলো পুষ্টিহীনতা।
এই পুষ্টি হীনতা রুখতে জিঙ্ক সমৃদ্ধ ব্রি ধান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে তিনি মনে করেন। পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম জিঙ্কসমৃদ্ধ ব্রি ধান জনপ্রিয় করনে মিডিয়া গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। ড. শামসুল আলম আরো বলেন, রাইস পলিশিং ভোক্তাদের সাথে প্রতারণার সামিল কারন চাল পলিশিং করার কারনে চালের পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে যায়।
তাই তিনি খাদ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে পরামর্শ রাখেন, রাইস পলিশিং করা বেআইনী করতে হবে, যে জাতের ধান সে জাতের নাম করে চাল বিক্রি করতে হবে, জাত অনুল্লেখ্য চাল বিক্রি করা যাবে না। এই ধরনের আইন প্রণয়ন করে জনগনকে পুষ্টিহীনতা থেকে বাঁচানো বাঞ্ছনীয়। তাই চালের পুষ্টি গুন ঠিক রাখতে সংশ্লিষ্ট সকলেকেই এগিয়ে আসতে হবে।