এখন থেকে ব্যাংক আর ডাকঘরে মিলবে না বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র

0

প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ এখন থেকে তফসিলি ব্যাংকের শাখা বা ডাকঘর থেকে ৫ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র কেনা যাবে না। শুধু জাতীয় সঞ্চয় অধিদফতরের আওতাধীন সঞ্চয় ব্যুরো থেকে এই সঞ্চয়পত্র কেনা যাবে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ (আইআরডি) থেকে গতকাল মঙ্গলবার (১৮ মে) এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করা হয়েছে। আদেশ জারির পর গতকাল থেকেই এটি কার্যকর করা হয়েছে।

এখন থেকে যদি কোনও বিনিয়োগকারী ৫ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র কিনতে চান, তাহলে শুধু সঞ্চয় অধিদফতরের আওতাধীন শাখা অফিসগুলোতে যেতে হবে।বর্তমানে দেশে ৭০টিরও বেশি এমন সঞ্চয় ব্যুরো রয়েছে। ১৯৭৭ সালে এই সঞ্চয়পত্র প্রবর্তন করে জাতীয় সঞ্চয় অধিদফতর।

তবে জাতীয় সঞ্চয় অধিদফতরের বাকি তিনটি সঞ্চয়পত্র- পরিবার সঞ্চয়পত্র, তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্র ও পেনশনার সঞ্চয়পত্র নিয়ম অনুযায়ী আগের মতো ব্যাংক ও ডাকঘর থেকে কেনা যাবে। একজন বিনিয়োগকারী একক নামে সর্বোচ্চ ৩০ লাখ টাকা ও যুগ্ম নামে সর্বোচ্চ ৬০ লাখ টাকার ৫ বচর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র কিনতে পারেন। সব শ্রেণি ও পেশার বাংলাদেশি নাগরিক এই সঞ্চয়পত্র কিনতে পারেন। এমনকি নাবালকের পক্ষেও এই সঞ্চয়পত্র কেনা যায়।

অন্যদিকে কোনও প্রতিষ্ঠান যদি এই সঞ্চয়পত্র কেনে, তাহলে কত টাকার সঞ্চয়পত্র কেনা যাবে, এর কোনও সীমা নেই। প্রতিষ্ঠানের স্বীকৃত ভবিষ্যত তহবিলের অনুকূলেও এ সঞ্চয়পত্র কেনা যাবে।এছাড়া মৎস খামার, হাঁস-মুরগির খামার, পোলট্রি ফিড উৎপাদন, বীজ উৎপাদন, স্থানীয় পর্যায়ে উৎপাদিত বীজ বিপণন, গবাদিপশুর খামার, দুগ্ধ ও দুগ্ধজাত দ্রব্যের খামার, ব্যাঙ উৎপাদন খামার, উদ্যান খামার প্রকল্প, রেশম গুটিপোকা পালনের খামার, ছত্রাক উৎপাদন এবং ফল ও লতাপাতার চাষ থেকে উপার্জিত আয় দিয়ে সঞ্চয়পত্রটি কেনা যাবে।

এই সঞ্চয়পত্রের মেয়াদ শেষে মুনাফা নিতে চাইলে মুনাফার হার দাঁড়াবে ১১ দশমিক ২৮ শতাংশ। তবে মেয়াদপূর্তির আগে নগদায়ন করলে প্রথম বছর শেষে ৯ দশমিক ৩৫ শতাংশ, দ্বিতীয় বছর শেষে ৯ দশমিক ৮০ শতাংশ, তৃতীয় বছর শেষে ১০ দশমিক ২৫ শতাংশ, চতুর্থ বছর শেষে ১০ দশমিক ৭৫ শতাংশ হারে মুনাফা পাওয়া যাবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here