উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার ক্ষমতা কেন বেশি তা জানতে চেয়ে হাইকোর্টে রুল

0

প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ উপজেলা পরিষদে নির্বাচিত প্রতিনিধির থেকে নির্বাহী কর্মকর্তার ক্ষমতা কেন বেশি তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট। এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বুধবার (৬ জানুয়ারি) বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মহি উদ্দিন শামীমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করে।

রুলে নির্বাচিত উপজেলা পরিষদ থাকার পরও উপজেলার নির্বাহী ক্ষমতাকে (ইউএনও) বেশি ক্ষমতা দেওয়া সংক্রান্ত ৩৩ ধারা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না জানতে চাওয়া হয়েছে। মন্ত্রী পরিষদ সচিব, আইন সচিব, স্থানীয় সরকার সচিবসহ সংশ্লিষ্ট ১৬ জনকে বিবাদী করা হয়েছে। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার হাসান মুহাম্মদ শাহনেওয়া আজিম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী।

পরে আইনজীবী হাসান এম এস আজিম বলেন, উপজেলা পরিষদে একজন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি থাকা সত্ত্বেও একজন নির্বাহী কর্মকর্তাকে বেশি ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। এটা সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। বিষয়টি চ্যালেঞ্জ করে রিট দায়ের হয়েছিল। আদালত শুনানি নিয়ে রুল জারি করেছেন।

রুলে উপজেলাধীন ১৭টি বিভাগের অধিকাংশ কমিটিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে সভাপতি এবং উপজেলা চেয়ারম্যানকে উপদেষ্টা করার পরিপত্র কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তাও জানতে চাওয়া হয়েছে। এছাড়া উপজেলা পরিষদের অধীনে ১৭টি বিভাগের প্রশাসনিক ও আর্থিক শৃঙ্খলা চেয়ারম্যানের অনুমোদনবিহীন সম্পাদন করা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং উপজেলা পরিষদ আইন ১৯৯৮ ও ২০১১ (সংশোধীত) অনুযায়ী হস্তান্তরিত বিভাগসমূহের অনুমোদন ও জবাবদিহিবিহীন কার্যসম্পাদন কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তাও জানতে চেয়েছে আদালত।

বাংলাদেশ উপজেলা পরিষদ অ্যাসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি, পটুয়াখালীর দুমকী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হারুন-অর-রশিদ হাওলাদার, নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলা চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম খান বীরু, গাজীপুর সদর উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট রিনা পারভীন, কালিয়াকৈর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সেলিম আজাদ এবং চট্টগ্রাম উপজেলার মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান রাশেদা আক্তারসহ পাঁচ জন ডিসেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময়ে রিটটি দায়ের করেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here