পুরান ঢাকার ওয়ারীর বাসিন্দাদের লকডাউনের প্রস্তুতি

0

প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ মহামারী করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণের বিস্তারে রেড জোনে থাকা পুরান ঢাকার ওয়ারীর বাসিন্দারা লকডাউন তথা অবরুদ্ধ হতে চলেছেন। তার আগে পুরান ঢাকার অভিজাত হিসেবে পরিচিত এই এলাকার বাসিন্দাদের মাঝে নানা প্রস্তুতি দেখা গেছে।

শনিবার (৪ জুলাই) সকাল ৬টা থেকে টানা ২১ দিন এই লকড ডাউন অবস্থা কার্যকর থাকবে। এই সময়ে সেখানে স্বাভাবিক জীবনযাপনে থাকবে কড়াকড়ি। শুক্রবার (৩ জুলাই) ওয়ারীর বিভিন্ন এলাকায় সড়কের মোড়ে মোড়ে বাঁশ দিয়ে বানানো হয় ব্যারিকেড। মোড়ে মোড়ে টানানো হয়েছে লকডাউন লেখা ব্যানার।

অবরুদ্ধ এলাকায় ৪ থেকে ২৫ জুলাই পর্যন্ত সাধারণ ছুটি চলবে। তবে জরুরি পরিষেবা এ সাধারণ ছুটির আওতা বহির্ভূত থাকবে। লকডাউন চলাকালে হত দরিদ্রদের জন্য ত্রাণসহ অন্যান্য সহায়তা দেবে ডিএসসিসি। দুটি সড়ক ছাড়া ওয়ারীর বাকি সড়কের মুখ বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণের মেয়র তাপস।

স্বাস্থ্য বিভাগের চিহ্নিত করা ওয়ারীর এলাকাগুলো হচ্ছে ওয়ারীর ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের টিপু সুলতান রোড, জাহাঙ্গীর রোড, ঢাকা-সিলেট হাইওয়ে (জয়কালী মন্দির থেকে বলধা গার্ডেন) আউটার রোড এবং ইনার রোড হিসেবে লারমিনি স্ট্রিট, হরি স্ট্রিট, ওয়ারী স্ট্রিট, র‌্যানকিন স্ট্রিট এবং নওয়াব স্ট্রিট। করোনা প্রকোপ শুরুর পর সারাদেশে দুই মাস লকডাউনের পর এখন করোনা সংক্রমণের দিকে ঝুঁকিপ্রবণ এলাকাগুলো চিহ্নিত করে সেগুলো অবরুদ্ধ করার কৌশল নিয়েছে সরকার।

এই প্রক্রিয়ায় পূর্ব রাজাবাজারের পর ঢাকার দ্বিতীয় এলাকা হিসেবে ওয়ারীকে অবরুদ্ধ করা হচ্ছে। রাজাবাজার লকডাউনে যেসব অভিজ্ঞতা সেগুলি ওয়ারীতে লকডাউন বাস্তবায়ন করবে প্রশাসন। আর যেসব ত্রুটি-বিচ্যুতি ও চ্যালেঞ্জ রাজাবাজারে ধরা পড়েছে ওয়ারীর ক্ষেত্রে সেগুলো সর্বোচ্চ গুরুত্ব পাবে বলে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে ধারণা পাওয়া গেছে।

পাশাপাশি নতুন নতুন কৌশল, নাগরিকদের মতামত গ্রহণ ও কর্মপদ্ধতি প্রয়োগেরও চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। এজন্য ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন-ডিএনসিসিকে নির্দেশনা দিয়েছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here