ঘূর্ণিঝড় ‘আমপান’ সরাসরি বাংলাদেশ ভূখণ্ডে আঘাত হানবে

0

প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া ঘূর্ণিঝড় ‘আমপান’ ভয়ঙ্কর রূপ নিয়েছে। এতে সরাসরি বাংলাদেশ ভূখণ্ডে আঘাত হানতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।

খুলনা ও চট্টগ্রামের মধ্যবর্তী অঞ্চল দিয়ে আগামী মঙ্গলবার (১৯ মে) শেষরাত থেকে বুধবার (২০ মে) বিকেল অথবা সন্ধ্যার মধ্যে বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম করতে পারে।সোমবার (১৮ মে) ঘূর্ণিঝড় সংক্রান্ত বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতর।

১৬ নং আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘আম্পান’ উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে বর্তমানে পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণ বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থান করছে। এটি সোমবার সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১১৫০ কি. মি. দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১০৯০ কি. মি. দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, মংলা
সমুদ্রবন্দর থেকে ১০৭০ কি. মি. দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ১০৫০ কি. মি. দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল।

আরও বলা হয়, এটি আরও ঘণীভূত হয়ে উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে এবং পরবর্তীতে দিক পরিবর্তন করে উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে খুলনা ও চট্টগ্রামের মধ্যবর্তী অঞ্চল দিয়ে ১৯ মে শেষ রাত থেকে ২০ মে বিকাল/সন্ধ্যার মধ্যে বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম করতে পারে।

ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কি. মি. এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১১০ কি. মি. যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১৩০ কি. মি. পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটে সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ রয়েছে।এদিকে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ০৪ (চার) নম্বর (পুনঃ) ০৪ (চার) নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে যাতে স্বল্প সময়ের নোটিশে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে পারে। সেই সাথে তাদেরকে গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here