প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ জামিন বাতিল করা বিচারককে তাৎক্ষণিক প্রত্যাহার করে জামিন নেয়ার ঘটনায় পিরোজপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য এবং মৎস্য ও পশুসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমকে দুষলেন একই আসনের সেই সাবেক সংসদ সদস্য এ কে এম এ আউয়াল। বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) দুপুর সারে ১১টায় পিরোজপুর আওয়ামী লীগের সভাপতি আউয়াল দলের জেলা কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। তিনি অভিযোগ করেন গত মঙ্গলবার দুদকের মামলায় আমার জামিন নামঞ্জুর করতে বিচারক মো. আব্দুল মান্নানকে প্রভাবিত করেছেন মৎস্য ও পশুসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
২০০৮ ও ২০১৪ সালের এই সংসদ সদস্যের অভিযোগ মন্ত্রী রেজাউল তার প্রভাব খাটিয়ে দলের ত্যাগী নেতাকর্মীদের অবমূল্যায়ন করে নতুন ও জামায়াত-বিএনপিতে সম্পৃক্ত ব্যক্তিদের বিভিন্ন স্থানে মন্ত্রীর প্রতিনিধি হিসেবে মনোনীত করেছেন।মন্ত্রী তার ভাইদের অনৈতিকভাবে কয়েকশ কোটি টাকার ঠিকাদারি কাজ বাগিয়ে দিয়েছেন বলে অভিযোগ করে সাবেক সংসদ সদস্য আরও বলেন, ‘মন্ত্রীর ভাই শাহীনও শামীম আলোচিত জি কে শামীমের কাছ থেকে তিনটি গাড়ি উপঢৌকন হিসেবে নিয়ে পাঁচ হাজার কোটি টাকার ঠিকাদারি কাজ দিয়েছেন।
সাবেক সাংসদ মন্ত্রী রেজাউল মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন কি না তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন মন্ত্রী রেজাউল ১৯৬১ সালে জন্মগ্রহণ করেছেন। সেই হিসাবে ১৯৭১ সালে তার বয়স নয় বছর। একজন বাচ্চা কীভাবে সে সময় মুক্তিযুদ্ধে যায় ? মহান মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে এহেন মিথ্যাচার ও নিজেকে স্বঘোষিত মুক্তিযোদ্ধা দাবি করা সঠিক নয়। এর জন্য তার জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত। তিনি তার বক্তব্যে আরো অভিযোগ করেন, মন্ত্রী বিভিন্ন সময় নিজেকে খুলনা বিএল কলেজের ভিপি দাবি করেন, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং বানোয়াট।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার (৩ মার্চ) দুপুরে তিনটি মামলায় পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য এ কে এম এ আউয়াল ও তার স্ত্রী পিরোজপুর জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী লায়লা পারভীন একটি মামলায় পিরোজপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক মো. আব্দুল মান্নান জামিন না মঞ্জুর কারে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর প্রায় এক ঘণ্টার পরই জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আব্দুল মান্নান তাৎক্ষণিক বদলি করা হয়। বিকেলের দিকে মো. আব্দুল মান্নান ছুটিতে চলে গিয়ে যুগ্ম ও জেলা জজ নাহিদ নাসরিনের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করেন। বিকেল পৌনে ৪টার দিকে আউয়াল ও লায়লা পারভীনের আইনজীবীরা ভারপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ নাহিদ নাসরিনের কাছে জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিকেল চারটার দিকে নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত বিচারক বন্ডের মাধ্যমে ২০ হাজার টাকা করে নিয়ে দুই আসামির জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেন।