প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ উপকুলের দিকে প্রবল গতিতে ধেয়ে আসছে। আগামীকাল শনিবার সকালের দিকে বাংলাদেশ উপকূলে আঘাত হানতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। আবহাওয়াবিদ মো. আশরাফ উদ্দিন বলেন বাংলাদেশের উপকূল থেকে ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ এখনো কক্সবাজার থেকে প্রায় ৭০০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে। ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশ এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দিকে ধেয়ে আসছে। এটি হয়তো আগামীকাল শনিবার বা পরশু রবিবার যেকোনো সময় বাংলাদেশ উপকূলে আঘাত হানতে পারে।
প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্যে জানানো হয়েছে, দেশের উপকূলীয় অঞ্চলের বিভিন্ন জেলায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়েছে। বৃষ্টির সঙ্গে বাতাস ও শুরু হয়েছে। বিকেল থেকে দুর্যোগ মোকাবিলায় সরকারি বেসরকারি সংস্থার উদ্যোগে জনগণকে সাইক্লোন সেল্টারে যেতে মাইকিং করা হচ্ছে। সন্ধ্যা থেকে মধ্যরাতের মধ্যে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে আঘাত হানতে পারে। এ ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সাগরে ৫ থেকে ৭ ফুট পর্যন্ত জলোচ্ছ্বাস হতে পারে।
দুর্যোগ মোকাবিলা প্রস্তুতি বিষয়ে শুক্রবার (৮ নভেম্বর) সরকারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান একটি বৈঠক করেছেন। সেখানে উপকূলীয় জেলা প্রশাসকদের বিভিন্ন নির্দেশনা দিয়েছেন মন্ত্রী। ডা. এনামুর রহমান জানান, ঘূর্ণিঝড় বুলবুল মোকাবিলায় সতর্ক অবস্থান নিয়েছে সরকার। বুলবুলের কারণে উপকূলবর্তী খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পটুয়াখালী, বরগুনাসহ ১৩ টি জেলায় ২ হাজার প্যাকেট করে মোট ২৬ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার এবং প্রতি জেলায় ৫ লাখ টাকা করে অগ্রিম বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে। প্রতিমন্ত্রী জানান, ঘূর্ণিঝড় বুলবুল মোকাবেলায় উপকূলবর্তী সকল জেলা, উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি ও প্রায় ৫৬ হাজার স্বেচ্ছাসেবকদের প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুলে’র প্রভাবে উত্তাল হয়ে উঠেছে সমুদ্র। যে কারণে ৩ নম্বর সর্তক সংকেত নামিয়ে ৪ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত দিয়েছে কক্সবাজার আবহাওয়া অফিস। দুর্ঘটনার আশঙ্কায় টেকনাফ-সেন্টমার্টিন রুটে জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। এতে দেশের একমাত্র এই প্রবাল দ্বীপে আটকা পড়েছেন প্রায় ১২শ পর্যটক।