প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ ফেনীর সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসার শিক্ষার্থী নুসরাত জাহান রাফিকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা জন্য সরঞ্জামাদি কিনতে অর্থের যোগান দিয়েছিলেন পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সোনাগাজী পৌরসভার ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাকসুদ আলম।
রবিবার (১২ মে) রাজধানীর মালিবাগে অবস্থিত সিআইডি’র প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (অর্গানাইজড ক্রাইম) মোল্লা নজরুল ইসলাম এক প্রশ্নের জবাবে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। তিনি বলেন আমরা এখন পর্যন্ত যে তথ্য পেয়েছি, তাতে দেখা যায়- হত্যাকাণ্ডের আগে সোনাগাজী পৌরসভার কাউন্সিলর ও সোনাগাজী পৌর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাকসুদ আলম অধ্যক্ষ এস এম সিরাজদৌল্লাকে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা দিয়েছিলেন। এই টাকা দিয়ে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত বোরকা, হিজাব, কেরোসিন ও দড়ি কেনা হয়েছিল। এছাড়া আর কোনও লেনদেনের প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তবে বিষয়টি আমরা আরও তদন্ত করে দেখছি। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) এই কর্মকর্তা জানান, নুসরাত হত্যায় সামান্য কিছু টাকা লেনদেন হলেও মানি লন্ডারিংয়ের কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
মোল্লা নজরুল বলেন মাদরাসা শিক্ষার্থী নুসরাত হত্যার ঘটনায় কোনও মানি লন্ডারিং হয়েছে কি না, তা নিয়ে আমরা তদন্ত করেছি। তবে এখন পর্যন্ত পাওয়া তথ্যে দেখা যাচ্ছে, নুসরাত হত্যাকাণ্ডে মানি লন্ডারিং হয়নি। অল্প কিছু টাকা লেনদেন হয়েছে, তা মানি লন্ডারিংয়ের পর্যায়ে পড়ে না। এর আগে সিআইডি’র পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, নুসরাত হত্যায় কোনও মোটা অঙ্কের টাকা মানি লন্ডারিং হয়েছে কি না, তা বের করতেই সিআইডি ঘটনাটি তদন্ত শুরু করেছে। মানি লন্ডারিংয়ের প্রমাণ পাওয়া গেলে জড়িতদের বিরুদ্ধে অর্থ জালিয়াতির মামলাও দায়ের করা হবে।