আনন্দ ও উৎসব মুখর পরিবেশে সম্পন্ন হয়েছে মদনপুর রহমানিয়া উচ্চ বিদ্যালয়’র ব্যাচ – ২০০২ পুনর্মিলনী

0
আনন্দ ও উৎসব মুখর পরিবেশে সম্পন্ন হয়েছে মদনপুর রহমানিয়া উচ্চ বিদ্যালয়’র ব্যাচ – ২০০২ পুনর্মিলনী

প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ  রাজু খাঁন:  নারায়ণগঞ্জ বন্দর উপজেলাধীন ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ‘মদনপুর রহমানিয়া উচ্চ বিদ্যালয়’র ব্যাচ ২০০২ এর প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে প্রথমবারের মত পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। ”এসো স্মৃতির অঙ্গনে, মিলি প্রীতির বন্ধনে” এই স্লোগান কে সামনে রেখে নানা আয়োজনে দিনব্যাপী জমকালো ও উৎসব মুখর পরিবেশে মদনপুর রহমানিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ২০০২ ইং এসএসসি ব্যাচের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের পূনর্মিলনী ২০২৩ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে।

বন্দর উপজেলার মদনপুর সায়রা গার্ডেন এন্ড রিসোর্ট সেন্টারে বিদ্যালয়ের বর্তমান এবং প্রাক্তন শিক্ষক ও ব্যাচের সকল শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহনের মাধ্যমে এ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয় নিজ বিদ্যালয়ের যেসব শিক্ষকরা ইন্তেকাল করেছেন তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ১ মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। অনুষ্ঠান উপলক্ষে শুক্রবার ১৭ ই মার্চ গৃহিত কর্মসূচীর মধ্যে ছিলো, সকল শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহনে আনন্দ র‌্যালী, স্মৃতিচারণ, মধ্যাহ্ন ভোজ, ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

সবশেষে বিভিন্ন ইভেন্টে অংশ নিয়ে জয়ী হওয়াদের হাতে বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা পুরস্কার তুলে দেয়া হয়। অনুষ্ঠান উদযাপন কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ২০০২ ব্যাচের বাপ্পী ভূঁইয়ার প্রানবন্ত সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে মদনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব গাজী এম এ সালাম উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও রাজনৈতিক কাজে ব্যাস্ত থাকার কারনে উপস্থিত হতে পারেননি। পরে গান, আবৃত্তি, গল্প, আড্ডা আর স্মৃতিচারণায় প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা হারিয়ে যান একুশ বছর আগে তাদের কৈশোরের আনন্দ-উচ্ছ্বল দিন গুলোতে।

স্যারদের বেতের কথা, স্কুল ফাঁকি দিয়ে দোকানে আড্ডা, দোকানে বই রেখে ভিডিও গেইম খেলার কথা ইত্যাদি মন খোলা স্মৃতিচারণ করা হয় অনুষ্ঠানে। অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত উপস্থিত শিক্ষকরা ২০০২ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, “তোমরা যে যে পেশায় থাকো, সৎ উপার্জন দিয়ে ছেলে মেয়েদেরকে মানুষের মত মানুষ করে দেশের সম্পদ রুপে তৈরীর করার চেষ্টা করবে। এভাবে ২০/২১ বছর পর একসাথে মিলিত হওয়ার আনন্দটাই আলাদা, অন্য রকম এক অনুভূতির ।” আজকে এতো বছর পরও তোমারা সকলে মিলে মিশে এত সুন্দর করে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছ যা দেখে আমাদের মন বরে গেছে।

এবং এই অনুষ্ঠানে আমাদের যেভাবে সম্মানিত করেছ আজ আমারা তোমাদের শিক্ষা দিয়ে আমরা গর্ব বোধ করি। ভবিষ্যতে এভাবে তোমরা আরো ভালো কিছু করবে এটাই তোমাদের কাছে আমাদের প্রত্যাশা। পরে বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের হাতে যথাযথ মর্যাদায় শিক্ষকদের হাতে অনুষ্ঠানিক ভাবে সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেন বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। অনুষ্ঠানে ব্যাচের ছাত্রদের রাখা বক্তব্যে তারা বলেন, “শিক্ষকরা আমাদের যে শিক্ষা দিয়েছেন তাই নিয়েই আমরা জীবনের পথে চলছি। তাদের নীতি-নৈতিকতার শিক্ষাই আজ আমাদের জীবনের পাথেয়।

আমাদের জীবন সেই অর্থে এই শিক্ষকদেরই দান। তাদের সম্মানিত করার সামর্থ-সাধ্য আমাদের নেই। তাদের সম্মানিত করে আমরা নিজেরাই সম্মানিত ও গৌরবান্বিত বোধ করছি।” ২০০২ ব্যাচের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান আয়োজন সম্পর্কে আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক আলী আজগর বলেন, “সহপাঠিদের মাধ্যমে মোবাইল নাম্বার সংগ্রহ করে তাঁরা সংগঠিত হওয়া শুরু করেন। শুরু থেকেই সবার আকাঙ্ক্ষা ছিল একত্রিত হওয়ার হারিয়ে যাওয়া বন্ধুদের সঙ্গে মিলিত হওয়ার।এর মাধ্যমের সবাই সবার সুখ-দুঃখের ভাগিদার হচ্ছে। এই প্রচেষ্টার আন্তরিক রূপ হচ্ছে এই পুনর্মিলনী।”

পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তা ও আয়োজন কমিটির সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আলী আজগর ভূঁইয়া, নজরুল ইসলাম, আলহাজ্ব গাজী আরিফুল ইসলাম আলিনূর, শফিকুল ইসলাম,সেলিম, বাপ্পী ভূঁইয়া, শাহিন,আলম সহ অন্যান্যরা। ভবিষ্যতে ব্যাচ ২০০২ এই ধরনের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান সহ বিভিন্ন ধরনের আয়োজন অব্যাহত থাকবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এবং সেই সাথে ভবিষ্যতে বিভিন্ন অনুষ্ঠান উদযাপন করতে ব্যাচ ২০০২ এর উপস্থিতিতে নতুন করে কমিটি গঠন করা হয় এতে সভাপতি আলহাজ্ব গাজী আরিফুল ইসলাম আলিনূর ও সাধারণ সম্পাদক আলী আজগর ভূঁইয়া।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here