প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ নিজস্ব সংবাদদাতা: নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে ভাই-বোনদের সংঘর্ষে ৩ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ভাসুর মানিক মিয়ার ধারালো বটির কোপে সাবিনা নামে এক নারীর হাতের কব্জি বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। গ্যাস ও জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১ টার দিকে মধ্য সানারপাড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় দুজনকে আটক করেছে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ। গ্রেপ্তাররা হলেন, মানিক মিয়া (৪০) ও তার ছোট ভাই সুমন মিয়ার স্ত্রী ফাতেমা (৩২)। আহতরা হলেন, ওমর মিয়ার স্ত্রী সাবিনা (কব্জি বিচ্ছিন্ন), বোন চাঁদনী ও ইতি। সাবিনাকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, পরে পঙ্গু হাসপতালে নিয়ে গেলে অবস্থা গুরুতর হওয়ায় সেখান থেকে পিজি হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়েছে বলে পারিবারিক সূত্রে জানা যায়।
জানা গেছে, মধ্যসানারপাড় এলাকার মৃত আব্দুল মান্নানের ছেলে মানিক মিয়া, সুমন মিয়া, ওমর মিয়া, জুবায়ের মিয়া, সুজন মিয়া, বোন চাঁদনী, সুনিয়া ও ইতির মধ্যে জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। পৈতৃক বাড়ি থেকে ৩ ভাই ও ৩ বোনকে বঞ্চিত করে ভোগ-দখল করতে চায় মানিক ও সুমন। এ নিয়েই মূলত বিরোধ শুরু। তবে ভাইদের মধ্যে বিরোধ চরম রূপ নেয় অবিবাহিত বোন ইতিকে নিয়ে। কেউ তার ভরণ পোষনের দায়িত্ব নিতে চায়না।
তবে সৌদি প্রবাসী জুবায়ের মিয়ার দেওয়া অর্থ ও টিউশনি করে ভরণ পোষন ও পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছেন ইতি। ইতিকে নিয়েই সংঘর্ষের সূত্রপাত।জানতে চাইলে আহত ইতি বলেন, আমার বড় ভাই মানিক মিয়া ও সুমন মিয়া, আমাকে কোনভাবেই সহ্য করতে পারেনা। চলার কিছু খরচ দেয় সৌদি প্রবাসী ভাই জুবায়ের। মাঝে মাঝে ভাই ওমর মিয়া খোঁজ খবর নেয়। তবে তার অর্থিক অবস্থা ভালনা।
শুক্রবার দুপুরে গ্যাসের চুলায় সাবিনা ভাবী আমার জন্য খাবার রান্না করতে গেলে বড় ভাবী ফাতেমা গালাগালি শুরু করেন। তখন আমি ও বোন চাঁদনী প্রতিবাদ করলে বড় ভাই মানিক, সুমন ও ভাবী ফাতেমা আমাদের দুই বোনকে মারধর শুরু করেন। একপর্যায় মানিক ভাই ধরালো বটি দিয়ে আমাকে লক্ষ করে কোপ দেয়। তখন সাবিনা ভাবী কোপ প্রতিহত করতে গিয়ে তার হাতের কব্জি কেটে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক হুমায়ূন কবির বলেন, তারা ভাই-বোনদের মধ্যে আগে থেকেই জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছে। তার জের ধরে গ্যাসের চুলা জ্বালানোকে কেন্দ্র করে মারামারি হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দুইজনকে আটক করি। তাদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে।