ঢাকা চট্টগ্রাম সড়ক-মহাসড়কে পুলিশের নাকের ডগায় ফুটপাত বসিয়ে চাঁদাবাজি

0
ঢাকা চট্টগ্রাম সড়ক-মহাসড়কে পুলিশের নাকের ডগায় ফুটপাত বসিয়ে চাঁদাবাজি

প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ নিজস্ব সংবাদদাতা:ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জের শিমরাইল, চিটাগাং রোড, সাইনবোর্ড, কাঁচপুর, মদনপুর, মোগরাপাড়া, তারাবো, ভুলতা ও সাহেবপাড়া এলাকায় ফুটপাত বসিয়ে ব্যাপক চাদাঁবাজির অভিযোগ উঠেছে। কিছু অসাধু পুলিশ কর্মকর্তা, বিশেষ পেশার দালাল,স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, ক্ষমতাসীন দলের কিছু ছিছকেরা হকারদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে মোটা অংকের টাকা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, মহাসড়কের চিটাগাং রোড ও সাইনবোর্ড এলাকায় দুই পাশে ফুতপাত বসিয়ে প্রতিদিন লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে অসাধু চক্র।ফুতপাতের কারনে সাধারন পথচারীরা সড়ক ও মহাসড়কে অবাধে চলতে পারছে না। পরিবহনগুলো চলতে বাধাগ্রস্থ্য হচ্ছে। ব্যর্থ হচ্ছে সাধারণ জনগণ সহ আদমজী ইপিজেড এর শ্রমিকগন। এছাড়া অত্র এলাকার ফুট ওভার ব্রিজগুলো ও রেহাই পাচ্ছে না হকারদের বা ফুটপাত দোকানদারদের কারণে।

ওভার ব্রিজ শুধু জনগণ পারাপারের জন্য ব্যবহৃত হওয়ার কথা থাকলেও তার অর্ধেক দখল করে আছে ফুটপাত দোকানদাররা। তৈরি হয় বেচাকেনার ঝটলা। সেই সুযোগে ছিনতাইকারীরা ঠান্ডা মাথায় গার্মেন্টস শ্রমিক সহ পথচারীদের পকেট, ব্যাগ,হাত থেকে মোবাইল টাকা পয়সা ছিনিয়ে নেয়। ব্যস্ততম শিমরাইল চিটাগাংরোড, এলাকায় রাস্তার সাইডে একটি ড্রেন করা হয় রাস্তার পানি অপসারণ করার জন্য ওই ড্রেনের স্লাব হলো জনগনে হাটার রাস্তা।

কিন্তু রাস্তার পাশে এমন ভাবে ফুট পাত দখল করে আছে দুজন লোক যাতায়াত করার কোন উপায় থাকেনা।ধাক্কা খেতে হয় মহিলা পুরুষ সবারই।সেই ফুটপাতের হকারদের প্রতিদিন বিকালে হাইওয়ে পুলিশ এসে তাড়িয়ে দেয়।তখন হকাররা তাদের দোকান নিয়ে পালায়। আধা ঘন্টা পড়ে আবার তাদের স্থানে চলে আসে।হাইওয়ে পুলিশের কাছে জানতে চাইলে তারা বলে আমরা কতক্ষন পাহারা দিব। আমরা কি দাড়িয়ে থাকব? সেই কথার পরিপ্রেক্ষিতে বোঝাযায়, পুলিশের কাজ পুলিশ করে,হকারগন একটু ব্যায়াম করে, এর মাঝে পুলিশ এবং এলাকার কিছু চাঁদাবাজদের পকেট ভরে।

হাইওয়ে পুলিশ বলে হকারদের কাছ থেকে এলাকার কিছু ছেলেরা নিয়মিত টাকা পয়সা নেয়,তারাই এটা পরিচালনা করে।চিটাগাংরোড এর একাধিক পথচারীরা বলেন, তাদের চলা ফেরা করতে খুব অসুবিধা হয়। অনেক সময় রুগি নিয়ে চলাফেরা করতে পারি না।গার্মেন্টসে যেতে দেরী হয়।ফুটপাতের ঝটলার কারনেছিনতাই এর কবলে পড়তে হয় অনেক সময়। পথচারীরা আরও জানান, ছিনতাইকারীদের সাথে হকাররা জড়িত, হকারদের সাথে পুলিশ জড়িত,পুলিশের সাথে চাঁদাবাজ জড়িত।

তাহলে পথচারীরা হকাদের কারনে ছিনতাই কারীর কবল থেকে মুক্তি পাবেনা?সরকারী পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করতে পারবেনা? ফুটপাত এবং হকারগন এর খুটির জোর এতই বেশী? এই এলাকার প্রতিনিয়ত চলাফেরাকারী জনগন এ থেকে পরিত্রান চায় সরকারের কাছে।।এদিকে দোকানিরা জানায়, প্রতিদিন ২০০ থেকে ২৫০ টাকা দোকান বসানোর কারনে দিতে হয়। ফুতপাতে দোকান না বসালে খাব কী এমন প্রশ্নও ছিলো তাদের মুখে।

এবিষয়ে চিটাগাং রোড এলাকার ট্রাফিক বক্সের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর মো: শরফুদ্দিন বলেন, আমরা কি দাড়িয়ে থাকব?কতক্ষন দাড়িয়ে থাকা যায়। পুলিশ গেলে ফুতপাতের দোকানদাররা চলে যায়। পুলিশ চলে গেলে আবার ফুতপাত বসে।সড়ক ও জনপথের নির্বাহী প্রকৌশলী শাহানা ফেরদৌসকে একাধীকবার মুঠোফোনে ফোন যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোনটি রিসিভ করেননি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here