গ্যাস সংকট সিদ্ধিরগঞ্জে-টিপটিপ করে জ্বলা চুলায় এক গ্লাস পানিও গরম হয় না

0
গ্যাস সংকট সিদ্ধিরগঞ্জে-টিপটিপ করে জ্বলা চুলায় এক গ্লাস পানিও গরম হয় না

প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ পীর আবদুল মান্নান: নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে বিভিন্ন এলাকায় দেখা দিয়েছে গ্যাসের তীব্র সংকট। লাইনে গ্যাসের চাপ না থাকায় অনেক এলাকায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা চুলা জ্বলছে না। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ মানুষ। বাধ্য হয়েই অনেকে হোটেল থেকে খাবার কিনে খাচ্ছেন। গ্রাহকদের অভিযোগ, গ্যাস সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে। সারাদিন তারা গ্যাস পান না বললেই চলে।

এমনকি কোনো কোনো এলাকায় দিনের বেলায় সবশেষ কবে ভালোভাবে গ্যাস ছিল- তাও মনে করতে পারছেন না গ্রাহকরা।শুক্রবার (২০ অক্টোবর) সিদ্ধিরগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় সরেজমিনে এমন চিত্র দেখা গেছে। গ্যাস না থাকায় জ্বলছে না চুলা। ফলে বাধ্য হয়ে অনেকেই বিকল্প হিসেবে এলপিজি সিলিন্ডার এবং বৈদ্যুতিক চুলার ব্যবহার শুরু করেছেন। এতে রান্নার খরচ বেড়ে হয়েছে দ্বিগুণ। নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বগতিতে একদিকে সংসার চালাতে হিমশিম অবস্থা, তখন ‘মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা’হয়েছে রান্নার জ্বালানির অতিরিক্ত খরচ।

সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকায় গ্যাস সরবরাহ করে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড। সংকটের বিষয়ে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ জানায়, চাহিদার তুলনায় গ্যাস সরবরাহের পরিমাণ কম। এছাড়া নতুন করে একটি সার কারখানায় গ্যাস সরবরাহের ফলে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ এলাকার কিছু কিছু জায়গায় গ্যাসের চাপ কম থাকছে। দিনে সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকায় গ্যাসের চাহিদা ১৮০ থেকে ১৯০ এমএমসিএফডি। সাধারণত ১৭০ এমএমসিএফডি গ্যাস সরবরাহ করা হলে কোনো ঘাটতি থাকে না।

সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি এলাকার বাসিন্দা জাকির হোসেন বলেন, লাইনে দিনের বেলায় গ্যাস থাকে না বললেই চলে। ভোরের দিকে হালকা গ্যাস থাকে, সাড়ে ৮টার পর আর থাকে না। দুপুর ৩টার পর হালকা গ্যাস পাওয়া যায়, তবে তাতে ঠিকমতো রান্না হয় না।সিদ্ধিরগঞ্জের কদমতলী এলাকায় বসবাস করেন সালমা আক্তার তিনি বলেন,ভোর ৫টা থেকে ওই এলাকায় গ্যাস থাকে না সারাদিন একটু গ্যাসও পাওয়া যায় না। সন্ধ্যার পর হালকা গ্যাস আসে, যা দিয়ে রান্না করা যায় না।

রাত ১০টার দিকে গ্যাসের চাপ একটু বাড়ে। এমন অবস্থায় সারাদিন রান্না করার মতো কোনো পরিস্থিতিই নেই। ফলে বাধ্য হয়ে সিলিন্ডার ব্যবহার করছি।গ্যাস সংকটের আরও ভয়াবহ চিত্র মেলে জালকুড়ি এলাকায়। ওই এলাকার বাসিন্দা  হাফেজা আক্তার বলেন, গ্যাস না থাকায় গত এক মাসে এক দিনও চুলায় রান্না করতে পারিনি।

রাত ১২টা, কখনো ১টার সময় গ্যাস কোনোরকম আসে। ফজরের আজানের সময় আবার চলে যায়। মাঝেমধ্যে টিপটিপ করে চুলা জ্বলে। এই আগুলে এক গ্লাস পানিও গরম করা যায় না।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here