সিদ্ধিরগঞ্জে জমি বিক্রি করতে ৫ লাখ টাকা বায়না নিয়ে প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছে মিজান

0
সিদ্ধিরগঞ্জে জমি বিক্রি করতে ৫ লাখ টাকা বায়না নিয়ে প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছে মিজান

প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি : সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি বাতানপাড়া এলাকার এক প্রতারকের নাম মিজানুর রহমান। জমি বিক্রি করে ৫ লাখ টাকা বায়না নিয়ে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। দীর্ঘ দিন পালিয়ে থেকে সম্প্রতি ফিরে এসে যার কাছ থেকে বায়না নিয়েছিল তার কাছে জমি বিক্রি না করে গোপনে অন্য লোকের কাছে বিক্রি করার পাঁয়তারা করছে।

বিষয়টি জানতে পেরে যাদের সম্মুখে যিনি বায়না দিয়েছিলেন তারা বাধা দিলে উল্টো তাদের বিরুদ্ধে চাঁদা দাবির মিথ্যা অভিযোগ করে এলাকায় চরম বিতর্ক সৃষ্টি করেছেন প্রতারক মিজানুর রহমান। জানা গেছে, অন্তত সাড়ে তিন বছর আগে নাসিক ১ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ওমর ফারুকের কাছে ৫ কাটা জমি বিক্রি করেন মিজানুর রহমান।

এসময় মিজানুর রহমানের বাড়ির ভাড়াটিয়া জাকির হোসেনের মাধ্যমে ফারুকের সাথে জমি বিক্রির দর দাম হয়। পরে যেদিন ফারুক জমি কিনার জন্য মিজানুর রহমানকে ৫ লাখ টাকা হাত বায়না দেন সেসময় জাকির হোসেন, মনির ওরফে কোটিপতি মনির ও জাহাঙ্গীরসহ ৫/৬ জন উপস্থিত ছিলেন। পরবর্তি ৭ দিনের মধ্যে বাকী টাকা নিয়ে জমি রেজিষ্ট্রি করে দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু প্রতারক মিজানুর রহমান বায়নার ৫ লাখ টাকা নিয়ে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়।

জাকির হোসেন বলেন, আমার কথায় সাবেক কাউন্সিলর ওমর ফারুক হাত বানায় করেন। বায়না নিয়ে মিজানুর রহমান পালিয়ে যাওয়ার পর ওমর ফারুক আমার উপর চাপ প্রয়োগ করেন। এতে আমি চরম হতাশায় পড়ি। মিজানুর রহমান টাকা না দিলে আমি সব টাকা ফেরত দিব বলে কাউন্সিলর ওমর ফারুককে শান্ত করি। প্রায় সাড়ে তিন বছর পর মিজানুর রহমান এলাকায় ফিরে এসে ফারুকের কাছে জমি বিক্রি করবেনা বলে অন্য লোকের কাছে জমি বিক্রি করার পাঁয়তারা চালাচ্ছে। তখন আমি ও মনির মিজানুর রহমানকে বলি ফারুকের কাছে জমি বিক্রি না করলে তার দেয়া বায়নার ৫ লাখ টাকা ফেরত দিতে।

ফারুকের বায়নার টাকা ফেরত না দিয়ে অন্য লোকের কাছে জমি বিক্রি করা যাবে না বলে জানিয়ে দেই। প্রতারক মিজানুর রহমান বায়নার ৫ লাখ টাকা ফেরত না দিয়ে উল্টো আমি ও মনিরের বিরুদ্ধে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবির মিথ্যা অভিযোগ করেন। একই কথা বলেন মনির ওরফে কোটিপতি মনির। জমি বিক্রির বায়নার টাকা ফেরত চাওয়াকে প্রতারক মিজান চাঁদাদাবির রূপদিয়েছে।মিজানুর রহমানের প্রতিবেশি দুলাল মিয়া বলেন, শুনেছি মিজান এই জমি সাবেক কাউন্সিলর ওমর ফারুকের কাছে বিক্রি করে দিয়েছে।

৫ লাখ টাকা বায়না নিয়ে ৭ দিনের মধ্যে বাকী টাকা নিয়ে জমি দলিল করে দিবে বলে মিজানুর রহমান বলা বলি করছিল। পরে সে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। একই কথা বলেন আরেক প্রতিবেশি আক্তার হোসেন। সাবেক কাউন্সিলর ওমর ফারুক বলেন, আমি কাউন্সিলর থাকাকালিন জাকির হোসেন আমার কাছে মিজানুর রহমানকে নিয়ে আসে। মিজান বাতানপাড়া এলাকায় ৫ কাঠা জমি বিক্রি করতে চায়। আমি যেন জমিটি কিনি সেপ্রস্তাব দেয় জাকির।

আমি রাজি হলে দরদাম ঠিক করে জাকির হোসেন, মনির ও জাহাঙ্গীরসহ ৫/৬ জনের উপস্থিতিতে মিজানুর রহমানকে ৫ লাখ টাকা হাত বায়না করি। বায়না নেওয়ার পর মিজান এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। এখন ফিরে এসে আমাকে জমি রেজিষ্ট্রি কিংবা আমার দেওয়া বায়নার ৫ লাখ টাকা ফেরত দিচ্ছেনা।

এ বিষয়ে মিজানুর রহমান বলেন, আমি ফারুকের কাছে জমি বিক্রি করবনা। তার কাছ থেকে বায়না নেই নাই। অভিযোগ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক ইয়াউর রহমান বলেন, চাঁদাদাবির একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here