প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি : সিদ্ধিরগঞ্জে চাঁদার দাবিতে লেগুনা গাড়ি ভাঙচুর, চালক ও মালিককে মারধর ঘটনায় দায়ের করা মামলার প্রধান আসামি আতিকুর রহমান ওরফে টেম্পু আতিক প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। রহস্যজনক কারণে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করছেন না বলে ২১ আগষ্ট গ্রেনেড হামলায় পঙ্গুত্ব বরণকারী বাদীর অভিযোগ। আসামিরা হলো- সিদ্ধিরগঞ্জ বাগানবাড়ী এলাকার মো: নূর উদ্দিন মুন্সির ছেলে মোঃ আতিকুর রহমান (৪৫), তার ছেলে শাহজাহান (২৫),আটি এলাকার মোফাজ্জল হোসেনের ছেলে সাজ্জাদ হোসেন মুন্না (২৩),হাউজিং এলাকার সোহাগ (২৮) ও অজ্ঞাতনামা চার পাঁচজন।
চাঁদা দাবি, গাড়ি ভাঙচুর করে ক্ষতিসাধন, মারধর ও চুরির অপরাধে ৩০ জুন মামলাটি রুজু করা হয়। মামলার দুই নং আসামি শাহজাহানকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠিয়েছেন। বাদীর অভিযোগ, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রিপনের সাথে চাঁদাবাজ আতিকের গভীর সখ্যতা থাকায় তাকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছেনা। ফলে তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভয়ে দিন খাটাচ্ছেন। মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ঢাকায় আওয়ামী লীগ অফিসের সামনে ২১ আগষ্ট গ্রেনেড হামলায় আহত হয়ে পঙ্গুত্ব বরণ করেন মাদারীপুর জেলাসদরের পাটখোলা এলাকার মৃত সুরুজ জামাল মিয়ার ছেলে সম্্রাট আকবর সবুজ।
বর্তমানে তিনি রাজধানী ঢাকার যাত্রাবাড়ী থানার মাতুয়াইল নিমতলা মাদ্রাসা এলাকার বাসিন্দা। পঙ্গু হয়ে সবুজ মানবেতর জীবন যাপন করছেন। জীবীকার দাগিতে বিভিন্ন লোকজনের সাহায্য সহযোগীতায় একটি লেগুনা কিনে সিদ্ধিরগঞ্জের চিটাগাংরোড থেকে যাত্রাবাড়ী পর্যন্ত ভাড়ায় চালাচ্ছেন। এককালিন ১০ হাজার ও দৈনিক ১ হাজার টাকা চাঁদার দাবিতে গত ২৮ জুন দুপুর ১২ টায় ডাচ বাংলা বাংকের সামনে বাদীর লেগুনা গাড়ি আটকিয়ে চালক আলাউদ্দিনকে চাঁদাবাজ আতিকুর রহমান হুমকি দেয় যে,চাঁদা না দিলে গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দিবে।
বিষয়টি জানতে পেরে বাদী ঘটনাস্থলে এসে চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে বেলা আড়াইটার দিকে আসামিরা দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে প্রথমে লেগুনা গাড়িটি (রেজিঃ-নং ঢাকা মেট্রো-ছ-১১-৩৯৩৬) ভাঙচুর করে অন্তত ৩০ হাজার টাকার ক্ষতি সাধন করে। ভাঙচুরে বাধা দিলে আসামিরা বাদীকে কিল ঘুসি মেরে নীলা ফুলা জখম করে। তখন তিনি রাস্তায় পরে গেলে আতিক তার পেটের উপর বসে প্লাস দিয়ে মুখের দাঁত তুলে ফেলার চেষ্টা করে এবং সাথে থাকা ১০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। এসময় গাড়ি চালক আলাউদ্দিন বাদীকে রক্ষা করতে এগিয়ে আসলে অন্য আসামিরা তাকে চড় থাপ্পর ও কিল ঘুষি মেরে আহত করে।
চাঁদাবাজরা চলে গেলে অটো চালক নুর আলম আহতদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নিয়ে যায়। চিকিৎসা শেষে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় এসে লিখিত অভিযোগ করার পর পুলিশ মামলা রুজু করেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মাদক, দেহব্যবসা, চাঁদাবাজি ও সুদ ব্যবসা করা আতিকের পেশা। সুদে টাকা লাগিয়ে বহু মানুষকে নিঃস্ব করেছে আতিক। অন্তত বিশ বছর ধরে আতিক চাঁদাবাজি করে আসছে।
আগে টেম্পো থেকে চাঁদাবাজি করায় তিনি টেম্পো আতিক হিসেবে পরিচিতি পায়। কয়েক বছর ধরে শুরু করেছে লেগুনা চাঁদাবাজি। বাদীর অভিযোগ সঠিক নয় দাবি করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই রিপন বলেন, একজন আসামি গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।