সিদ্ধিরগঞ্জে বহুমুখী প্রতারক চক্রের দুই পেশাদার প্রতারক গ্রেফতার

0

প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ প্রতারক প্রদীপ চন্দ্র বর্মণ (৩৫)। বাড়ি রংপুরে। ছিলেন জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী।২০১৫ সালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর স্বাক্ষর জালিয়াতির কারণে গিয়েছিল চাকরি। হয়েছিল মামলা। শুধু তাই নয়, অবৈধভাবে ওয়াকিটকি ব্যবহারের জন্য টাঙ্গাইলের কালিহাতি থানায় মামলাও রয়েছে। কিন্তু তাতেও দমেননি তিনি, নেমেছেন নানা রকমের প্রতারণায়।

কখনো জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের চাকরি, কখনো ট্রাফিক পুলিশে চাকরি, কখনো টিভি চ্যানেলে চাকরি বা কখনো মানবাধিকার সংস্থায় চাকরি দেবার নাম করে অনেকের সাথে প্রতারণা করে হাতিয়ে নিয়েছেন বিপুল অঙ্কের টাকা। আর এসব টাকা ফেরত চাইলে প্রতারণার শিকার লোকজনকে টর্চার সেলে নিয়ে করা হতো নির্যাতন।

অবশেষে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ননের (র‌্যাব) হাতে ধরা পড়েছেন সেই প্রতারক প্রদীপ। সিদ্ধিরগঞ্জের মাদানীনগর থেকে সহযোগী আনিসুর রহমানকেও (৪৫) পাকড়াও করেছে র‌্যাব-১১ এর একটি টিম। আনিসুরের বাড়িও রংপুরে। এসময় তাদের কাছ থেকে একটি প্রাইভেটকার, দুটি মোবাইল, ব্যানার, জীবনবৃত্তান্ত ফরম, সাংবাদিক আইডিকার্ড, তালাশ নিউজ-৭৯ টিভি কার্ড উদ্ধার করা হয় সোমবার (৩১ মে) মধ্যরাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান র‌্যাব-১১ এর সিনিয়র এএসপি প্রণব কুমার।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়- বহুমুখী প্রতারক চক্রের মূলহোতা প্রদীপ চন্দ্র বর্মণ ওয়াকিটকি সেট, মনোগ্রাম সম্বলিত জ্যাকেট ও হ্যান্ডকাফ দেখিয়ে নিজেকে একাধারে সমাজের জন্য আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন প্রয়োগকারী সংস্থা তালাশ নিউজ টিভি-৭৯ ও দৈনিক সত্যের সংগ্রাম পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, প্রকাশক ও সম্পাদক হিসেবে পরিচয় প্রদান করে থাকে এবং সে ভুয়া আইডি কার্ড তৈরি করে, ট্রাফিক পুলিশ ও যুব ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে চাকুরীর আশ্বাস দিয়ে এবং তার কথিত টিভি চ্যানেল ও সমাজের জন্য আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন প্রয়োগকারী সংস্থার অন্যান্য সদস্যপদে ও নিউজ চ্যানেলের জেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি প্রদান করে সরল বিশ্বাসী মানুষের কাছ থেকে চাকুরী প্রদানের আশ্বাস দিয়ে পরিকল্পনা মাফিক বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নিত বলে জানায়।

পরবর্তীতে তার কাছে কেউ টাকা ফেরত চাইলে তার কথিত টর্চার সেলে নিয়ে গিয়ে সে তাদের অত্যাচারের হুমকি প্রদান করত বলে ভুক্তভুগিদের কাছ থেকে জানা যায়। সহযোগী আনিসুর রহমান পেশায় একজন রিক্সাচালক। মানুষজনকে প্রলুব্ধ করে প্রদীপের কাছে এনে দেয়াই ছিলো তার কাজ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here