সিদ্ধিরগঞ্জে কানখা মসজিদ নির্মাণ নিয়ে উত্তেজনা সংঘর্ষের আশঙ্কা

0

প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি : সিদ্ধিরগঞ্জের গোদনাইল ধনকুন্ডা এলাকায় তিতাসের সরকারি
জায়গায় কানখা মসজিদ নির্মাণ করাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা। যে কোন সময় সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। জানা গেছে, আশক আলীর ৪ মেয়ে ও ৩ ছেলে ধনকুন্ডা গ্লাস কারখানা সংলগ্ন এলাকায় বহু বছর আগে কানখা নির্মাণের জন্য ৭ শতাংশ জমি দান করেন।

রাস্তার প্রয়োজনে জনস্বার্থে ওই কানখা ভেঙে সিটি কর্পোরেশন আরসিসি ড্রেন ও সড়ক নির্মাণ করছে। বাকি জায়গায় আবার কানখা মসজিদ নির্মাণ করার উদ্যোগ নেয় কামালগং। কিন্তু এতে বাধা দিচ্ছে ছোট বোন মোর্শেদা বেগম ও তার তিন ছেলে শরীফ, সবুজ ও সজিব। এনিয়ে তাদের ভাই বোনদের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। গত বৃহস্পতিবার দুপক্ষের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। তখন কামলা হোসেন থানায় গিয়ে বোন ভাগিনাদের বিরুদ্ধে জিডি করেন।

পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে দুপক্ষকেই শান্তি ভজায় রাখার নির্দেশ দেয়।  এ বিষয়ে মোর্শেদা নারায়ণগঞ্জ তিতাস গ্যাস অফিসে একটি লিখিত অভিযোগ করেন। তাতে উল্লেখ করা হয়, গ্যাস লাইনের উপর অবৈধ ভাবে জোর পূর্বক মসজিদ নির্মাণ করতে চায় কামাল হোসেনগং। তিতাসের অনুমোদিত ১০ ইঞ্জি মেইন গ্যাস লাইন রয়েছে এই জমির নিচে। গ্যাস লাইনের উপরে স্থাপনা নির্মাণ করা ঝুকি পূর্ণ। কামাল হোসেন জানান, ওয়ার্ড কাউন্সিলর রুহুল আমিন মোল্লা ড্রেন ও সড়ক নির্মাণ শেষে যে জমি থাকবে তাতে আবার কানখা নির্মাণের অনুমতি দেওয়ার পরই আমরা কানখা ভেঙে ফেলি।

সড়র ও ড্রেনের জন্য জমি ছেড়ে দেওয়ার পর যা বাকি রয়েছে তাতে ৭ অংশিদারের মধ্যে ৬ জন একমত হয়ে কানখা নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছি। শুধুমাত্র মোর্শেদা তার নিজের স্বার্থ হাসিল করতে বাধা দিচ্ছে। এ বিষয়ে কাউন্সিলর রুহুল আমিন মোল্লা জানান, এই জমি তিতাসের একোয়ার করা সরকারি। তবে প্রকৃত মালিক হিসেবে কামাল হোসেনগংরাই ভোগ দখল করে আসছে। সড়ক ও ড্রেন নির্মাণের পর বাকি জায়গায় কানখা নির্মাণের জন্য আমার সাথে কথা বলেছে। তবে এ জায়গা নিয়ে যাতে কোন বিরোধ না হয় আমি সকল অংশিদারকে বুঝিয়ে মিলে মিশে কাজ করার কথা বলি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here