প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি : নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে নিজ পরিবারকে অতিষ্টকরে তোলায় মাদক ব্যবসায়ী সন্তানের বিরুদ্ধে সাংবাদ সম্মেলন করেছেন মা। সোমবার (১৯ অক্টোবর) দুপুর ১২ টায় গোদনাইল ধনকুন্ডা এলাকায় নিজ বাসভবনে পরিবারের বড় ছেলে ৬ টি মাদক মামলার আসামি খোকন মোল্লার বিরুদ্ধে এ সংবাদ সম্মেলন করেন মা জাহানারা বেগম।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ছোট ছেলে নাসিক ৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর রুহুল আমিন মোল্লা। জাহানারা বেগমের অভিযোগ, খোকন মোল্লা পরিবারের বড় ছেলে। যুবক বয়স থেকেই সে নেশাগ্রস্থ হয়ে পড়ে। একপর্যায় জড়িয়ে যায় মাদক ব্যবসায়। পুলিশের কাছে সোপর্দ করাসহ বহু চেষ্টা করেও মাদক ব্যবসা ছাড়াতে পারিনি। তার মাদক ব্যবসা নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়। এতে সমস্ত পরিবারের মানহানি হচ্ছে। মাদক ব্যবসা ছাড়াতে একটি বাড়ি করে দিয়েছি। যাতে ভাড়া দিয়ে চলতে পারে। তার পরও কোন পরিবর্তন হয়নি। মাদক ব্যবসার পাশাপাশি নিজেও মাদক সেবন করে সারাক্ষণ মাতাল হয়ে থাকে। মাদক ব্যবসা ছাড়ার জন্য চাপ দিলে আত্নহত্যা করার হুমকি দেয়।
মাদক ব্যবসা না ছাড়লে সম্পত্তির ভাগ দিবনা বলায় গত ১৪ অক্টোবর বাড়ির একটি কক্ষে আগুন লাগিয়ে বাহির থেকে তালা লাগিয়ে দেয়। এমনকি আমাকে অশ্লীল ভাষায় গালাগালি ও মারধর করার চেষ্টা চালায়। ছোট ছেলে রুহুল আমিন মোল্লাকে মোবাইল করে ডেকে না আনলে খোকন আমাকে মেরেই ফেলত। কাউন্সিলর রুহুল আমিন মোল্লা বলেন, আমার বড় ভাই খোকন মোল্লা এলাকার শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী। জনপ্রতিনিধি হিসেবে আমি এ দায় এড়াতে পারিনা। তার কারণে আমাকে পত্রিকার শিরোনাম হতে হয়। আমার বড় ভাই খোকন মোল্লা মাদকসহ গ্রেপ্তার হলেই আমাকে জড়িয়ে সংবাদ প্রকাশ হয়।
তখন লজ্জায় নিজেকে খুবই অসহায় লাগে। অথচ আমার ভাইয়ের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য বহুবার থানা পুলিশকে বলেছি। এমনকি লিখিত অভিযোও করেছি। অপরাধি আমার বাপ হলেও একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে আমি সমর্থন করতে পারিনা। তার বিরুদ্ধে ৬ টি মাদক মামলা হয়েছে। মাদকসহ গ্রেপ্তার হলেও কয়েকদিন পর জামিনে বের হয়ে আবার মাদক ব্যবসা শুরু করে। সে একটি মাদক ব্যবসায়ী চক্র গড়ে তুলেছে। এ চক্রের প্রত্যেকের নাম থানা পুলিশের কাছে দেওয়া হয়েছে। আমি তার মাদক ব্যবসার বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ার কারণে সে আমার বিরুদ্ধে মানহানি কর কথা বলে বেড়ায়।
যারা তার মাদক ব্যবসা থেকে নিয়মিত আর্থিক সুবিধা পাচ্ছে তারাও আমার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। মাকে অশ্লীল ভাষায় গালাগালি করার জন্য আমি বড় ভাই খোকন মোল্লাকে ধাক্কা মারার কারণে তার সঙ্গী সাথিরা অপপ্রচার শুরু করেছে। ছোট ভাই হয়ে বড় ভাইয়ের গায়ে হাত তুলেছে বলে ইন্দন দিচ্ছে। কিন্তু কেন কি কারণে ধাক্কা দিয়েছি তা খতিয়ে দেখছেনা খোকনের মাদক ব্যবসার সহযোগিরা। এসব মাদক ব্যবসায়ী চক্রের
বিরুদ্ধে থানা পুলিশও নিরব বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন কাউন্সিলর রুহুল আমিন মোল্লা।
এ বিষয়ে জানত খোকন মোল্লার সঙ্গে সরাসরি কথা হলে প্রথমে তিনি মুখ খোলতে রাজি হয়নি। মাদক ব্যবসা না করলে একাধিকবার পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন কেন এমন প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে গিয়ে বলেন কাউন্সিলর খোকন আমাকে মাদক মামলায় জড়িয়েছে।